আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর সড়কের ২৭/বি বাড়িটি হস্তান্তরের হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি মঙ্গলবার সকালে প্রকাশ করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায়ে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সালাম মুর্শেদীর বাড়িটি দখলে নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বাড়িটিকে পরিত্যক্ত সম্পত্তি ও তা মুর্শেদী দখল করেছেন, এমন অভিযোগ এনে আদালতে রিট করেন ব্যারিস্টার সুমন। এরপর আদালতের আদেশে অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সম্পত্তিটি ১৯৬০ সালে ঢাকা রি-রোলিং মিলস এর নামে তৎকালীন ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি, বর্তমানে রাজউক) বরাদ্দ প্রদান করে। ১৯৭০ সালের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে ঢাকা রি-রোলিং মিলসের মালিকরা পাকিস্তানি হওয়ায় দেশ ত্যাগ করেন। সেই সুযোগে মো. ওয়াছিউর রহমান নামে এক ব্যক্তি রি-রোলিং মিলসের অ্যাটর্নি হিসেবে নিজেকে দাবি করেন। প্লটটিতে অবৈধভাবে দখলপূর্বক বসবাস শুরু করেন।
ওয়াছিউর রহমান ১৯৭২ সালের জুনে ডিআইটিতে আবেদন করে প্লটটি তার স্ত্রী মিসেস মালেকা রহমানের নামে ক্রয় করা হয়েছে বলে জানান। আবার একই বছরের সেপ্টেম্বরে পৃথক আবেদনে ওয়াছিউর জানান, তিনি ঢাকা রি-রোলিং মিলসের নিকট হতে প্লটটি নিজে ক্রয় করেছেন। যা বিপরীতমুখী এবং বিভ্রান্তিমূলক। রাজউকের এস্টেট ও ভূমি-১ শাখায় রক্ষিত গুলশান আবাসিক এলাকার সিইএন (ডি)- ২৭ এর বিভাজনকৃত প্লট সিইএন (ডি)- ২৭/বি এর রক্ষিত ফটোকপি নথিতে ১৯৬৯ সনের বিক্রয় চুক্তিনামার সত্যায়িত কপিতে ঢাকা রি-রোলিং মিলসের সঙ্গে মিসেস মালেকা রহমানের বিক্রয় চুক্তি (রেজিস্ট্রিকৃত নয়) এবং পাওয়ার অব অ্যাটর্নির সত্যায়িত কপিতে প্লটটির বিপরীতে ঢাকা রি-রোলিং মিলসের অংশীদারদের পক্ষে আইনগত অ্যাটর্নি মি. সফিক আহমেদকে দেখা যায়। যদিও আইনগত অ্যাটর্নি হিসেবে তার দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।


হাসিনার পারিবারিক লুটপাটের খাত ছিল আইসিটি