সন্তু লারমা ভারতের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছে। হাসিনা সরকারও তো ভারতে অবস্থান নিয়েছে। ভারতের দুই এজেন্টের মধ্যে চুক্তি হয়েছে৷ বলে মনে করেন বিগ্রেডিয়ার জেনারল (অব:) আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ। ভারতেও দুইশতের মতো উপজাতি রয়েছে। সেখানে তো কোন শান্তিচুক্তি হয় না। তাহলে বাংলাদেশে কেন শান্তিচুক্তির প্রয়োজন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি চুক্তির ২৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে শান্তি চুক্তির প্রাপ্তি, প্রত্যাশা ও পুনঃমূল্যায়ন" বিষয়ক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারল আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ বলেন, ক্ষমতা গ্রহনের পর এক বছরের মধ্যেই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তারা মূলত ভারতের সুবিধার্তে নিজেরা নিজেরা চুক্তি করেছে। শান্তিচুক্তিতে প্রত্যেকটা উপজাতির স্ব স্ব অধিকার। কেন এটা হবে? বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জন্য সমান অধিকার হওয়ার কথা। আবার বাঙালির তুলনায় উপজাতিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কেন তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে?
ওরাতো অভিবাসী। তারা তো তিব্বত থেকে আরাকান হয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করেছে। সুতরাং তারা কোনভাবেই আদিবাসী হতে পারে না। মূলত দুইটা সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামীলীগ ও জেএসএসের সন্ত লারমার মধ্যে চুক্তি হয়েছে। পার্বত্য চুক্তি থেকে বাঙালি তো বটেই চাকমাদের অল্প কিছু এলিট ছাড়া অন্য উপজাতিরাও সুবিধা পাচ্ছে না।
কতগুলো জেলা পরিষদ বা আঞ্চলিক পরিষদ বানানো হয়েছে। এর সব জায়গায় চাকমাদের বসানো হয়েছে। ভোট দিতে হলেও আঞ্চলিক পরিষদের অনুমোদন নিতে হবে। এই বিষয়ে আলোচনা করাও সময়ের অপচয়। পাহাড়ি যারা আছে তারাও আমাদের ভালোবাসে না।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৬ বছর পর ভারতের এজেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বাংলাদেশের তরুণরা। আমরা আশা করব, আগামী নির্বাচনে সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল এই দুই এজেন্টের চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দিবে।
এসময় পিসিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি রাসেল মাহমুদের সভাপতিত্বে ও পিসিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক, রিয়াজুল হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন, স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির আহবায়ক জিয়াউল হক, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা শেখ আহমেদ রাজু, বান্দরবান জর্জ কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট জয়নাল আবেদিন ভুইয়া, বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: ইলিয়াস মাতাব্বর প্রমুখ।

