জাকসু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন

এস এম তাওহীদ, জাবি
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪৮
আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২: ২৯

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের প্রচার গতকাল মঙ্গলবার রাতে শেষ হয়েছে। শেষ সময়ে ভোটারদের মন জয় করতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রার্থীরা। ভোটগ্রহণ বৃহস্পতিবার। প্রচার শেষে শিক্ষার্থীরা এখন বহুল আকাঙ্ক্ষিত এ ভোটের অপেক্ষায় রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নির্বাচন কমিশন। এ সময় জানানো হয়, বৃহস্পতিবার ২১ কেন্দ্রে বুথ থাকবে ২২৪টি। নির্বাচনের ভোট গণনার ফল ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সরাসরি দেখানো হবে।

গতকাল প্রচারের শেষ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও অনুষদগুলোর নিচে প্রার্থীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। এ সময় প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের ভোট দিতে আসার অনুরোধ করেন।

প্রচারের সময় কথা হয় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত ভিপি প্রার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বলের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের শেষ সময়ে অনুরোধ করছি তারা যেন ভোট দিতে আসেন। আমরা বেশ ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।

শিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেশ ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। তবে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাজে বেশ হতাশ। অনেক সিদ্ধান্তের কারণে তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আমরা আশাবাদী নির্বাচন কমিশন আরো আন্তরিক হবে। ক্যাম্পাসে নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করবে।

এদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে মাদকের ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে। ট্রান্সপোর্ট চত্বর, হলের ছাদ এবং আল বেরুণী হলের পাশের ফাঁকা জায়গাসহ ক্যাম্পাসের নিরিবিলি জায়গায় বসছে মাদকের আড্ডা। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা।

এ বিষয়ে স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী শাকিল আলী বলেন, মাদক সেবন কেবল নির্বাচনের আচরণবিধিতে নয় দেশের প্রচলিত আইনেও অপরাধ। এই ধরনের কাজ নিয়মিত হচ্ছে। এটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা বলে আমরা মনে করি।

জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে ২১ হলে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ২১ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ৬৭ জন পোলিং অফিসার এবং ৬৭ জন সহায়ক হিসেবে কাজ করবেন। এছাড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।

ভোটের দিন নিরাপত্তায় এক হাজার ২০০ পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এদিকে শহর থেকে বাইরে হওয়ার কারণে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনীকে রাখার জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আবেদন করা হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশন আরো বলেন, ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে ক্যামেরা থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রের অবস্থা নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় থেকে সরাসরি মনিটরিং করা হবে। একই সঙ্গে ভোট গণনার তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সরাসরি দেখানো হবে।

এদিকে ঐক্যের ডাক দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাকসু নির্বাচনের জিএস প্রার্থী ও শাখা ছাত্রদলের সদস্য সৈয়দ অনন্যা ফারিয়া। গতকাল তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ঐক্যের স্বার্থে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত