স্টাফ রিপোর্টার
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষা করে পাস করানো সহ ৫ দফা দাবিতে এবার মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন অনুত্তীর্ণরা। রোববার রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ভবনের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের পক্ষে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, ফলাফল পুনঃনিরীক্ষার দাবিতে ভুক্তভোগী ২০ হাজার নিবন্ধন প্রত্যাশীর মাধ্যমে আমাদের লাগাতার আন্দোলন চলছে। তার অংশ হিসেবে রোববার একটি মহাসমাবেশের আয়োজন করতে যাচ্ছি। এটি সকাল ৮ টায় এনটিআরসি ভবনের সামনে হবে। একইসঙ্গে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা গত ১৫ তারিখ থেকে লাগাতার আন্দোলন করছি। কিন্তু আমরা কোনোভাবেই শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারি নাই। আমরা প্রতিনিধি দলসহ তার সঙ্গে দেখা করতে চাই।
এসময় লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন আরেক চাকরি প্রত্যাশী সোনিয়া আক্তার। তিনি বলেন, ই-সনদে ভাইভার নম্বর অনুপস্থিত-যা ফলাফলের স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করে। যে ভাইভার জন্য ২০ হাজারেরও বেশি প্রার্থীকে ফেল করানো হলো, সে ভাইভার নম্বর কেন উল্লেখ থাকবে না? আর যে ভাইভার নম্বর উল্লেখ থাকবে না তার জন্য কেন ফেল করানো হবে?
এনটিআরসিএর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ১৫ জুন আন্দোলনরত প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার সময় বলেছিলেন, আপনাদের ভাইভায় ফেল করানো হয়নি, শুধু লিখিত নম্বর কম থাকায় বাদ দেওয়া হয়েছে।" অথচ ই-সনদ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অনেকেই কেবল লিখিত অংশে ৪০ নম্বর পেয়েও সনদ পেয়েছেন। সুতরাং তার বক্তব্যটি সত্য নয়। এছাড়াও তিনি বলেছিলেন চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর তাদের আর কিছু করার নেই। কিন্তু ২৩ জুন 'কারিগরি ত্রুটির কারণ দেখিয়ে ওয়েবসাইটে 'সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি' দিয়ে আরও ১১৩ চাকরিপ্রার্থীকে উত্তীর্ণ দেখিয়েছে এনটিআরসিএ।
এভাবে গণহারে ফেল করানোর কারণে শিক্ষক সংকট তীব্র হবে জানিয়ে তারা বলেন, ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদ ১ লাখ ৮২২টি আর এনটিআরসিএ পাস করিয়েছে মাত্র ৬০ হাজার প্রার্থীকে। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পাস করে আসা এ প্রার্থীদের পাস করালে একদিকে শিক্ষক সংকট কমবে, অন্যদিকে বেকারত্বও কমবে।
এসময় আন্দোলনকারীদের পক্ষে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে-১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা ফলাফল পুনঃনিরীক্ষা করে সনদপত্র ও মৌলিক কাগজপত্র ঠিক থাকা সকল প্রার্থীকে পাস করানো হোক। যেহেতু এনটিআরসিএর বিধিমালায় ভাইভার মোট নম্বরের ৪০% পেলেই পাসের কথা বলা হয়েছে তাই যাদের সনদপত্র ও প্রশ্নোত্তরের নম্বর মিলে ৪০% বা তার বেশি (৮ বা তার বেশি) আছে তাদের সবাইকে পাস করিয়ে নিয়োগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক।
যেহেতু লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই সনদপত্র প্রদান করা হয় আর ভাইভা অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী যেহেতু লিখিত অংশে ৪০% বা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন, তাই তাঁদের সকলকেই ই-সনদ প্রদান করা হোক। ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি সকল কার্যক্রমে আমাদেরকেও লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকায় যুক্ত করে নিয়োগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক। চরম বৈষম্যমূলক ফলাফল অবিলম্বে সংশোধন করে আমাদের পাস করানো হোক। তা না হলে, হাজার হাজার মেধাবী ও পরিশ্রমী তরুণ শিক্ষকের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাবে এবং এনটিআরসিএর ওপর দেশের শিক্ষার্থীরা আস্থা হারাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-আন্দোলন সমন্বয়ক সোহেল রানা, আবু তাহের, নীলুফা ইয়াসমিন প্রমুখ।
এর আগে এনটিআরসিএ এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের বাধা ও হামলার শিকার হন আন্দোলনকারীরা। এতে অনেকে আহত হন।
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভার ফলাফল পুনঃনিরীক্ষা করে পাস করানো সহ ৫ দফা দাবিতে এবার মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন অনুত্তীর্ণরা। রোববার রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ভবনের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের পক্ষে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, ফলাফল পুনঃনিরীক্ষার দাবিতে ভুক্তভোগী ২০ হাজার নিবন্ধন প্রত্যাশীর মাধ্যমে আমাদের লাগাতার আন্দোলন চলছে। তার অংশ হিসেবে রোববার একটি মহাসমাবেশের আয়োজন করতে যাচ্ছি। এটি সকাল ৮ টায় এনটিআরসি ভবনের সামনে হবে। একইসঙ্গে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা গত ১৫ তারিখ থেকে লাগাতার আন্দোলন করছি। কিন্তু আমরা কোনোভাবেই শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারি নাই। আমরা প্রতিনিধি দলসহ তার সঙ্গে দেখা করতে চাই।
এসময় লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন আরেক চাকরি প্রত্যাশী সোনিয়া আক্তার। তিনি বলেন, ই-সনদে ভাইভার নম্বর অনুপস্থিত-যা ফলাফলের স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করে। যে ভাইভার জন্য ২০ হাজারেরও বেশি প্রার্থীকে ফেল করানো হলো, সে ভাইভার নম্বর কেন উল্লেখ থাকবে না? আর যে ভাইভার নম্বর উল্লেখ থাকবে না তার জন্য কেন ফেল করানো হবে?
