
ফাহমিদুর রহমান ফাহিম, রাবি

প্রতি বছর দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেক মানুষ। এখন পর্যন্ত চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ এই ভাইরাস। কারণ, এর নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। এমন বাস্তবতায় ডেঙ্গু ভাইরাস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল লতিফ। গবেষণায় ডেঙ্গুর ৯টি নতুন জিন আবিষ্কার করেছেন তিনি। নির্ধারণ করা হয়েছে সম্ভাব্য তিনটি ওষুধ।
গবেষণায় সিডিকে১ (CDK1), বিরসি৫ (BIRC5), টিমস (TYMS), কেআইএফ২০এ (KIF20A), সিসিএনবি২ (CCNB2), সিডিসি২০ (CDC20), অরকেবি (AURKB), টিকেও১ (TK1) এবং পিটিইএন (PTEN)Ñএ ৯টি জিনকে ‘হোস্ট কি-জিন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি জিন সরাসরি ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণ বাড়াতে ভূমিকা রাখে বলে গবেষকরা উল্লেখ করেছেন। জিনগুলো
ভাইরাসকে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া দখল করতে এবং ইন্টারফেরন সংকেত দমন করতে সাহায্য করে। ফলে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
গবেষণায় আরো পাওয়া গেছে, ফক্সসি১ (FOXC1), রেলা (RELA), গাটা২ (GATA2), টিপি৫৩ (TP53) এবং পিপিএআরজি (PPARG) নামের ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টরগুলো ডেঙ্গুসম্পর্কিত জিনগুলোর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া মাইক্রো-আরএনএ মি-আর-১০৩এ-৩পি (miR-103a-3p) ভাইরাসের প্রতিলিপি প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয়। মলিকুলার ডকিং বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষণায় তিনটি সম্ভাব্য ওষুধÑএনট্রেকটিনিব (Entrectinib), ইমাটিনিব (Imatinib) এবং কিউএল৪৭ (QL47) শনাক্ত করা হয়েছে, যেগুলো ভবিষ্যতে ডেঙ্গুর চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা। ওষুধগুলো ভাইরাসকে সরাসরি নয়; বরং মানবদেহের ভেতরে ভাইরাসের ‘সহযোগী’ জিনগুলোকে টার্গেট করবে, যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক ভিন্ন কৌশল।
আব্দুল লতিফ গবেষণার পাশাপাশি নিজের প্রতিষ্ঠিত অনলাইন গবেষণা শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম ‘স্টেটএক্স’-এর প্রধান নির্বাহী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার গবেষণায় সহযোগিতায় ছিলেন একই বিভাগের মো. আল নোমান ও মো. ফয়সাল আহমেদ। গবেষণায় তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে ছিলেন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. নুরুল হক মোল্লা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে এ গবেষণা ২০২৫ সালের ৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ হয়।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জার্নাল প্লোজ ওয়ানে (PLoS ONE) একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রকাশ করেছেন তারা। ইন-সিলিকো (কম্পিউটারভিত্তিক) বিশ্লেষণের মাধ্যমে তারা মানবদেহের ৯টি জিন শনাক্ত করেছেন, যেগুলো ডেঙ্গুর সংক্রমণ, কোষচক্রের ব্যাঘাত ও রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার দুর্বলতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
গবেষক মো. আব্দুল লতিফ বলেন, আমাদের এ গবেষণা ডেঙ্গু সংক্রমণের পেছনের জিনগত প্রক্রিয়া উন্মোচন করেছে এবং হোস্টনির্ভর চিকিৎসা উদ্ভাবনের নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এ তথ্যগুলো ব্যবহার করে কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি তৈরি সম্ভব।
তিনি আরো জানান, আমাদের গবেষণায় আমরা ডেঙ্গু সংক্রমণের পেছনের জিনগত কার্যপ্রক্রিয়া উন্মোচন করেছি। এটি স্পষ্ট করেছে কীভাবে ভাইরাস মানবদেহের কোষের জিন নিয়ন্ত্রণ করে নিজের প্রতিলিপি তৈরি করে এবং সংক্রমণ বাড়ায়। এ আবিষ্কার ভবিষ্যতে হোস্টনির্ভর ওষুধ ও চিকিৎসা উদ্ভাবনের নতুন পথ দেখাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এছাড়া চিহ্নিত তিনটি সম্ভাব্য ওষুধ ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও এর চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বলে আশা গবেষকদের।
গবেষণাটির তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. নুরুল হক মোল্লা জানান, ডেঙ্গু নিয়ে এখন পর্যন্ত এমন কোনো গবেষণা হয়নি, যার মাধ্যমে ওষুধের সংখ্যা কমিয়ে রোগীর আরো উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়। আমরা এমন কিছু জিন শনাক্ত করেছি, যেগুলো ডেঙ্গু ভাইরাসের জন্য দায়ী। মানুষের শরীরে লক্ষাধিক জিন থাকে। এর মধ্যে কোন কোন জিনে ভাইরাস আক্রমণ করে, তা আমরা আইডেন্টিফাই করতে পেরেছি।
তিনি আরো বলেন, তবে এখনো কিছু কাজ বাকি আছে। এ জিনগুলোর ওয়েট ল্যাব এক্সপেরিমেন্ট সম্পন্ন করতে পারলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে। একই ভাবে ওষুধের ক্ষেত্রেও আমরা কম্পিউটারের মাধ্যমে সম্ভাব্য ওষুধগুলো শর্টলিস্ট করেছি, যাতে সেগুলোর মধ্যে সেরা প্রার্থী নির্ধারণ করা যায়।
রাবির এই গবেষক মনে করেন, এসব এক্সপেরিমেন্টের জন্য বিশাল বাজেট প্রয়োজন। আমাদের প্রাথমিক কাজটি ছিল জিন ও ওষুধের সম্ভাব্য সম্পর্ক নির্ধারণ করা, যা আমরা সম্পন্ন করেছি। এখন ওয়েট ল্যাবে কাজ করা গবেষকদের সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের শর্টলিস্ট করা ওষুধগুলোর চূড়ান্ত প্রার্থী খুব দ্রুত নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।

প্রতি বছর দেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেক মানুষ। এখন পর্যন্ত চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ এই ভাইরাস। কারণ, এর নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। এমন বাস্তবতায় ডেঙ্গু ভাইরাস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আব্দুল লতিফ। গবেষণায় ডেঙ্গুর ৯টি নতুন জিন আবিষ্কার করেছেন তিনি। নির্ধারণ করা হয়েছে সম্ভাব্য তিনটি ওষুধ।
গবেষণায় সিডিকে১ (CDK1), বিরসি৫ (BIRC5), টিমস (TYMS), কেআইএফ২০এ (KIF20A), সিসিএনবি২ (CCNB2), সিডিসি২০ (CDC20), অরকেবি (AURKB), টিকেও১ (TK1) এবং পিটিইএন (PTEN)Ñএ ৯টি জিনকে ‘হোস্ট কি-জিন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি জিন সরাসরি ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমণ বাড়াতে ভূমিকা রাখে বলে গবেষকরা উল্লেখ করেছেন। জিনগুলো
ভাইরাসকে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া দখল করতে এবং ইন্টারফেরন সংকেত দমন করতে সাহায্য করে। ফলে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
গবেষণায় আরো পাওয়া গেছে, ফক্সসি১ (FOXC1), রেলা (RELA), গাটা২ (GATA2), টিপি৫৩ (TP53) এবং পিপিএআরজি (PPARG) নামের ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টরগুলো ডেঙ্গুসম্পর্কিত জিনগুলোর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া মাইক্রো-আরএনএ মি-আর-১০৩এ-৩পি (miR-103a-3p) ভাইরাসের প্রতিলিপি প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে দেয়। মলিকুলার ডকিং বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষণায় তিনটি সম্ভাব্য ওষুধÑএনট্রেকটিনিব (Entrectinib), ইমাটিনিব (Imatinib) এবং কিউএল৪৭ (QL47) শনাক্ত করা হয়েছে, যেগুলো ভবিষ্যতে ডেঙ্গুর চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা। ওষুধগুলো ভাইরাসকে সরাসরি নয়; বরং মানবদেহের ভেতরে ভাইরাসের ‘সহযোগী’ জিনগুলোকে টার্গেট করবে, যা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক ভিন্ন কৌশল।
আব্দুল লতিফ গবেষণার পাশাপাশি নিজের প্রতিষ্ঠিত অনলাইন গবেষণা শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম ‘স্টেটএক্স’-এর প্রধান নির্বাহী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার গবেষণায় সহযোগিতায় ছিলেন একই বিভাগের মো. আল নোমান ও মো. ফয়সাল আহমেদ। গবেষণায় তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে ছিলেন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. নুরুল হক মোল্লা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে এ গবেষণা ২০২৫ সালের ৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশ হয়।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জার্নাল প্লোজ ওয়ানে (PLoS ONE) একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রকাশ করেছেন তারা। ইন-সিলিকো (কম্পিউটারভিত্তিক) বিশ্লেষণের মাধ্যমে তারা মানবদেহের ৯টি জিন শনাক্ত করেছেন, যেগুলো ডেঙ্গুর সংক্রমণ, কোষচক্রের ব্যাঘাত ও রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থার দুর্বলতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
