মাহফুজ সাদি
ঢাকা মানেই যানজটের শহর। দিনে সড়কের চিরচেনা এই রূপ দেখে অভ্যস্ত নগরবাসী। মধ্যরাতেও স্বস্তি মিলছে না। বিশেষ করে ফ্লাইওভারের উভয়প্রান্ত এবং এক্সপ্রেসওয়ের প্রতিটি র্যাম্পে যানবাহনের জটলা লেগে যাচ্ছে।
রাতের প্রথমার্ধে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কে যানজট আর শেষার্ধে যানবাহনের বেপরোয়া গতি লক্ষ করা যাচ্ছে। সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের অপর্যাপ্ততা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। আইনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা, যাত্রী ও পথচারীদেরও রয়েছে সচেতনতার অভাব। ফলে রাতের সড়কে চলছে নৈরাজ্য, দেখার যেন কেউ নেই!
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্ষমতার পালাবদলের পর বিভিন্ন খাতে সংস্কারের হাওয়া বইলেও সড়কের ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটছে না। বিশাল এই খাতে শৃঙ্খলা আনতে সরকার কিছু উদ্যোগ নিলেও তা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। ফলে দিনে সড়কে বিশৃঙ্খলা তো চলছেই, রাতেও মিলছে না স্বস্তি।
রাতের সড়কে নৈরাজ্যের পেছনের কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফ্লাইওভারের উভয় প্রান্তে যানবাহনের চাপ তৈরি হওয়া, দূরপাল্লার গাড়ির ঢাকায় প্রবেশ ও বের হওয়া, সিগন্যালগুলোতে পর্যান্ত ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন না করা, চালকদের ইচ্ছামতো যানবাহন চালানো, ট্রাফিক আইন মেনে না চলা, আইনের প্রয়োগ যথাযথভাবে না হওয়া, আড়তগুলোতে মালবাহী গাড়ির প্রবেশ ও বের হওয়া, সড়কের অনুপাতে যানবাহন বেশি হওয়া, চালকদের আগে যাওয়ার চেষ্টা, যত্রতত্র যাত্রী তোলা ও নামানো, ফাঁকা সড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত স্থান না থাকা, মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা চালানো ইত্যাদি।
গত কয়েকদিন সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, রামপুরা, বাড্ডা, বিমানবন্দর সড়ক, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, বিজয় সরণি, কারওয়ানবাজার, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও গাবতলী ঘুরে মধ্যরাতেও যানজট দেখা গেছে। কোথাও দীর্ঘ আবার কোথাও স্বল্প গাড়ির জট দেখা যায়। বিশেষ করে ফ্লাইওভারের উভয়প্রান্ত এবং এক্সপ্রেসওয়ের প্রতিটি র্যাম্প থেকে নামার পর যানবাহনের জটলা লেগে যাচ্ছে প্রায়ই। এ ছাড়া অনেক সিগন্যালে রাতে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় এবং কিছু সিগন্যালে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও অপর্যাপ্ততার কারণে ইচ্ছামতো গাড়ি চালানোয় নৈরাজ্য চলছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সূত্রমতে, রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ট্রাফিক পুলিশের ৪ হাজার সদস্য রয়েছেন। মেগাসিটির যানবাহন নিয়ন্ত্রণে দিনে ৪৩৯টি পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করেন তারা। এসব পয়েন্টে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দুই শিফটে ভাগ হয়ে দায়িত্ব পালন করে ট্রাফিক পুলিশ। তবে রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাত্র ৪৭টি পয়েন্টে থাকে ট্রাফিক পুলিশ। সর্বসাকুল্যে ২০০ জনের মতো রাতে থাকলেও দুই শিফটের কারণে পয়েন্টভেদে তিন থেকে পাঁচজন দায়িত্ব পালন করেন।
ট্রাফিক পুলিশের একাধিক সূত্র বলছে, রাত ১০টার পর মূলত সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, মহাখালী, গাবতলী দিয়ে দূরপাল্লার বাসগুলো ঢাকায় ঢোকে এবং বের হয়। আবার কারওয়ানবাজার, মিরপুর-১, যাত্রাবাড়ী কাঁচামালের আড়ত, কাপ্তান বাজার, পুরান ঢাকার শ্যামবাজার ও বাদামতলীর ফলের আড়তে মালবাহী প্রচুর ট্রাক আসে এবং বের হয়। ফলে এসব এলাকায় যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। সেই বিবেচনায় এসব পয়েন্টসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ থাকে রাতে। কিন্তু অপর্যাপ্ততার কারণে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী দৈনিক আমার দেশকে বলেন, রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও তারা কার্যত ব্যর্থ হচ্ছেন। এত কম জনবল দিয়ে এই শহরের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। দিনে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও তাদের নমনীয়ভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। রাতে কয়েকটি পয়েন্ট ছাড়া কোথাও ট্রাফিক পুলিশ দেখা যায় না। ফলে রাতে সড়কে নৈরাজ্যের শেষ নেই।