এনটিআরসিএর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ১৫ জুন আন্দোলনরত প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার সময় বলেছিলেন, আপনাদের ভাইভায় ফেল করানো হয়নি, শুধু লিখিত নম্বর কম থাকায় বাদ দেওয়া হয়েছে।" অথচ ই-সনদ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, অনেকেই কেবল লিখিত অংশে ৪০ নম্বর পেয়েও সনদ পেয়েছেন। সুতরাং তার বক্তব্যটি সত্য নয়। এছাড়াও তিনি বলেছিলেন চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর তাদের আর কিছু করার নেই। কিন্তু ২৩ জুন 'কারিগরি ত্রুটির কারণ দেখিয়ে ওয়েবসাইটে 'সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি' দিয়ে আরও ১১৩ চাকরিপ্রার্থীকে উত্তীর্ণ দেখিয়েছে এনটিআরসিএ।
এভাবে গণহারে ফেল করানোর কারণে শিক্ষক সংকট তীব্র হবে জানিয়ে তারা বলেন, ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদ ১ লাখ ৮২২টি আর এনটিআরসিএ পাস করিয়েছে মাত্র ৬০ হাজার প্রার্থীকে। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পাস করে আসা এ প্রার্থীদের পাস করালে একদিকে শিক্ষক সংকট কমবে, অন্যদিকে বেকারত্বও কমবে।
এসময় আন্দোলনকারীদের পক্ষে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে-১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা ফলাফল পুনঃনিরীক্ষা করে সনদপত্র ও মৌলিক কাগজপত্র ঠিক থাকা সকল প্রার্থীকে পাস করানো হোক। যেহেতু এনটিআরসিএর বিধিমালায় ভাইভার মোট নম্বরের ৪০% পেলেই পাসের কথা বলা হয়েছে তাই যাদের সনদপত্র ও প্রশ্নোত্তরের নম্বর মিলে ৪০% বা তার বেশি (৮ বা তার বেশি) আছে তাদের সবাইকে পাস করিয়ে নিয়োগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক।
যেহেতু লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই সনদপত্র প্রদান করা হয় আর ভাইভা অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থী যেহেতু লিখিত অংশে ৪০% বা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন, তাই তাঁদের সকলকেই ই-সনদ প্রদান করা হোক। ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি সকল কার্যক্রমে আমাদেরকেও লিখিত পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকায় যুক্ত করে নিয়োগ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক। চরম বৈষম্যমূলক ফলাফল অবিলম্বে সংশোধন করে আমাদের পাস করানো হোক। তা না হলে, হাজার হাজার মেধাবী ও পরিশ্রমী তরুণ শিক্ষকের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে যাবে এবং এনটিআরসিএর ওপর দেশের শিক্ষার্থীরা আস্থা হারাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-আন্দোলন সমন্বয়ক সোহেল রানা, আবু তাহের, নীলুফা ইয়াসমিন প্রমুখ।
এর আগে এনটিআরসিএ এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পুলিশের বাধা ও হামলার শিকার হন আন্দোলনকারীরা। এতে অনেকে আহত হন।
ধর্ষণ ও নারী অবমাননার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উত্তাল ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাস। রাত ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলা এই বিক্ষোভে শত শত শিক্ষার্থী অংশ নেন। বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়
৭ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রী সংস্থার সেক্রেটারি ও চাকসুর ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক নাহিমা আক্তার দীপা বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত নারী ও শিশু নির্যাতন-ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে।
১০ ঘণ্টা আগেড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেছেন, আমাদের সমাজে ঐক্যের বড় অভাব। ঐক্যের অভাবে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র এগুতে পারছে না।
২১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদ মীর মুগ্ধের নামে দুটি সুপেয় পানির ফিল্টারের স্থাপন করেছে ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে একটির উদ্বোধন করেন শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি মোহাম্মদ আলী।
১ দিন আগে