গবেষক মো. আব্দুল লতিফ বলেন, আমাদের এ গবেষণা ডেঙ্গু সংক্রমণের পেছনের জিনগত প্রক্রিয়া উন্মোচন করেছে এবং হোস্টনির্ভর চিকিৎসা উদ্ভাবনের নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে। ভবিষ্যতে এ তথ্যগুলো ব্যবহার করে কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি তৈরি সম্ভব।
তিনি আরো জানান, আমাদের গবেষণায় আমরা ডেঙ্গু সংক্রমণের পেছনের জিনগত কার্যপ্রক্রিয়া উন্মোচন করেছি। এটি স্পষ্ট করেছে কীভাবে ভাইরাস মানবদেহের কোষের জিন নিয়ন্ত্রণ করে নিজের প্রতিলিপি তৈরি করে এবং সংক্রমণ বাড়ায়। এ আবিষ্কার ভবিষ্যতে হোস্টনির্ভর ওষুধ ও চিকিৎসা উদ্ভাবনের নতুন পথ দেখাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এছাড়া চিহ্নিত তিনটি সম্ভাব্য ওষুধ ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ ও এর চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বলে আশা গবেষকদের।
গবেষণাটির তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক ড. নুরুল হক মোল্লা জানান, ডেঙ্গু নিয়ে এখন পর্যন্ত এমন কোনো গবেষণা হয়নি, যার মাধ্যমে ওষুধের সংখ্যা কমিয়ে রোগীর আরো উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়। আমরা এমন কিছু জিন শনাক্ত করেছি, যেগুলো ডেঙ্গু ভাইরাসের জন্য দায়ী। মানুষের শরীরে লক্ষাধিক জিন থাকে। এর মধ্যে কোন কোন জিনে ভাইরাস আক্রমণ করে, তা আমরা আইডেন্টিফাই করতে পেরেছি।
তিনি আরো বলেন, তবে এখনো কিছু কাজ বাকি আছে। এ জিনগুলোর ওয়েট ল্যাব এক্সপেরিমেন্ট সম্পন্ন করতে পারলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে। একই ভাবে ওষুধের ক্ষেত্রেও আমরা কম্পিউটারের মাধ্যমে সম্ভাব্য ওষুধগুলো শর্টলিস্ট করেছি, যাতে সেগুলোর মধ্যে সেরা প্রার্থী নির্ধারণ করা যায়।
রাবির এই গবেষক মনে করেন, এসব এক্সপেরিমেন্টের জন্য বিশাল বাজেট প্রয়োজন। আমাদের প্রাথমিক কাজটি ছিল জিন ও ওষুধের সম্ভাব্য সম্পর্ক নির্ধারণ করা, যা আমরা সম্পন্ন করেছি। এখন ওয়েট ল্যাবে কাজ করা গবেষকদের সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের শর্টলিস্ট করা ওষুধগুলোর চূড়ান্ত প্রার্থী খুব দ্রুত নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।

শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের জন্য বড় সুখবর নিয়ে এসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীন সব সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান থেকে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নেয়া প্রশিক্ষণার্থীদের দৈনিক প্রশিক্ষণ ভাতা বাড়ানো হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় বেতন কমিশনের কাছে শিক্ষকদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন ৩২ হাজার ৫০০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি। তারা টেকসই শিক্ষার মানোন্নয়নে মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে শিক্ষকদের জন্য পৃথক আকর্ষণীয় ও মর্যাদাপূর্ণ বেতন কাঠানো গঠনের প্রস্তাব করেছে।
২ ঘণ্টা আগে
দ্বৈত ডিগ্রি প্রদান, যৌথ গবেষণা কার্যক্রম, শিক্ষণ সহযোগিতা এবং শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল উন্নয়নসহ বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক সহযোগিতা বিনিময়ের লক্ষ্যে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ইন্টারন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি (আইওইউ) গাম্বিয়ার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তান বাংলাদেশে তাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০০ নতুন বৃত্তি দেওয়ার প্রস্তাবও করা হয়েছে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে।
৭ ঘণ্টা আগে