সাক্ষাৎকারে অর্থ উপদেষ্টা

প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ইন্ধনে এনবিআরে আন্দোলন

সৈয়দ মিজানুর রহমান ও রোহান রাজীব
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৫, ০৬: ১১

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের পেছনে একটি প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এ আন্দোলনের কারণে রাজস্ব আদায়, ব্যবসায়িক পরিবেশ ও বন্দর কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এটি রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা।’

আমার দেশ-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। গত সোমবার সচিবালয়ে তার দপ্তরে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সাক্ষাৎকারে রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি, নতুন বাজেট, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সংস্কার, বিগত সময়ের পরিসংখ্যান জালিয়াতি, রেমিটেন্স আয়সহ অর্থনীতির নানা সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন ড. সালেহউদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

রাজনৈতিক নানা সংকটের মধ্যেই রাজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান উসকানিমূলক কর্মসূচির কারণে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায় কমে যাবে বলে শঙ্কার কথা জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, পৃথিবীতে এমন নজির নেই যে দাবি আদায়ে রাজস্ব কর্মকর্তারা বাজেটের সময় কাজ বন্ধ রাখেন। সরকার যখন অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যকর করতে উদ্যোগ নিচ্ছে, তখনই একটি মহল এটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাইছে।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, অধ্যাদেশ অনুযায়ী এনবিআরের রাজস্বনীতি (পলিসি) ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) পৃথক করা হবে, যাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হয়। তবে এতে এনবিআরের কোনো কর্মকর্তার চাকরি যাবে না, বরং আরো দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রশাসন ক্যাডারের আধিপত্য বিস্তারের ভয়ও অমূলক।

সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। ব্যাংক খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন নতুন করে দুর্নীতি হচ্ছে না। কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা না ঘটলে মূল্যস্ফীতি নতুন অর্থবছর শেষে সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যেই থাকবে।

এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান আন্দোলন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অধ্যাদেশ অনুযায়ী এনবিআরের রাজস্বনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা পৃথক করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। পৃথিবীর কোথাও দুটো এক জায়গায় নেই। দুটো এক জায়গায় থাকলে তাদের ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। দুটো এক জায়গায় থাকলে দুর্নীতিও হয়। যার কারণে, এনবিআর নিয়ে এত কথা হচ্ছে। বাজেটের আগে কলম বিরতি পালন করা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ। এখানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর ইন্ধন রয়েছে। কারণ, এসব ব্যবসায়ী নানা অবৈধ সুবিধা পেয়ে আসছে। তারা এখন ভাবছে, নতুন অধ্যাদেশ বাস্তবায়ন হলে সুবিধাগুলো আর পাবে না। তাই এনবিআর কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে বিষয়টি অন্যদিকে নিচ্ছে।

তিনি বলেন, পলিসির জায়গাটা ছোট হবে। তারা দেশের ব্যবসা পরিস্থিতি, ইকুইটি, ট্যাক্স ও সক্ষমতা বিশ্লেষণ করবে। এসব প্রয়োগ করবে ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এক্ষেত্রে এনবিআরের একজন লোককেও কমানোর ইচ্ছে নেই। তাদের ক্যারিয়ার নিয়েও ভয় নেই। কারণ, এখানে আরো দক্ষ লোকের প্রয়োজন হবে।

এনবিআর বিলুপ্ত হয়ে দুটি বিভাগ গঠন হলে প্রশাসন ক্যাডারের লোকদের আধিপত্য বিস্তার করার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কর্মকর্তারা আরেকটি ভয় পাচ্ছেন যে, এখানে প্রশাসন ক্যাডারের লোকজন আধিপত্য বিস্তার করবে। কিন্তু এটার কোনো সুযোগ নেই। কারণ পলিসি ও ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ লোক লাগবে। এখানে ক্যাডার না দেখে যারা অভিজ্ঞ তাদের নিয়ে আসব। তাই তাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।

ড. সালেহউদ্দিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘রাজস্ব খাত সংস্কারে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলেও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর চাপ ও প্রশাসনের দুর্বলতা তা বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এনবিআরের ভেতর থেকেও কেউ কেউ সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন। তবে এই সংস্কার এখন সময়ের দাবি, একে আর ঠেকানো যাবে না।’

ঋণনির্ভর উন্নয়ন বাজেট বাস্তবতার প্রতিফলন

২০২৫-২৬ অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেট অনেকটাই ঋণনির্ভর, এ অবস্থায় দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে দুর্বল মনে করেন কিনা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘উন্নয়ন বাজেট বরাবরই ঋণনির্ভর ছিল। রাজস্ব আয় কম হওয়ায় এই নির্ভরতা বেড়েছে। মানুষ কর দিতে চায় না, আবার আদায়ও করা যাচ্ছে না। ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরো কঠিন হয়েছে। তাই মেগা প্রকল্প বাদ দিয়ে স্বাস্থ্য, আইটি ও শিক্ষার মতো খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।’

রাজস্ব ব্যয়ে সংযম হচ্ছে

রাজস্ব ব্যয় নিয়ে বর্তমান সরকারের ভাবনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিগত সরকার রাজস্ব ব্যয় প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বাড়িয়েছে। এটা হঠাৎ কমানো যাবে না। তবে সংযত হওয়ার এখন সময়। বিষয়টি নতুন অর্থবছরের বাজেটে থাকবে। অহেতুক খরচের লাগাম টেনে ধরা হয়েছে।

জিডিপির আকার আসলে কত

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবে, দেশের জিডিপির আকার ৪৫৯ বিলিয়ন ডলার। যদিও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন নথিতে পাওয়া তথ্য এবং অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, বাংলাদেশের জিডিপির প্রকৃত আকার ৩০০ থেকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে হতে পারে। সরকারি হিসাবের সঙ্গে সাধারণ অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের হিসাবের এই অমিল কেন? জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিগত সরকার অর্থনীতির আসল চেহারা ঢেকে রাখার কৌশল হিসেবে তথ্য জালিয়াতি বা পরিসংখ্যান জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিল। আমরা এখন সেগুলো বন্ধ করেছি। যেহেতু আমাদের সরকারের রাজনৈতিক কোনো অভিলাষ নেই, তাই এখানে অতিরঞ্জিত কিছুর সুযোগ নেই। তিনি বলেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধিও সঠিক হিসাবের আওতায় আনা হচ্ছে। তাই এটি কিছুটা কমে যেতে পারে।

ব্যাংক খাতের সংস্কারে এগোচ্ছে সরকার

সাক্ষাৎকারে ব্যাংক খাতের অনিয়ম ও সংস্কার নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন ড. সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘গত সরকারের আমলে কিছু ব্যাংকে এমন অনিয়ম হয়েছে যে ৮০ শতাংশ ঋণই খেলাপি হয়ে গেছে। এসব দুর্বল ব্যাংককে আর্থিক সহায়তা দিয়ে রক্ষা করা সম্ভব নয়। তাই ‘ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট’ অনুযায়ী একীভূতকরণ ছাড়া বিকল্প নেই।

তিনি জানান, অনেক ব্যাংকের আমানত ফেরত দেওয়ার সক্ষমতা নেই। এসব ব্যাংককে চিহ্নিত করে বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে জোর করে একীভূত নয়, বরং হিসাব নিরীক্ষা ও আর্থিক ভিত্তি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, নতুন সরকার আসার পর জাল কাগজে ঋণ গ্রহণ বন্ধ হয়েছে। এটা একটা বড় অর্জন। পাশাপাশি, অর্থ পাচারের ঘটনায় জড়িত ২০০ কোটির বেশি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। এর আগে ১২টি গ্রুপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক তদন্ত চালিয়েছে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত সরকারের আমলে অনেকে ব্যাংক খাত থেকে নানাভাবে টাকা বের করেছে। প্রকৃত হিসাব বের করতে একটু সময় লাগছে। তবে অধিকাংশই বের হয়ে এসেছে। যেগুলো চিহ্নিত হয়েছে আইনিভাবে তা আদায়ের চেষ্টা চলছে। হুট করে তো আদায় করা সম্ভব না। জোর করে কিছু করা যাবে না। ইতিমধ্যে অনেকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পদ জব্দ হয়েছে।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আশাবাদ, টার্গেট সাড়ে ৬

বর্তমান মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা জানান, ‘গত কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতি কমছে। বাজেটে আমরা এটি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ধরেছি। যদি বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা আন্তর্জাতিক সংঘর্ষ না ঘটে, তাহলে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।’ তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি এখন ৯ শতাংশে আছে, আগামী জুনে ৩ শতাংশ কমা খুব বেশি কঠিন নয়। যদি হঠাৎ করে বন্যা ও ইরান এবং ইসরাইল যুদ্ধের প্রভাব না পড়ে।

সরকার আন্তরিক, কিন্তু কাঠামোগত দুর্বলতা অনেক গভীর

সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেকেই বলে সরকার কিছুই করছে না। কিন্তু ১৫ বছরের পচনশীল সংস্কৃতি সাত-আট মাসে পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমরা কাজ করছি। দেশের অর্থনীতি মন্থর অবস্থা থেকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এটি আরো গতি পাবে।’ তিনি বলেন, ‘সমালোচনা থাকবে, তবে এই সরকার যে নীরব ধ্বংসযজ্ঞ থামিয়েছে, সেটাও একটা বড় অর্জন। এখন মানুষ না খেয়ে মরছে না, বেকারত্ব লাগামছাড়া নয়, কর্মসংস্থানও বাড়ছে।’

মনোপলি ব্যবসার উদাহরণ

মনোপলি ব্যবসার উদাহরণ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আগের সরকারের আমলে যে ব্যাংকের মালিক ছিল সে টিভি, রেডিও ও পত্রিকাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেরও মালিক ছিল। তাদের অনেক ব্যবসা ছিল। যার কারণে এক জায়গায় ক্ষতি হলে অন্য জায়গায় পুষিয়ে নিতে পারত। এখন তো জেনুইন ব্যবসায়ী নেই। দেশের লোক ব্যবসা না করার কারণে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে না।

এবারের বাজেটে ছোট ব্যবসায়ীদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সঞ্চয়পত্র কেনা, ক্রেডিট কার্ড ও ট্রেড লাইসেন্স নিতে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখার ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক তুলে নেওয়া হয়েছে।

পুঁজিবাজারে দুর্বলতা

পুঁজিবাজারে ভেতরে ভেতরে এখনো অনেক দুর্বলতা রয়েছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিগত সময়ে পুঁজিবাজার খুব খারাপ অবস্থায় ছিল। ইনসাইডার ট্রেডিং, দুর্নীতি— এখন এগুলো ঠিক করতে আমাদের অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হচ্ছে। এখন তিনি (বিএসইসি চেয়ারম্যান) যে কাজ করছেন সেখানে কিছুটা সময় বেশি লাগছে। এর কারণও রয়েছে, তিনি তদন্ত করছেন, আইন করছেন, বাজার উন্নয়নে কাজ করছেন।

ডেভেলপমেন্টের জন্য নতুন আইপিও আনার প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘এখন মার্কেটের কিছু প্রমোশনের দরকার। সরকারের কিছু কোম্পানির শেয়ার রয়েছে। ইউনিলিভার, পাওয়ারগ্রিড কোম্পানির মতো লাভজনক কোম্পানির শেয়ার বাজারে ছাড়তে পারে। সব শেয়ার তো তারা ছাড়বে না, কিছু কিছু শেয়ার তারা ছাড়তে পারে। আর ব্যবসায়ীদের আমরা উদ্বুদ্ধ করব।’

তিনি আরো বলেন, বাজারে তালিকাভুক্তির জন্য করপোরেট করের হারে একটা গ্যাপ রাখা হয়েছে। কিন্তু যদি ইনসাইডার ট্রেডিং বন্ধ করা না যায়, শেয়ার ম্যানিপুলেশন হয় কিংবা খারাপ লোকজন সো-কল্ড শেয়ার অফলোড করে বাজার থেকে টাকা তুলে নিয়ে যায়, তাহলে ভালো কোম্পানি আসবে না। সে জন্য আমরা রেগুলেটরির বিষয়ে বেশি নজর দিচ্ছি।

রেমিটেন্স আয়ে শঙ্কা নেই

রেমিটেন্স আয়ে স্বস্তির কথা জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিগত কয়েক মাস দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ছিল না। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটা ক্ষতির মুখে ছিল। এই সময়ে রেমিটেন্স আয় আমাদের বড় ধরনের সহায়ক ভূমিকায় ছিল। রেমিটেন্স প্রভাব সামনে আরো বাড়বে। এই খাত নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। ইসরাইল-ইরান যুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্য কিছুটা অশান্ত থাকলেও আমাদের এই খাতের আয়ে এর প্রভাব পড়বে না।

অর্থ উপদেষ্টা তার দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে আশা প্রকাশ করেন, এই সরকার আর্থিক খাতের উন্নয়নে একটি রোল মডেল রেখে যেতে চায়। জনগণের চাহিদা খুব বেশি নয়, মেধাগুলোকে কাজে লাগানোর সুযোগ দিতে পারলে যেমন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে, তেমনি বাড়বে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান। তাই দেশি উদ্যোক্তাদের এখনই এগিয়ে আসতে হবে। তারা বিনিয়োগ করলে বিদেশি উদ্যোক্তাদের আর ডেকে আনতে হবে না।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত