সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সচিব শফিকুল করাগারে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯: ০৫

রাজধানীর শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সচিব ভুইয়া মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.আরিফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন তাকে আদালতে হাজির করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এতে বলা হয়, আসামি শফিকুল ইসলাম মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার পরামর্শ ও সহযোগিতায় মঞ্চ ৭১ নামক সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ ঘটে। আসামি এই মামলার এজাহারনামীয় আরেক আসামি লতিফ সিদ্দিকীসহ অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে গোপন বৈঠক ও যোগাযোগ করেছেন এমন সব তথ্য পাওয়া গেছে।

এ কারণে আসামি জামিনে মুক্তি পেলে রাষ্ট্র তথা সরকারের বিরুদ্ধে পুনরায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে পারে। এছাড়া মামলার তদন্তেও বিঘ্ন ঘটতে পারে। এমতাবস্থায় মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেল হাজতে আটক রাখা প্রয়োজন। এছাড়া মামলার তদন্তের স্বার্থে পরবর্তীতে বাপক ও নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিকে পুলিশ রিমান্ডে পাওয়ার আবেদন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার ভোরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আনন্দলোক ইকো রিসোর্ট থেকে শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

মামলায় অভিযোগ, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধের লক্ষ্যে গত ৫ অগাস্ট "মঞ্চ ৭১" নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এ সংগঠনের উদ্দেশ্য জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেয়া। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত ২৮ আগস্ট সকাল ১০ টায় একটি গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেগুনবাগিচাস্থ সকাল ১১ টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর মধ্যেই এক দল ব্যক্তি হট্টগোল করে স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে ঢুকে পড়েন। একপর্যায়ে তারা অনুষ্ঠানস্থলের দরজা বন্ধ করে দেন। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে লাঞ্ছিতও করেন। হট্টগোলকারীরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং আলোচনায় অংশ নেওয়াদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। একপর্যায়ে অতিথিদের অনেককেই বের করে দেওয়া হলেও আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। পরে সেখান থেকে ১৬ জনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেন এসআই আমিরুল ইসলাম। পরবর্তীতে এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

অপর আসামিরা হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), গোলাম মোস্তফা, জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খাঁন, আমির হোসেন সুমন, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, আব্দুল্লাহীল কাইউম, কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল,মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, দেওয়ান মোহম্মদ আলী এবং মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত