এসএমই ফাউন্ডেশনের বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারের সেবা পেয়ে উদ্যোক্তা হয়েছেন ১৩৮জন। তাদের মধ্যে ৭২জন পুরুষ ও ৬৬জন নারী-উদ্যোক্তা। এসএমই ফাউন্ডেশনের বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে তারা নিজেদের ব্যবসা উন্নয়নে সহায়তা এবং দেশে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা, জাতীয় এসএমই পণ্য মেলাসহ বিভিন্ন মেলার পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, চীন, শ্রীলংকা ও নেপালে মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
একজন গণি ক্রিয়েশন-এর উদ্যোক্তা মো. মাহফুজুল গণি জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২২ বিজয়ী হয়েছেন। আজ ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ আগারগাঁও পর্যটন ভবনের শৈলপ্রপাত মিলনায়তনে এসএমই ফাউন্ডেশনের বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারের সেবাপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের সনদ প্রদান করা হয়।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন জনাব মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্টার্ট-আপ বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল হাই।
বিশেষ অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক পর্ষদ সদস্য এবং কে ক্রাফট-এর ম্যানেজিং পার্টনার খালিদ মাহমুদ খান এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারের সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সালাম সরদার। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মো. মুসফিকুর রহমান বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তারা নিজেদের ব্যবসা গড়ে তুলতে ব্যবসায়িক জ্ঞান, দক্ষতা, প্রস্তুতি, প্রশিক্ষণ ও মেন্টরশিপ সেবা পেয়ে থাকেন।
পাশাপাশি তাদের এ ধরনের স্বীকৃতি নতুন উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করবে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৪ বছরে এসএমই ফাউন্ডেশনের বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার নতুন উদ্যোক্তাদের ওয়ার্কিং স্পেস ব্যবহার, ব্যবসায় নেটওয়ার্কিং, প্রশিক্ষণ, দেশী-বিদেশী মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে মার্কেট লিংকেজ ও নতুন মার্কেট প্রাপ্তি, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা, বিজনেস অ্যাডভাইজারি সেবা, ঋণ প্রাপ্তি বিষয়ে সহায়তা, লিগ্যাল ইস্যুতে সহায়তা, প্রতিমাসে উদ্যোক্তা আড্ডাসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করছে, যা উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে করছে।
উল্লেখ্য, র্বতমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান প্রায় ৩০% শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে, দেশের প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় ৯৯% কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই)। শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫% সিএমএসএমই খাতে। এই খাতে প্রায় ৩ কোটিরও বেশি জনবল কর্মরত আছে।
অধিক জনসংখ্যা এবং সীমিত সম্পদের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত সুরক্ষার মাধ্যমে এসএমই খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশন সরকারের জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ এসএমই নীতিমালা এবং এসডিজি ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা এসএমই ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচির সুবিধাভোগী প্রায় ২০ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, যাদের ৬০%-ই নারী-উদ্যোক্তা।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

