গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ কমিটিকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ২৩: ০৭

পতিত আওয়ামী সরকারের সময়ে ফ্যাসিবাদের থাবা থেকে রেহাই পায়নি রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদ অ্যান্ড ঈদগাহ সোসাইটি। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী দীর্ঘ আট মাসেও মুক্ত হতে পারেনি ধর্মীয় এ প্রতিষ্ঠান।

এমনই পরিস্থিতিতে শনিবার সেখানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অতিরিক্ত বার্ষিক সাধারণ সভা (ইজিএম) এবং ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। এতে ব্যবস্থাপনা কমিটিকে ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত করার দাবি উঠেছে। একই সঙ্গে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ ও যোগ্য ব্যক্তিদের এই কমিটিতে স্থান দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, গুলশান কেন্দ্রীয় মসজিদ অ্যান্ড ঈদগাহ সোসাইটি যা গুলশান আজাদ মসজিদ নামেও পরিচিত। দীর্ঘদিন এর সভাপতি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী। ২০২৩ সালে তার মৃত্যুর পর সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত হন সাবেক সচিব মুফলেহ আর ওসমানী। আর সেক্রেটারি জেনারেল পদে আছেন বাকশাল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি একেএম নুরুল ফজল বুলবুল। সদস্যের অনেকেই আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা। মাওলানা মাহমুদুল হাসান এই মসজিদের বর্তমান খতিব।

লাইফ মেম্বার (বর্তমানে স্থগিত) ওমর ফারুক জানান, মসজিদ ঘিরে যে ধরনের উন্নয়ন হওয়ার দরকার তা করা হয়নি। কমিটির শীর্ষ নেতারা ইমাম, খতিব, খাদেম ও মুসল্লিদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়েও প্রশ্ন আছে। সব মিলিয়ে এখানে ক্ষমতার দাপট ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করা হয়।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যবস্থাপনা কমিটির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মুফলেহ আর ওসমানী বলেন, বাইরে কেউ রাজনীতি করলেও এখানে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। মসজিদে প্রায় ৬০০ জন মেম্বার রয়েছে। এখানে আর্থিক কোনো অনিয়মের কথা তার জানা নেই বলেও উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। শনিবার এজিএমে বার্ষিক রিপোর্ট পেশ’সহ নতুন কমিটি নিয়ে আলোচনা হবে।

এ বিষয়ে কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল একেএম নুরুল ফজল বুলবুল বলেন, শনিবারের এজিএমে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এতে সভাপতি ও সেক্রেটারি বিদায় নিচ্ছেন। মসজিদ থেকে মাসে ১০ লাখ টাকা ভাড়া বাবদ এবং প্রতি শুক্রবার ৫০ হাজার টাকা আয় হয় জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে কোনো অনিয়ম করার সুযোগ নেই।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত