রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাতে বাবু (২৩) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তার বাবা আবুল কাশেম (৬৫) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
সোমবার দিবাগত রাতে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকার বি-ব্লকের তিন নম্বর রোডে নিহতদের বাসার সামনে এই নৃশংস ঘটনা ঘটে।
নিহত বাবুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, তার বাবা আবুল কাশেমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাওনা টাকা নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে বাবু ও তার পরিবারের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে সোমবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে একবার কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও, রাতে প্রতিপক্ষ দলবল নিয়ে পুনরায় তাদের বাসার সামনে চড়াও হয়।
এ সময় তারা বাবু ও তার বাবা আবুল কাশেমকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বাবুকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, আবুল কাশেমের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শরীরে একাধিক গভীর ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে এবং অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, 'প্রাথমিকভাবে জানা গেছে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। সন্ধ্যায় একবার ঝগড়ার পর রাতে প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে বাসার সামনে এসে হামলা চালায়।'
এসআই সাজ্জাদ আরও জানান, নিহতের মরদেহ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে এবং মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত আরও জানা যাবে।

