রোহান রাজিব
সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের ব্যাংকগুলোতে জমা রয়েছে। অলস আমানত থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল পরিমাণ সুদ আয় করছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বছর শেষে বড় অঙ্কের মুনাফা দেখছে। তবে অর্থ সংকটে থাকলেও সরকার এসব প্রতিষ্ঠানের ‘অলস’ আমানতের টাকা কাজে লাগাতে পারছে না। বরং সরকার উচ্চ সুদে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সংকট মোকাবিলা করছে। এতে সরকারের ঋণের বিপরীতে সুদ ব্যয় দিন দিন বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংকে রাখা আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। গত বছরের শেষে এ পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬৪ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। ফলে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে আমানত বেড়েছে ২১ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা।
খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলোর সুদহারও বেড়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি লাভের আশায় ব্যাংকে আমানত রাখছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জ্বালানি তেল বিপণনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) ১৪৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। গত বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ছিল ৮২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে পদ্মা অয়েলের মুনাফা বেড়েছে ৬৩ কোটি টাকা বা ৭৭ শতাংশ। পদ্মা অয়েলসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মূলত ব্যাংকে আমানতের সুদহার বৃদ্ধির কারণেই মুনাফায় এ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ব্যাংকে রাখা আমানত থেকে প্রতিষ্ঠানটি ১৭৭ কোটি টাকা সুদ আয় করেছে, যেখানে গত বছর এ আয় ছিল ১০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে সুদ আয় বেড়েছে ৭৭ কোটি টাকা। ব্যাংকে আমানত রেখে যে সুদ আয় হয়, তার বিপরীতে তেমন কোনো খরচ না থাকায় এই আয় সরাসরি কোম্পানির মুনাফায় যুক্ত হয়। ফলে অন্যান্য খরচ না বাড়লে, সুদ আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুনাফাও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে।
তবে এসব প্রতিষ্ঠান দুর্বল ব্যাংকে টাকা রেখে এখন ফেরত পাচ্ছে না। আগের সরকারের আমলে জলবায়ু ট্রাস্টের পদ্মা ব্যাংকে রাখা ৮৭৩ কোটি টাকা তুলতে পারছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন শেষে দেশের ব্যাংকগুলোতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদি আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের বিভিন্ন কার্যালয়, মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর আমানত শ্রেণিভুক্ত হয়েছে ‘সরকারি খাতের মেয়াদি আমানত’ হিসেবে, যার পরিমাণ ৫৫ হাজার ৮২০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, ‘অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত করপোরেশন, কর্তৃপক্ষ, আর্থিক মধ্যস্থতাকারী, বীমা কোম্পানি ও পেনশন ফান্ডগুলোর মোট মেয়াদি আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।
মেয়াদি আমানতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ ৯৯ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা, রাখা হয়েছে এক বছর থেকে দুই বছরের কম মেয়াদে। এরপর ৪৩ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ছয় মাসের কম মেয়াদে এবং ৩১ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা ছয় মাস থেকে এক বছরের কম মেয়াদের জন্য রাখা হয়েছে। তাছাড়া দুই থেকে তিন বছরের কম মেয়াদে রয়েছে ১ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা এবং তিন বছরের বেশি মেয়াদে রাখা হয়েছে ৫ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা। মেয়াদি আমানতের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোতে ১ লাখ ৩ হাজার ৯৫০ কোটি টাকার বিশেষ নোটিস আমানত (এসএনডি) রাখা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি খাতের রয়েছে ২২ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের রয়েছে ৮১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকার ব্যাংক খাত থেকে নিট ৭২ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। যদিও চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস (আগস্ট পর্যন্ত) ঋণ কমেছে ২ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরে সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নিট ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আমার দেশকে বলেন, সরকার যদি নিয়ন্ত্রণ শুরু করে কোম্পানিগুলোর সমস্যা আরো বেড়ে যাবে। প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো চলছে কি-না তা নজর দেওয়া উচিত সরকারের।
সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের ব্যাংকগুলোতে জমা রয়েছে। অলস আমানত থেকে প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল পরিমাণ সুদ আয় করছে। প্রতিষ্ঠানগুলো বছর শেষে বড় অঙ্কের মুনাফা দেখছে। তবে অর্থ সংকটে থাকলেও সরকার এসব প্রতিষ্ঠানের ‘অলস’ আমানতের টাকা কাজে লাগাতে পারছে না। বরং সরকার উচ্চ সুদে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সংকট মোকাবিলা করছে। এতে সরকারের ঋণের বিপরীতে সুদ ব্যয় দিন দিন বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংকে রাখা আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। গত বছরের শেষে এ পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬৪ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। ফলে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে আমানত বেড়েছে ২১ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা।
খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধারাবাহিকভাবে নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। এর ফলে ব্যাংকগুলোর সুদহারও বেড়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি লাভের আশায় ব্যাংকে আমানত রাখছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জ্বালানি তেল বিপণনকারী রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) ১৪৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। গত বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ছিল ৮২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে পদ্মা অয়েলের মুনাফা বেড়েছে ৬৩ কোটি টাকা বা ৭৭ শতাংশ। পদ্মা অয়েলসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মূলত ব্যাংকে আমানতের সুদহার বৃদ্ধির কারণেই মুনাফায় এ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ব্যাংকে রাখা আমানত থেকে প্রতিষ্ঠানটি ১৭৭ কোটি টাকা সুদ আয় করেছে, যেখানে গত বছর এ আয় ছিল ১০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে সুদ আয় বেড়েছে ৭৭ কোটি টাকা। ব্যাংকে আমানত রেখে যে সুদ আয় হয়, তার বিপরীতে তেমন কোনো খরচ না থাকায় এই আয় সরাসরি কোম্পানির মুনাফায় যুক্ত হয়। ফলে অন্যান্য খরচ না বাড়লে, সুদ আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুনাফাও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে।
তবে এসব প্রতিষ্ঠান দুর্বল ব্যাংকে টাকা রেখে এখন ফেরত পাচ্ছে না। আগের সরকারের আমলে জলবায়ু ট্রাস্টের পদ্মা ব্যাংকে রাখা ৮৭৩ কোটি টাকা তুলতে পারছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন শেষে দেশের ব্যাংকগুলোতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদি আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের বিভিন্ন কার্যালয়, মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, বিভাগ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর আমানত শ্রেণিভুক্ত হয়েছে ‘সরকারি খাতের মেয়াদি আমানত’ হিসেবে, যার পরিমাণ ৫৫ হাজার ৮২০ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, ‘অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত করপোরেশন, কর্তৃপক্ষ, আর্থিক মধ্যস্থতাকারী, বীমা কোম্পানি ও পেনশন ফান্ডগুলোর মোট মেয়াদি আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ১৩২ কোটি টাকা।
মেয়াদি আমানতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, অর্থাৎ ৯৯ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা, রাখা হয়েছে এক বছর থেকে দুই বছরের কম মেয়াদে। এরপর ৪৩ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ছয় মাসের কম মেয়াদে এবং ৩১ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা ছয় মাস থেকে এক বছরের কম মেয়াদের জন্য রাখা হয়েছে। তাছাড়া দুই থেকে তিন বছরের কম মেয়াদে রয়েছে ১ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা এবং তিন বছরের বেশি মেয়াদে রাখা হয়েছে ৫ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা। মেয়াদি আমানতের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোতে ১ লাখ ৩ হাজার ৯৫০ কোটি টাকার বিশেষ নোটিস আমানত (এসএনডি) রাখা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি খাতের রয়েছে ২২ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা এবং অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের রয়েছে ৮১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকার ব্যাংক খাত থেকে নিট ৭২ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। যদিও চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস (আগস্ট পর্যন্ত) ঋণ কমেছে ২ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরে সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নিট ১ লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আমার দেশকে বলেন, সরকার যদি নিয়ন্ত্রণ শুরু করে কোম্পানিগুলোর সমস্যা আরো বেড়ে যাবে। প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমতো চলছে কি-না তা নজর দেওয়া উচিত সরকারের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার।
৩৬ মিনিট আগেফের বড় ধরনের তারল্য সংকটে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। বুধবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৫৫ কোটি টাকা, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২৩ জুন ডিএসইতে সর্বনিম্ন ২৭৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেদাবা বিশ্বকাপে বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী মনন রেজা নীড়ের বিশ্বজয়ের যাত্রার অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ।
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ছয়টি ব্যাংক থেকে প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সা দরে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনেছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্যাংকগুলো থেকে মোট ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৩ ঘণ্টা আগে