হাইকোর্টের তদন্তের নির্দেশ

মানিকগঞ্জে বালুমহালের নামে ৪ হাজার একর কৃষিজমির মাটি লোপাট

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৩৮

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার রাহাতপুরে শতভাগ উর্বর কৃষিজমি থেকে নির্বিচারে মাটি কেটে নেয়ার বিষয়ে অবিলম্বে তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে করা একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রিটে ভূমি মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিবাদী করা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আশরাফুল ইসলাম।

রিট আবেদনে বলা হয়, রাহাতপুর মৌজায় ৪ হাজার একরের বেশি কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে তিন ফসলি জমির মালিকদের থেকে খাজনা-কর নেওয়া বন্ধ করে সেই জমিতে বালুমহাল ঘোষণা করে ইজারা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। ইজারাদার প্রতিনিয়ত বালু-মাটি খনন করে কৃষিজমি নষ্ট করছেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীদের পক্ষে জেলা প্রশাসকের কাছে বারবার অভিযোগ করা হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। ইজারাদারের লোকজন দেশি-বিদেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাধারণ কৃষকদের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। এর প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী মো. শফিকুল ইসলামসহ ১৭ কৃষকের পক্ষে এ ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট আবেদন করা হয়।

রিট শুনানির পর আদালত আগামী ৩ মাসের জন্য কৃষি জমির নির্বিচার ড্রেজিং বন্ধ করা নির্দেশনা দেয়। এছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে ৪ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিলে নির্দেশনা দেয়া হয়।

এদিকে ভুক্তভোগী কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, আদালতের আদেশের পরও মাটি কাটা অব্যাহত রাখা হয়েছে। ভূমি-দস্যুদের পক্ষে মেসার্স প্রাইস কন্সট্রাকশান’র স্বত্বাধিকারী মোস্তাফিজুর রহমান (প্রিন্স) আপিলেট ডিভিশনে  একটি পিটিশন দিয়ে এ মাটি কাটা অব্যাহত রেখেছেন ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত