স্টাফ রিপোর্টার
ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান।
মঙ্গলাবার সকালে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ তারিক এজাজের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে চলতি বছরের ৩ মার্চ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে এ মামলায় বেকসুর খালস দেন একই আদালত।
শফিক রেহমান আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রায়ে সন্তুষ্ট আমরা। এই রায়ের মধ্যদিয়ে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই মামলার ঘটনায় সত্যের বিন্দুমাত্র কোন কিছু ছিল না। সাজানো ও মিথ্যা সাক্ষী ছিলো। এভিডেন্স ছিলনা। আইনেরও কোন তোয়াক্কা করা হয়নি। একজন সম্মানিত নাগরিককে যেভাবে আইনের তেয়াক্কা না করে সাজা দেয়া হয়েছে তার উদাহরণ এই মামলা।
তিনি আরো বলেন, যারা মিথ্যা মামলা ও সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকে আইনের আওতায় আনা উচিত। পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর যারা মিথ্যা মামলা ও সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
এদিকে রায়ে প্রতিক্রিয়ায় দৈনিক যায়যায় দিনের পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান লিখিত বক্তব্যে শুরুতেই বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যা চেষ্টার যে মামলা করা হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিলে, আজ সেটির রায় হলো। রায়ে মামলা থেকে আমাকে খালাস দেয়া হয়েছে। সুদীর্ঘ নয় বছর পরে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও প্রশংসা করছি মাননীয় বিচারকবৃন্দকে। তারা এটাও প্রতিষ্ঠা করলেন, এখন বিচার বিভাগ স্বাধীন।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে। তিনি বহু সভা-সমিতিতে আমার মুক্তি দাবি করেছিলেন। আমাকে গ্রেপ্তার করার পর তিনি দেশের আইনজীবীদের আমার পক্ষে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই মুহূর্তে স্মরণ করছি প্রয়াত আইনজীবী এ.জে. মোহাম্মদ আলী এবং প্রয়াত আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়াকে। এদের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান, জয়নুল আবেদিন মেজবাহ, মাসুদ তালুকদার, ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন পুতুল, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, রাজীব আহসান চৌধুরী পাপ্পু, কামরুজ্জামান সুমন, শাকিল আহমেদ রিপন। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সহধর্মিনী তালেয়া রেহমানের ওপরও। তিনি বলেন, তিনি (তালেয়া রেহমান) এখন লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন। আমার গ্রেপ্তারের দিন থেকে তার ওপরও অনেক ঝড়ঝাপ্টা গেছে। ধন্যবাদ জানাতে চাই, আমার ছেলে সুমিত রেহমানকে। যিনি আমার মুক্তির দাবিতে লন্ডনে কয়েক হাজার বৃটিশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছিলেন। আমি সর্বোপরি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই জুলাই বিপ্লবীদের-যারা নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ও জীবিত আছেন তাদের সবাইকে। তাদের আত্মত্যাগের ফলেই আজ সত্যটা প্রতিষ্ঠিত হতে পারলো।
এ মামলায় গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে করা গ্রেপ্তারি পরোয়ান প্রত্যাহারের আবেদন করেন শফিক রেহমান। আদালত তা মঞ্জুর করেন। এরপর ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন পান দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। পরে মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পান তিনি।
২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার তৎকালীন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ মামলার রায় দেন। রায়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও যায়যায় দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির জোটভুক্ত অন্যান্য নেতারা জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করে পুলিশ।
ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন দৈনিক যায়যায় দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান।
মঙ্গলাবার সকালে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ তারিক এজাজের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে চলতি বছরের ৩ মার্চ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে এ মামলায় বেকসুর খালস দেন একই আদালত।
শফিক রেহমান আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রায়ে সন্তুষ্ট আমরা। এই রায়ের মধ্যদিয়ে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই মামলার ঘটনায় সত্যের বিন্দুমাত্র কোন কিছু ছিল না। সাজানো ও মিথ্যা সাক্ষী ছিলো। এভিডেন্স ছিলনা। আইনেরও কোন তোয়াক্কা করা হয়নি। একজন সম্মানিত নাগরিককে যেভাবে আইনের তেয়াক্কা না করে সাজা দেয়া হয়েছে তার উদাহরণ এই মামলা।
তিনি আরো বলেন, যারা মিথ্যা মামলা ও সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকে আইনের আওতায় আনা উচিত। পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর যারা মিথ্যা মামলা ও সাক্ষ্য দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
এদিকে রায়ে প্রতিক্রিয়ায় দৈনিক যায়যায় দিনের পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান লিখিত বক্তব্যে শুরুতেই বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যা চেষ্টার যে মামলা করা হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিলে, আজ সেটির রায় হলো। রায়ে মামলা থেকে আমাকে খালাস দেয়া হয়েছে। সুদীর্ঘ নয় বছর পরে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও প্রশংসা করছি মাননীয় বিচারকবৃন্দকে। তারা এটাও প্রতিষ্ঠা করলেন, এখন বিচার বিভাগ স্বাধীন।
তিনি আরও বলেন, আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে। তিনি বহু সভা-সমিতিতে আমার মুক্তি দাবি করেছিলেন। আমাকে গ্রেপ্তার করার পর তিনি দেশের আইনজীবীদের আমার পক্ষে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই মুহূর্তে স্মরণ করছি প্রয়াত আইনজীবী এ.জে. মোহাম্মদ আলী এবং প্রয়াত আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়াকে। এদের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করেন অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান, জয়নুল আবেদিন মেজবাহ, মাসুদ তালুকদার, ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন পুতুল, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, রাজীব আহসান চৌধুরী পাপ্পু, কামরুজ্জামান সুমন, শাকিল আহমেদ রিপন। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সহধর্মিনী তালেয়া রেহমানের ওপরও। তিনি বলেন, তিনি (তালেয়া রেহমান) এখন লন্ডনে চিকিৎসাধীন আছেন। আমার গ্রেপ্তারের দিন থেকে তার ওপরও অনেক ঝড়ঝাপ্টা গেছে। ধন্যবাদ জানাতে চাই, আমার ছেলে সুমিত রেহমানকে। যিনি আমার মুক্তির দাবিতে লন্ডনে কয়েক হাজার বৃটিশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছিলেন। আমি সর্বোপরি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই জুলাই বিপ্লবীদের-যারা নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ও জীবিত আছেন তাদের সবাইকে। তাদের আত্মত্যাগের ফলেই আজ সত্যটা প্রতিষ্ঠিত হতে পারলো।
এ মামলায় গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে করা গ্রেপ্তারি পরোয়ান প্রত্যাহারের আবেদন করেন শফিক রেহমান। আদালত তা মঞ্জুর করেন। এরপর ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন পান দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। পরে মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পান তিনি।
২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার তৎকালীন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ মামলার রায় দেন। রায়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও যায়যায় দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির জোটভুক্ত অন্যান্য নেতারা জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় অপহরণের মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করে পুলিশ।
আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া জানান, “ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের যে বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার একটি ৫৮’র সি ধারা, যেখানে বলা আছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গঠিত হবে সংসদ ভেঙে দেয়ার পনের দিনের মধ্যে। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হলে এটা শুধুমাত্র সংসদ ভেঙে ..
২ ঘণ্টা আগেগত অগাস্টে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবীধানমালা-২০২৪ সংশোধন করে ম্যানেজিং কমিটি এবং গভর্নিং বডির সভাপতি পদে শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল অন্তবর্তীকালীন সরকার।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজের অপরাধ গোপন করে অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাঁচার জন্য অ্যাপ্রুভার হয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেআবেদনে বলা হয়, সেলিম প্রধান দেশের মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটানো ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি প্রয়াসে একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের অর্থযোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে। সে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে