তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৯ নভেম্বর (বুধবার) ২০২৫ তারিখে মেট্রো ঢাকা বিপণন বিভাগ-৪ (গুলশান কার্যালয়)-এর আওতাধীন গুলশান সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের লক্ষ্যে মেঢাবিবি-৪ এর কর্মকর্তা-কর্মচারী, লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রতিনিধি এবং গুলশান টহল পুলিশ এর উপস্থিতিতে অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
গুলশানের ৩২, ৩৩, ও ২৮ নম্বর রাস্তায় অবৈধভাবে প্লাস্টিক হোস পাইপের মাধ্যমে কড়াইল বস্তিতে গ্যাস সংযোগ পরিলক্ষিত হওয়ার সোর্স লাইন কিলিং সহ মোট ৭০০ ফুট পাইপ অপসারণ করা হয়েছে। এতে আনুমানিক ৩৫০টি ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
রাজধানীর কড়াইল বস্তির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ২২ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখ বুধবার সকাল ০৯:০০ ঘটিকায় গুলশান সোসাইটির নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গুলশানের অবৈধ সংযোগের বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শনপূর্বক অবৈধ গ্যাস সংযোগের সোর্স লাইন সনাক্ত করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এ সময় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মিডিয়ার প্রশ্নের উত্তরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. শাহনেওয়াজ পারভেজ জানান যে, তিতাস গ্যাসের নিয়মিত অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে গুলশান হতে কড়াইল বস্তিগামী অবৈধ গ্যাসলাইন সমূহ নিয়মিত বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু এরপরও গুলশান হতে কড়াইল বস্তিতে বারবার দুষ্কৃতকারীদের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস সংযোগ গ্রহণ করা হয়। অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ কাজে গুলশান সোসাইটির অন্তর্ভুক্তি কড়াইল বস্তিগামী অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদকে আরো কার্যকর ও গতিশীল করবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদানের সাথে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে তাদের বহিষ্কার করাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এছাড়াও, গত ৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ২০২৫ তারিখে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ সিমন সরকারের নেতৃত্বে মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ ৪-এর আওতাধীন গুলশান সংলগ্ন কড়াইল বস্তিতে অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন অত্র কোম্পানির মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. শাহনেওয়াজ পারভেজ বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে নিজে উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনসহ জরুরি দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং বিভিন্ন গ্রাহক আঙিনায় অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালান। কড়াইল বস্তির অবৈধ গ্যাস সংযোগের মূল উৎপাটন করতে গিয়ে এর সাথে কানেক্টেড গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর ২০২৪ হতে গত ১৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ৪১৯টি শিল্প, ৫৪৪টি বাণিজ্যিক ও ৭৫,৩৪৮টি আবাসিকসহ মোট ৭৬,৩১১টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ১,৬৩,৬৭৫টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ৩১৭ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।
এসআর

