পাহাড় কাদের দখলে, তালিকা প্রকাশ করুন: আনু মুহাম্মদ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯: ০৭

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, পাহাড় কাদের দখলে আছে, তাদের তালিকা প্রকাশ করুন এবং সামরিকীকরণের মধ্যে দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য, রিসোর্ট তৈরি করে কাদের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে? পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালির নামে সহিংসতা হচ্ছে কিন্তু সারা বাংলাদেশে কি স্বার্থ রক্ষা করছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কালক্রম শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে আনু মুহাম্মদ বলেন, একটা দেশে বিভিন্ন ধর্ম, কালচার বা মতের মানুষ থাকে এবং তারা সবাই মিলে একটা দেশ গড়ে তুলবে। দেশে হিন্দুদের সাথে মুসলিমদের সাথে দ্বন্দ্ব সংঘাত থাকলেও বৌদ্ধদের সাথে এমন দ্বন্দ্ব ছিল না। সহিংসতা স্বাধীনভাবে ঘটছে না বরং রাজনৈতিক, সাম্রাজ্যবাদী ও ধর্মীয় স্বার্থ আছে। সহিংসতা, দ্বন্দ্ব সংঘাতের দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এবং তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে। বৈষম্য যারা বৃদ্ধি করে তাদের দাপট বাংলাদেশে দেখতে পাচ্ছি। অত্যাচারিত সরকারকে পতনের জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়েছে কিন্তু সহিষ্ণুতার জন্য তো কোন শক্তি সমাবেশ ছিল না। ফলে পরিবর্তনের যে প্রত্যাশা ছিল সেটা হয় নাই।  

রয়টার্সের সাংবাদিক তাহমিদ আল জামি বলেন ২০১২ সালে রামু যে ঘটনা ঘটেছে, এর পূর্ববর্তী ২০০৭ সাল থেকেই বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক হামলা এবং হেফাজতের আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময়ে আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। ৫ আগস্টের পর প্রায় শতাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিপ্লবী জনগণের নাম ব্যবহার করে যে হামলা হচ্ছে এবং যারা আক্রান্ত হয়েছে সেটা কিন্তু শ্রমিক, নারী, আদিবাসী ও ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। তৌহিদি জনতার যে ফ্যাসিবাদ সেটা হচ্ছে আকিদাগত ফ্যাসিজম।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ কাফি রতন বলেন, একটা ফেসবুকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটা সংখ্যালঘু পাড়া জ্বালিয়ে দেওয়া হলো, এটাই ফ্যাসিজম, এক ধরনের ধর্মীয় ফ্যাসিজম। যারা আজকে ক্ষমতায় আছেন তারা আমাদের লড়াইয়ের উপলব্ধি ধারণ করে না। ক্ষমতার কাছাকাছি যারা আছে, তারা বলছেন মিথ্যা ধর্ষণের কথা বলে ভারত বাংলাদেশের বাঙালি এবং আদিবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ লাগিয়েছে। ৫৪ বছরে কোন সরকারই গনতান্ত্রিকভাবে সরকার পরিচালনা করে নাই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন জয়দীপ ভট্টাচার্য, ফেরদৌস আরা রুমি, অর্থনীতিবিদ ও লেখক সুজিত চৌধুরী, অরুপ রাহী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা মিত্রা, হাইকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত