ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে খুন হয় সোহাগ: ডিএমপি কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৪: ২৩
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৪: ৩৪
ছবি: আমার দেশ

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা ও ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা নয়জন। সর্বশেষ মঙ্গলবার ১৫ জুলাই পটুয়াখালী থেকে হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলিম হওয়া অভি নামে এজাহারভুক্ত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন সোহাগ।

বিজ্ঞাপন

বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ‘সোহাগ হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় এজাহার থেকে নাম বাদ দেয়ার বিষয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, নিহতের বোন আগের খসড়া এজাহার থেকে পাঁচজনের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে একজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। ঘটনার পর পরই থানায় উপস্থিত হয়ে সোহাগের তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী লাকি এবং সৎ ভাই রনি দুজনে মিলে পরামর্শ করে ২৩ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে এজাহারের খসড়া তৈরি করেন। পরে সোহাগের বোন মুঞ্জয়ারা বেগম থানায় উপস্থিত হয়ে নিজে মামলার বাদী হবেন বলে জানালে সে অনুযায়ী মামলা নেয় পুলিশ। এজাহারে মোট ১৯ জনকে আসামি করে মামলা হয়।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) এস এন নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (এডমিন) ফারুক আহমেদ, লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার জসীম উদ্দীন, মিডিয়া বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রমুখ।

তিনি বলেন, নিহতের বোনের এজাহার দাখিলের পর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। কোনো ঘটনা এজাহার একটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী মাত্র। এজাহারের উল্লিখিত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঘটনা চলাকালীন ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরোয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় অভিযুক্তরা একটা মবের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। 'চাঁদাবাজদের জায়গা নাই, ব্যবসায়ীদের ভয় নাই' এমন স্লোগান দিচ্ছিল। এ অবস্থা চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরোয়ার ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহজনক মাহমুদুল হাসান মহিন ও রবিন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেন।

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এজাহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হলো- মামলা দায়েরের জন্য নিহত সোহাগের সাবেক স্ত্রী লাকী আক্তার থানায় আসে, কিছুক্ষণ পর সোহাগের সৎ ভাই রনিও থানায় আসে। তারা নিজের মধ্যে পরামর্শ করে ২৩ জনকে আসামি করে একটি খসড়া এজাহার প্রস্তুত করেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত