ক্ষমা চেয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। ট্রাইব্যুনালে শুনানিকালে বিএনপির এই নেতা বলেন, আল্লাহর পরে আদালতকে সম্মান করি।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে সোমবার বেলা ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হন ফজলুর রহমান।
তার সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ বেশ কয়েকজন।
এদিন ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে শুনানি হয়।
ট্রাইব্যুনালে ফজলুর রহমানের পক্ষে প্রথমে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস। এরপর আদালত ফজলুর রহমানকে ডাকেন।
এ সময় আদালতকে ফজলুর রহমান বলেন, টকশোতে যা বলেছি, তা ছিল স্লিপ অব টাং। আল্লাহর পরে আদালতকে সম্মান করি। আমি নিঃশর্ত ক্ষমা চাই।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল তাকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।
এর আগে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে গত ৩০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তলব করে শুনানি ও আদেশের এই দিন ধার্য করেন। আজ তাকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এ সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বলেন আদালত।
এছাড়া ওইদিন আদালত অবমাননার অভিযোগে ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করা হয়। আদালত অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, নোটিশে তা জানতে চাওয়া হয়। সেদিন তাকে তলবও করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফজলুর রহমানকে আজ আদালতে হাজির হতে হবে।
গত ৩০ নভেম্বরের আদেশে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে উত্থাপিত অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এ সময় তাকে নিজের সব অ্যাকাডেমিক সনদ ও আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল প্রদত্ত সনদও নিয়ে আসতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
এরপর তিনি অবমাননার অভিযোগে আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। গত ৩ ডিসেম্বর চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ২৬ নভেম্বর ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। অভিযোগ করেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।


ক্ষমা চেয়ে অব্যাহতি পেলেন ফজলুর রহমান