ঋণ আদালতে প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি মামলা অমীমাংসিত: প্রধান বিচারপতি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২১: ৫২

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কোনো পৃথক বিচারিক ফোরাম নেই। এখন কোটি কোটি টাকার বাণিজ্যিক বিরোধগুলোকে ছোটখাটো দেওয়ানি মামলার সঙ্গে একই সারিতে নিষ্পত্তি করায় দ্রুত,কার্যকর বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। 

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এর ফলে মামলার জট যেমন বাড়ছে, তেমনি ব্যবসায়িক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ পরিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত শুধু অর্থ ঋণ আদালতে প্রায় ২৫,০০০-এরও বেশি মামলা অমীমাংসিত রয়ে গেছে। 

রোববার সিলেটে ইউএনডিপির সহযোগিতায় বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, ইউএনডিপি এর রেসিডেন্সিয়াল রিপ্রেজেনটেটিভ স্টিফান লিলার এবং সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জনাব জাফর আহমেদ।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বাণিজ্যিক মামলাগুলো বিশেষায়িত আদালতে নির্দিষ্ট সময়সীমা ও কার্যকর রায়ের মধ্যমে নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য বৃহৎ বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী সবাই দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সভা-সেমিনারে এই দাবি জানিয়ে আসছে। 

তিনি বৈশ্বিক উদাহরণ তুলে ধরে বলেন রুয়ান্ডা, ভারত ও পাকিস্তানের মত দেশগুলো বাণিজ্যিক আদালত গড়ে তুলে একটি দক্ষ, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, এ সকল দেশের অভিজ্ঞতাগুলো বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা বহন করে ।

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, এটি আমাদের জন্য এক অনন্য সুযোগ। শুধু একটি নতুন আদালত গঠন নয়, বরং অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের জন্য এক নতুন ভিত্তি গড়ে তোলা। আজ আমরা সম্মিলিতভাবে সেই পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করছি।

সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি, বিডার প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আর্বিট্রেশন সেন্টারের প্রতিনিধি, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ, আইনজীবীবৃন্দ এবং সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত