চার বছর পর বাগেরহাটের ফকিরহাটে গৃহবধূ সুমি হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে সিআইডি। তদন্তে বের হয়ে এসেছে প্রেমিকের হাতে খুন হন ওই নারী। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তর এ তথ্য জানায়।
গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তি হলেন—বিজয় ওরফে রিংকু হোসাইন (৩৮)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘাটুরা গ্রামের আক্তার হোসাইন ওরফে কামাল মিয়া মুন্সির ছেলে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত সোমবার কুমিল্লার লাকসাম থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর ফকিরহাট উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামে নিজবাড়ির পাশের একটি ঘের থেকে সুমি আক্তার পুতুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করে।
সিআইডির তদন্তে জানা যায়, নিহত সুমি আক্তারের সঙ্গে আসামি বিজয়ের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। হত্যাকাণ্ডের রাতে সুমি আক্তার বিজয়কে তার স্বামী-সংসার ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে নতুন সংসার গড়ার জন্য চাপ দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয় সুমির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং পরে ধাক্কা দিয়ে ঘেরে ফেলে হত্যা করে। হত্যার পর সে ঘটনাস্থলে থাকা লাশ নারকেলের ডালপালা দিয়ে ঢেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিজয় হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে।

