বিতর্কিত ১৮ বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর বিষয়কে ‘যুগান্তকারী সাহসী সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন বর্তমান সময়ের আলোচিত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির।
শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পোস্টে আইনজীবী শিশির মনির বলেন—১৮ জন বিচারককে অবসরে পাঠানো হয়েছে। যুগান্তকারী সাহসী সিদ্ধান্ত। অনেক বড় সংস্কার। সকলের জন্যই শিক্ষা আছে। সাধু সাবধান!
এর আগে ব্যাপক দুর্নীতি ও বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিরোধী মত দমন-পীড়নে সহযোগিতার অভিযোগে বিতর্কিত ১৮ বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।

বৃহস্পতিবার রাতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিচার শাখার প্রজ্ঞাপনে তাদের অবসরে পাঠানোর বিষয়টি জানানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিরোধী মত দমন-পীড়নে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো বিচারকরা বলেন—সংযুক্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) (জেলা ও দায়রা জজ) বিকাশ কুমার সাহা, রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান, কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাহবুবার রহমান সরকার, কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শেখ গোলাম মাহবুব, ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এহসানুল হক, খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুয়েল রানা, সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনাল বিচারক মনির কামাল, পটুয়াখালীর বিশেষ জজ সহিদুল ইসলাম, দিনাজপুরের বিশেষ জজ আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর, টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ মো. নাজিমুদ্দৌলা, ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক ফজলে এলাহী ভূইয়া, আইন মন্ত্রণালয়ের সংযুক্ত কর্মকর্তা (ওএসডি )(জেলা ও দায়রা জজ ) আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান, বরিশাল প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সদস্য জজ রুস্তম আলী, মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত (ওএসডি )অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) নূরুল ইসলাম, পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ একেএম এনামুল করিম, মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত (ওএসডি) (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ হোসেন।


কেন ১৮ বিচারককে অবসরে পাঠালো সরকার, তারা কারা
সংবিধানে নয়, জুলাই ঘোষণাপত্র তফসিলে চায় বিএনপি