মানবতাবিরোধী গুমের মামলা

শেখ হাসিনাসহ সেনা অফিসারদের ট্রাইবুনালে বুধবার হাজির করার নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৩৫
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৪১

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মানবতাবিরোধী গুমের দুই মামলায় দেশের ইতিহাসে এই প্রথম সেনা কর্মকর্তাদের আদালতে হাজির করা হবে। বুধবার সকালে তাদের ট্রাইব্যুনাল-১-এ হাজির করার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ৯ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

বিজ্ঞাপন

গুমের এ দুটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তৎকালীন নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ ডিজি এবং র‌্যাবে কর্মরত তৎকালীন সামরিক অফিসারসহ মোট ২৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

মামলাটির বিষয়ে বুধবার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রসিকিউটর গাজী মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন তামিম সাংবাদিকদের জানান, গুমের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তারা যদি হাজির হতে চান তো পারেন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি তাদের গ্রেপ্তার করে হাজির করে। তারা যদি জামিন চান এবং জামিনের গ্রাউন্ড থাকে—ট্রাইব্যুনাল চাইলে তাদের জামিন দিতে পারেন। অথবা ট্রাইব্যুনাল তাদের কারাগারে পাঠাতে পারেন।

গাজি তামিম বলেন, যদি ওনারা হাজির না হন অথবা তাদের হাজির করা না হয়, তাহলে তাদের বিষয়ে দুটি জাতীয় পত্রিকায় (বাংলা এবং ইংরেজি) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে এবং তারিখ নির্ধারণ করা হবে ওনাদের হাজির করার জন্য।

তবে পরোয়ানা জারির পর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পরোয়ানায় উল্লিখিত বাহিনীতে কর্মরত ১৫ জন কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ওই সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ‘সেনাবাহিনী দ্ব্যর্থহীনভাবে বিচারের পক্ষে—“নো কম্প্রোমাইজ উইথ ইনসাফ”। আমরা বিশ্বাস করি, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। গুমের শিকার পরিবারগুলোর প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।’

সংবিধান বিশেষজ্ঞরা আমার দেশকে বলেন, সংবিধান নিজে আন্তর্জাতিক অপরাধের আইনগুলোকে সুরক্ষা দিচ্ছে। সুতরাং এই আইনের কোনো বিধানকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। এই আইনের কোনো বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে কোনো আদালতে যাওয়া যাবে না। এমনকি রিট পিটিশন দায়ের করা যাবে না। এটার সুরক্ষা স্বয়ং সংবিধান দিয়েছে।

উল্লেখ্য, আসামিদের বিরুদ্ধে জেআইসি তথা আয়নাঘর এবং টিএফআই তথা র‌্যাব আয়নাঘরের মাধ্যমে মোট ৩৪ টি ভয়াবহ গুমের ঘটনা সংঘটনের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত