সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার সৃষ্টি হয়। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক অনন্য ও অর্থবহ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদের উদ্যোগে শত শত কপি পবিত্র কোরআন বিতরণ করা হয়।

সহিংস বিক্ষোভ বা উত্তেজনাপূর্ণ সমাবেশের পথে না হেঁটে, বুয়েটের শিক্ষার্থীরা বেছে নিয়েছেন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের এক সৃজনশীল উপায়। তাদের যুক্তি, যখন পবিত্র গ্রন্থের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়, তখন কোরআনের মহিমা ও সঠিক বার্তা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই হলো সবচেয়ে শক্তিশালী জবাব। এই লক্ষ্যেই জুমার নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এই ব্যতিক্রমী বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা জানান, কোরআন অবমাননার মূল কারণ হলো এর শিক্ষা সম্পর্কে অজ্ঞতা। তাই তারা মনে করেন, ক্রোধ বা ঘৃণা ছড়ানোর চেয়ে জ্ঞান ও ভালোবাসার আলো ছড়িয়ে দেওয়াই ইসলামের অন্যতম পথ। তাদের এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে, ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষার আন্দোলন মানে কেবল স্লোগান নয়, বরং পবিত্র গ্রন্থটির সঠিক প্রচার ও প্রসারও হতে পারে অত্যন্ত জোরালো প্রতিবাদ।

কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন এবং অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে কোরআনের কপি গ্রহণ করেন। বুয়েট শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি একদিকে যেমন ধর্মীয় চেতনার প্রকাশ ঘটিয়েছে, তেমনিভাবে একটি সমাজে সম্প্রীতি ও গঠনমূলক প্রতিবাদের সংস্কৃতি গড়ে তোলার গুরুত্ব তুলে ধরেছে।