পেশাগত কারণে রাতে চলাচল করা বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত ১১টার পর থেকেই সড়কের বেশির ভাগ পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের দেখা মেলে না। সিগন্যালগুলোতে ইচ্ছামতো গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা। ফলে যানজট লেগে যাচ্ছে। আবার ফ্লাইওভার ও উড়াল সড়কের র্যাম্পগুলোর ওঠানামার প্রান্তেও যানবাহনের চাপের কারণে জটলা লেগে যাচ্ছে। এতে মধ্যরাতেও যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। অন্যদিকে ১২টার পর ফাঁকা সড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান অনেক চালক। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি যেমন থাকে, তেমনই অন্য যানবাহনের চালকরাও থাকেন ঝুঁকিতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি তালেবুর রহমান আমার দেশকে বলেন, দেশের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে যেতে ঢাকার ওপর দিয়ে যেতে হয়। এ ছাড়া রাতে পাইকারি বাজারে মালামাল নিয়ে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ঢাকায় ঢোকে। ফলে রাতেও ঢাকায় যানজট হয়।
বাস টার্মিনাল ও কাঁচামালের আড়তসংশ্লিষ্ট পয়েন্টে যানবাহন থেকে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে কারণে এসব পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা রাতের দায়িত্ব পেতে রীতিমতো তদবির করে পোস্টিং নেন বলেও সূত্র জানায়। টাকা নিতে গাড়ি দাঁড় করানো হয়, তাতে কখনো সিগন্যাল ফাঁকা হয়ে পড়ে, কখনো তৈরি হয় যানজট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বাসচালক অভিযোগ করেছেন, প্রতিটি বাস যাত্রী নিয়ে টার্মিনাল ছাড়ার পর চাঁদাবাজি হয়। এর সঙ্গে পরিবহন খাতের এক বা একাধিক গ্রুপ জড়িত। ট্রাফিক পুলিশও তার ভাগ পায়। আবার বিভিন্ন পয়েন্টেও ট্রাফিক পুলিশ চাঁদা নেয়। একাধিক ট্রাক চালকের অভিযোগ, মালবাহী গাড়ি আসার পথে কিছু পয়েন্টে এবং আড়তে প্রবেশের সময় ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়।
এ বিষয়ে ডিসি তালেবুর আমার দেশকে বলেন, ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি কিংবা তদবিরের অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়। সবাই তো আর এই ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নয়। অভিযোগ-প্রমাণ পেলে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। এমন ঘটনা একেবারেই কমে এসেছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। রাতে বেপরোয়া গতির যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ মনিটরিং করে। খুব বেশি পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ রাখা যাচ্ছে না। সে কারণে কোথাও কোথাও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে এবং যানজট নিরসনে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এমবি
ঢাকা মানেই যানজটের শহর। দিনে সড়কের চিরচেনা এই রূপ দেখে অভ্যস্ত নগরবাসী। মধ্যরাতেও স্বস্তি মিলছে না। বিশেষ করে ফ্লাইওভারের উভয়প্রান্ত এবং এক্সপ্রেসওয়ের প্রতিটি র্যাম্পে যানবাহনের জটলা লেগে যাচ্ছে।
রাতের প্রথমার্ধে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়কে যানজট আর শেষার্ধে যানবাহনের বেপরোয়া গতি লক্ষ করা যাচ্ছে। সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের অপর্যাপ্ততা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। আইনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা, যাত্রী ও পথচারীদেরও রয়েছে সচেতনতার অভাব। ফলে রাতের সড়কে চলছে নৈরাজ্য, দেখার যেন কেউ নেই!
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্ষমতার পালাবদলের পর বিভিন্ন খাতে সংস্কারের হাওয়া বইলেও সড়কের ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটছে না। বিশাল এই খাতে শৃঙ্খলা আনতে সরকার কিছু উদ্যোগ নিলেও তা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। ফলে দিনে সড়কে বিশৃঙ্খলা তো চলছেই, রাতেও মিলছে না স্বস্তি।
রাতের সড়কে নৈরাজ্যের পেছনের কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফ্লাইওভারের উভয় প্রান্তে যানবাহনের চাপ তৈরি হওয়া, দূরপাল্লার গাড়ির ঢাকায় প্রবেশ ও বের হওয়া, সিগন্যালগুলোতে পর্যান্ত ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন না করা, চালকদের ইচ্ছামতো যানবাহন চালানো, ট্রাফিক আইন মেনে না চলা, আইনের প্রয়োগ যথাযথভাবে না হওয়া, আড়তগুলোতে মালবাহী গাড়ির প্রবেশ ও বের হওয়া, সড়কের অনুপাতে যানবাহন বেশি হওয়া, চালকদের আগে যাওয়ার চেষ্টা, যত্রতত্র যাত্রী তোলা ও নামানো, ফাঁকা সড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত স্থান না থাকা, মূল সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা চালানো ইত্যাদি।
গত কয়েকদিন সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, রামপুরা, বাড্ডা, বিমানবন্দর সড়ক, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, বিজয় সরণি, কারওয়ানবাজার, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও গাবতলী ঘুরে মধ্যরাতেও যানজট দেখা গেছে। কোথাও দীর্ঘ আবার কোথাও স্বল্প গাড়ির জট দেখা যায়। বিশেষ করে ফ্লাইওভারের উভয়প্রান্ত এবং এক্সপ্রেসওয়ের প্রতিটি র্যাম্প থেকে নামার পর যানবাহনের জটলা লেগে যাচ্ছে প্রায়ই। এ ছাড়া অনেক সিগন্যালে রাতে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় এবং কিছু সিগন্যালে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও অপর্যাপ্ততার কারণে ইচ্ছামতো গাড়ি চালানোয় নৈরাজ্য চলছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সূত্রমতে, রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ট্রাফিক পুলিশের ৪ হাজার সদস্য রয়েছেন। মেগাসিটির যানবাহন নিয়ন্ত্রণে দিনে ৪৩৯টি পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করেন তারা। এসব পয়েন্টে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দুই শিফটে ভাগ হয়ে দায়িত্ব পালন করে ট্রাফিক পুলিশ। তবে রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাত্র ৪৭টি পয়েন্টে থাকে ট্রাফিক পুলিশ। সর্বসাকুল্যে ২০০ জনের মতো রাতে থাকলেও দুই শিফটের কারণে পয়েন্টভেদে তিন থেকে পাঁচজন দায়িত্ব পালন করেন।
ট্রাফিক পুলিশের একাধিক সূত্র বলছে, রাত ১০টার পর মূলত সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, মহাখালী, গাবতলী দিয়ে দূরপাল্লার বাসগুলো ঢাকায় ঢোকে এবং বের হয়। আবার কারওয়ানবাজার, মিরপুর-১, যাত্রাবাড়ী কাঁচামালের আড়ত, কাপ্তান বাজার, পুরান ঢাকার শ্যামবাজার ও বাদামতলীর ফলের আড়তে মালবাহী প্রচুর ট্রাক আসে এবং বের হয়। ফলে এসব এলাকায় যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়। সেই বিবেচনায় এসব পয়েন্টসহ আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ থাকে রাতে। কিন্তু অপর্যাপ্ততার কারণে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী দৈনিক আমার দেশকে বলেন, রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও তারা কার্যত ব্যর্থ হচ্ছেন। এত কম জনবল দিয়ে এই শহরের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। দিনে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও তাদের নমনীয়ভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। রাতে কয়েকটি পয়েন্ট ছাড়া কোথাও ট্রাফিক পুলিশ দেখা যায় না। ফলে রাতে সড়কে নৈরাজ্যের শেষ নেই।
পেশাগত কারণে রাতে চলাচল করা বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত ১১টার পর থেকেই সড়কের বেশির ভাগ পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের দেখা মেলে না। সিগন্যালগুলোতে ইচ্ছামতো গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা। ফলে যানজট লেগে যাচ্ছে। আবার ফ্লাইওভার ও উড়াল সড়কের র্যাম্পগুলোর ওঠানামার প্রান্তেও যানবাহনের চাপের কারণে জটলা লেগে যাচ্ছে। এতে মধ্যরাতেও যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। অন্যদিকে ১২টার পর ফাঁকা সড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান অনেক চালক। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি যেমন থাকে, তেমনই অন্য যানবাহনের চালকরাও থাকেন ঝুঁকিতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি তালেবুর রহমান আমার দেশকে বলেন, দেশের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে যেতে ঢাকার ওপর দিয়ে যেতে হয়। এ ছাড়া রাতে পাইকারি বাজারে মালামাল নিয়ে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ঢাকায় ঢোকে। ফলে রাতেও ঢাকায় যানজট হয়।
বাস টার্মিনাল ও কাঁচামালের আড়তসংশ্লিষ্ট পয়েন্টে যানবাহন থেকে ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে কারণে এসব পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা রাতের দায়িত্ব পেতে রীতিমতো তদবির করে পোস্টিং নেন বলেও সূত্র জানায়। টাকা নিতে গাড়ি দাঁড় করানো হয়, তাতে কখনো সিগন্যাল ফাঁকা হয়ে পড়ে, কখনো তৈরি হয় যানজট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বাসচালক অভিযোগ করেছেন, প্রতিটি বাস যাত্রী নিয়ে টার্মিনাল ছাড়ার পর চাঁদাবাজি হয়। এর সঙ্গে পরিবহন খাতের এক বা একাধিক গ্রুপ জড়িত। ট্রাফিক পুলিশও তার ভাগ পায়। আবার বিভিন্ন পয়েন্টেও ট্রাফিক পুলিশ চাঁদা নেয়। একাধিক ট্রাক চালকের অভিযোগ, মালবাহী গাড়ি আসার পথে কিছু পয়েন্টে এবং আড়তে প্রবেশের সময় ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিতে হয়।
এ বিষয়ে ডিসি তালেবুর আমার দেশকে বলেন, ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি কিংবা তদবিরের অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়। সবাই তো আর এই ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নয়। অভিযোগ-প্রমাণ পেলে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। এমন ঘটনা একেবারেই কমে এসেছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। রাতে বেপরোয়া গতির যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ মনিটরিং করে। খুব বেশি পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ রাখা যাচ্ছে না। সে কারণে কোথাও কোথাও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সড়কে শৃঙ্খলা আনতে এবং যানজট নিরসনে সমন্বিত ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এমবি
রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে দুই ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী ঢামেক হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন। তাদেরকে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। আহতরা হলেন, নরসিংদীর মাদবদী এলাকার ক্ষুদ্র কাপড় ব্যাবসায়ী মো: সজল (৩০), ও আলামিন(২৭)।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকা থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে অজ্ঞাতনামা পুরুষের বয়স আনুমানিক ৬০ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেনাগরিকদের কাছে সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে রাজধানীতে নতুন তিনটি নাগরিক সেবাকেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়েছে। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেমেট্রোরেলের কোনো স্টেশনে গিয়ে কার্ড স্ক্যান করে ভেতরে ঢোকার পর যাত্রা না করে বেরিয়ে গেলে ১০০ টাকা ভাড়া কাটবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে কেউ কার্ড স্ক্যান করে স্টেশনের ভেতরে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে গেলে তাকে কোনো ভাড়া দিতে হতো না। নতুন নিয়মে সেই সুযোগ থাকছে না।
৫ ঘণ্টা আগে