মহানগর আদালতেও নূরুল হুদার জামিন নামঞ্জুর

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ৫৩
আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ২০: ০৯

সিএমএম আদালতের পর এবার মহানগর দায়রা জজ আদালতেও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)কে এম নূরুল হুদার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন বিচারক। বৃহস্পতিবার ঢাকার ১২তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালত তার এই জামিন নামঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

এদিন নূরুল হুদার পক্ষে তার আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সজীব জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ওই আদেশ দেন। জামিন নামঞ্জুরের এ আদেশ নিশ্চিত করেন তার আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সজীব।

গত ২২ জুন উত্তরা এলাকা থেকে নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন রাষ্ট্রদ্রোহ, জনগণের ভোট ছাড়া নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে বিএনপির করা শেরেবাংলা নগর থানার মামলায়

তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ২৭ জুন দ্বিতীয় দফায় তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১ জুলাই তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

গত ২ জুলাই তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। গত ২২ জুন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উল্টো ‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মামলা, গুম, খুন ও তথ্য সংরক্ষণ সমন্বয়ক সালাহ উদ্দিন খান এ মামলার বাদী, যিনি একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর মামলায় দণ্ডবিধির ১২৪ (ক)/ ৪২০/৪০৬ ধারায় অভিযোগ সংযুক্ত করার আবেদন করা হয়। 

মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে  সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ মামলার আসামি। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে মামলায়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ওই তিন নির্বাচনে 'গায়েবী মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ঘটনার সাক্ষী সকল ভোট কেন্দ্র এলাকার ভোটাররা এবং ভোটারদের মধ্যে যারা ভোট প্রদান করতে বঞ্চিত হয়েছেন তারাসহ ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যরা। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে অনেক সৎ প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ অফিসারসহ স্থানীয় লোকজনসহ আরো অন্যান্যরা ঘটনার সাক্ষী হবে। এছাড়া ব্যালট পেপারে যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃতভাবে তারা ভোট দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে উল্লিখিত ঘটনার সঠিক রহস্য তদন্তে সত্য উদঘাটিত হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত