স্টাফ রিপোর্টার
'ছাত্র জাগলে বায়ান্ন হয় ছাত্র জাগলে চব্বিশ, ছাত্র জাগলে লেখা হয় ইতিহাসের সব বই।'/ কিংবা 'ষড়যন্ত্রের সঙ বুঝি না, দেশটা বুঝি পুরা, দেশের গায়ে হাত দিলে জাস্ট হাড্ডি করুম গুড়া।' এমন অসংখ্য সময়োপযোগী ছড়া-পদ্য রচনা করে ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণআন্দোলনকে প্রাণীত করেছেন ছড়াকার জগলুল হায়দার।
বিপ্লবী এসব সিম্বল রেখল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল্যবোধ বাস্তবায়নে সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোড়ালো করতে হবে। আধিপত্যবাদী সাংস্কৃতিক মনোপলি ভাঙতে বাংলাদেশপন্থী মূল্যবোধ সম্পন্ন সাহিত্য- সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা দরকার।
শনিবার বিকেলে বাংলা একাডেমির শামসুর রাহমান মিলনায়তনে আয়োজিত “ছড়াকার জগলুল হায়দার নাগরিক সংবর্ধনা কমিটি” আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, “জগলুল হায়দার শুধু একজন ছড়াকার নন, তিনি আমাদের সময়ের এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। সাহসী কলম দিয়ে তিনি সমাজ-রাজনীতি ও রাষ্ট্রীয় সংকটের কথা সাহসিকতার সঙ্গে লিখে গেছেন। তাঁর ছড়া বাংলা সাহিত্যে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের সভাপতি কবি শাহীন রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, কবি জাকির আবু জাফর, শিল্পী ও সাংবাদিক আমিরুল মোমেনীন মানিক, ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ।
তারা বলেন, জগলুল হায়দারের ছড়া পাঠকের অন্তরে সরাসরি আঘাত হানে। তার লেখনীতে প্রতিবাদ, বিদ্রুপ ও হাস্যরস এক অনন্য মিশ্রণ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে তিনি যে সাহসের সঙ্গে কলম ধরেছেন, তা তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, জগলুল হায়দারের ছড়া শুধু বিনোদনের জন্য নয়; এগুলো সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তার প্রতিচ্ছবি। তিনি নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন। সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন, ছড়া কেবল শিশুসাহিত্য নয়, এটি হতে পারে শক্তিশালী রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিবাদের হাতিয়ার।
সংবর্ধিত ছড়াকার জগলুল হায়দার ধন্যবাদ জ্ঞাপনে বলেন, “এ সম্মান আমার একার নয়, এটি বাংলা ছড়ার জয়। ছড়া আজ শিশুতোষ পরিসর অতিক্রম করে বৃহত্তর সমাজ-সচেতনতার ভাষা হয়ে উঠেছে। আমি কৃতজ্ঞ যারা আমার লেখনীকে ভালোবেসেছেন এবং সাহস যুগিয়েছেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংবর্ধনা কমিটির সদস্য সচিব কবি আবিদ আজম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এ কমিটির আহবায়ক ছড়াকার কাদের বাবু। অনুষ্ঠানে জগলুল হায়দারকে নিয়ে কাদের বাবু সম্পাদিত একটি সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অন্যানের মধে বক্তব্য রাখেন কবি জামসেদ ওয়াজেদ, কবি সৈয়দ রনো, কবি ও সাংবাদিক প্রতীক ওমর, মোশফেকা নীপা, কবি তানজীনা ফেরদৌস, কবি মঈন মুনতাসীর, কবি জহিদ কাজী, কবি শিমুল পারভীন।
অনুষ্ঠানে সাহিত্যপ্রেমী, গবেষক, তরুণ লেখক এবং পাঠকসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সমবেত করতালিতে ভেসে যায় শামসুর রাহমান মিলনায়তন। নাগরিক সংবর্ধনার এ আয়োজন জগলুল হায়দারের সাহিত্যভ্রমণের এক গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি হয়ে থাকবে।
'ছাত্র জাগলে বায়ান্ন হয় ছাত্র জাগলে চব্বিশ, ছাত্র জাগলে লেখা হয় ইতিহাসের সব বই।'/ কিংবা 'ষড়যন্ত্রের সঙ বুঝি না, দেশটা বুঝি পুরা, দেশের গায়ে হাত দিলে জাস্ট হাড্ডি করুম গুড়া।' এমন অসংখ্য সময়োপযোগী ছড়া-পদ্য রচনা করে ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণআন্দোলনকে প্রাণীত করেছেন ছড়াকার জগলুল হায়দার।
বিপ্লবী এসব সিম্বল রেখল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল্যবোধ বাস্তবায়নে সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোড়ালো করতে হবে। আধিপত্যবাদী সাংস্কৃতিক মনোপলি ভাঙতে বাংলাদেশপন্থী মূল্যবোধ সম্পন্ন সাহিত্য- সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা দরকার।
শনিবার বিকেলে বাংলা একাডেমির শামসুর রাহমান মিলনায়তনে আয়োজিত “ছড়াকার জগলুল হায়দার নাগরিক সংবর্ধনা কমিটি” আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, “জগলুল হায়দার শুধু একজন ছড়াকার নন, তিনি আমাদের সময়ের এক প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। সাহসী কলম দিয়ে তিনি সমাজ-রাজনীতি ও রাষ্ট্রীয় সংকটের কথা সাহসিকতার সঙ্গে লিখে গেছেন। তাঁর ছড়া বাংলা সাহিত্যে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের সভাপতি কবি শাহীন রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন, কবি জাকির আবু জাফর, শিল্পী ও সাংবাদিক আমিরুল মোমেনীন মানিক, ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ।
তারা বলেন, জগলুল হায়দারের ছড়া পাঠকের অন্তরে সরাসরি আঘাত হানে। তার লেখনীতে প্রতিবাদ, বিদ্রুপ ও হাস্যরস এক অনন্য মিশ্রণ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে তিনি যে সাহসের সঙ্গে কলম ধরেছেন, তা তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, জগলুল হায়দারের ছড়া শুধু বিনোদনের জন্য নয়; এগুলো সমাজ ও রাষ্ট্রচিন্তার প্রতিচ্ছবি। তিনি নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন। সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন, ছড়া কেবল শিশুসাহিত্য নয়, এটি হতে পারে শক্তিশালী রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিবাদের হাতিয়ার।
সংবর্ধিত ছড়াকার জগলুল হায়দার ধন্যবাদ জ্ঞাপনে বলেন, “এ সম্মান আমার একার নয়, এটি বাংলা ছড়ার জয়। ছড়া আজ শিশুতোষ পরিসর অতিক্রম করে বৃহত্তর সমাজ-সচেতনতার ভাষা হয়ে উঠেছে। আমি কৃতজ্ঞ যারা আমার লেখনীকে ভালোবেসেছেন এবং সাহস যুগিয়েছেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংবর্ধনা কমিটির সদস্য সচিব কবি আবিদ আজম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এ কমিটির আহবায়ক ছড়াকার কাদের বাবু। অনুষ্ঠানে জগলুল হায়দারকে নিয়ে কাদের বাবু সম্পাদিত একটি সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অন্যানের মধে বক্তব্য রাখেন কবি জামসেদ ওয়াজেদ, কবি সৈয়দ রনো, কবি ও সাংবাদিক প্রতীক ওমর, মোশফেকা নীপা, কবি তানজীনা ফেরদৌস, কবি মঈন মুনতাসীর, কবি জহিদ কাজী, কবি শিমুল পারভীন।
অনুষ্ঠানে সাহিত্যপ্রেমী, গবেষক, তরুণ লেখক এবং পাঠকসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সমবেত করতালিতে ভেসে যায় শামসুর রাহমান মিলনায়তন। নাগরিক সংবর্ধনার এ আয়োজন জগলুল হায়দারের সাহিত্যভ্রমণের এক গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি হয়ে থাকবে।
মেট্রোরেলের কোনো স্টেশনে গিয়ে কার্ড স্ক্যান করে ভেতরে ঢোকার পর যাত্রা না করে বেরিয়ে গেলে ১০০ টাকা ভাড়া কাটবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে কেউ কার্ড স্ক্যান করে স্টেশনের ভেতরে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে গেলে তাকে কোনো ভাড়া দিতে হতো না। নতুন নিয়মে সেই সুযোগ থাকছে না।
২ ঘণ্টা আগেইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (ইউএপি)-তে ‘‘এড ওয়াল ফেয়ার: মাস্টারিং দ্য ব্যাটেল অফ এডভার্টাইজিং’’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশের বীমা খাত উন্নয়ন প্রকল্প (বিআইএসডিপি) এর আওতায় সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের প্যাকেজ ভিত্তিক অটোমেশন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নির্দেশনা লঙ্ঘন করে ফিলিপ মরিসের নিকোটিন পাউচ তৈরির কারখানা স্থাপনের উদ্যোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি-টোবাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)।
১৮ ঘণ্টা আগে