ইমন আলী, বেরোবি
কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ ছিলেন ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৬ জুলাই ২০২৪ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কের মোড়ে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিহত হন তিনি।
আবু সাঈদের কাছের বন্ধু ইংরেজি বিভাগেরই শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন বুলেট বলেন, আমরা কেউই ভালো নেই। সাঈদকে ছাড়া সবাই আনমনা হয়ে গেছি। প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে আমি বন্ধু রিপনের জন্য সালামের মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। আর আবু সাঈদ অপেক্ষা করত পার্কের মোড়ে। এরপর তিনজন ক্লাসে যেতাম। ফিরতামও একসঙ্গে। ফেরার পথে আবু সাঈদ বলত, বুলেট আজ তুই খাওয়াবি। ক্যাম্পাসে ঢুকলে ওর কণ্ঠটা শুধু কানে আসে। আমি আবু সাঈদ হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ বলেন, মাস্টার্সের ক্লাস-পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আবু সাঈদ থাকলে আমাদের সাথে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করত। তার অনুপস্থিতি আমাদের ভীষণ পীড়া দেয়। বেদনার বিষয় হচ্ছে শহীদ আবু সাঈদ কখনোই ফিরবেন না।
তিনি বলেন, আবু সাঈদ সর্বদা বিপদ-আপদে পাশে থাকতেন। যে কোনো সাহায্য-সহযোগিতায় এগিয়ে আসতেন, সেই আবু সাঈদ আজ আমাদের মাঝে নেই। এখনও ক্লাসে যে সিটে তিনি আসন গ্রহণ করতেন, সেই সিটও আবু সাঈদের শূন্যতা অনুভব করছে। সেই সিটটিও খালি পড়ে আছে।
আবু সাঈদের সহপাঠী রুহুল বলেন, আবু সাঈদের স্মৃতি কখনো ভোলার নয়। মাস্টার্সের ক্লাসের জন্য যখন মেস থেকে বের হতাম তখন বারবার ওর কথা মনে পড়ছিল। ও ছিল খুবই অমায়িক। ওর মতো কেউ আর জিজ্ঞাসা করে না কেমন আছিস? পড়াশোনা কেমন হচ্ছে?
তিনি বলেন, আবু সাইদের একটা স্মৃতি বারবার মনে পড়ে। সে শহীদ হওয়ার তিন দিন আগে হঠাৎ বলেছিল আমি কি বেশি চাপ নিচ্ছি। আমি সেদিন বলেছিলাম কেউ সামনে থেকে লিড না দিলে বেশি ছাত্র থাকবে না। সেদিন আমার কথা শুনে ওর মধ্যে যে উদ্দীপনা দেখেছিলাম তা বলে বোঝাতে পারব না।
আরেক সহপাঠী সোনিয়া বলেন, আবু সাঈদের সঙ্গে বেশির ভাগ গ্রুপ অ্যাসাইনমেন্ট করতাম। মাস্টার্সের ক্লাস, পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্ট করার সময় আবু সাঈদকে খুব বেশি মনে পড়েছিল । আরেক সহপাঠী সোহাইব বলেন, বাসা থেকে বা ছুটিতে কোথাও থেকে এলে আবু সাঈদই প্রথম জিজ্ঞাসা করতো কেমন আছিস, পড়াশোনা কেমন হচ্ছে? ওর সঙ্গে কত মজা করেছি, যা ভোলার নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুশরিফুর জিলানী বলেন, শহীদ আবু সাঈদ বিপ্লবী হিসেবে যে খ্যাতি লাভ করেছে তেমনি ছাত্র হিসেবেও বিনয়ী, নম্র, ভদ্র, নিয়মিত ও মেধাবী ছিল। তাকে ছাড়াই মাস্টার্সের ক্লাস, পরীক্ষা নিয়েছি। এটি শিক্ষার্থীদের মনে যেমন রক্তক্ষরণ হচ্ছে, শিক্ষক হিসেবে আমাদেরও মনে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহ্সীনা আহ্সান বলেন, আবু সাঈদ নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা, বরাবরই ভালো রেজাল্ট করাসহ নম্র-ভদ্র আর মার্জিত স্বভাবের ছিল। শুধু আমাদের ছাত্র হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে ছিল বড় অসাধারণ। এমন ছেলের জুড়ি মেলা ভার।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ ছিলেন ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৬ জুলাই ২০২৪ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্কের মোড়ে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে নিহত হন তিনি।
আবু সাঈদের কাছের বন্ধু ইংরেজি বিভাগেরই শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন বুলেট বলেন, আমরা কেউই ভালো নেই। সাঈদকে ছাড়া সবাই আনমনা হয়ে গেছি। প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে আমি বন্ধু রিপনের জন্য সালামের মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। আর আবু সাঈদ অপেক্ষা করত পার্কের মোড়ে। এরপর তিনজন ক্লাসে যেতাম। ফিরতামও একসঙ্গে। ফেরার পথে আবু সাঈদ বলত, বুলেট আজ তুই খাওয়াবি। ক্যাম্পাসে ঢুকলে ওর কণ্ঠটা শুধু কানে আসে। আমি আবু সাঈদ হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ বলেন, মাস্টার্সের ক্লাস-পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আবু সাঈদ থাকলে আমাদের সাথে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করত। তার অনুপস্থিতি আমাদের ভীষণ পীড়া দেয়। বেদনার বিষয় হচ্ছে শহীদ আবু সাঈদ কখনোই ফিরবেন না।
তিনি বলেন, আবু সাঈদ সর্বদা বিপদ-আপদে পাশে থাকতেন। যে কোনো সাহায্য-সহযোগিতায় এগিয়ে আসতেন, সেই আবু সাঈদ আজ আমাদের মাঝে নেই। এখনও ক্লাসে যে সিটে তিনি আসন গ্রহণ করতেন, সেই সিটও আবু সাঈদের শূন্যতা অনুভব করছে। সেই সিটটিও খালি পড়ে আছে।
আবু সাঈদের সহপাঠী রুহুল বলেন, আবু সাঈদের স্মৃতি কখনো ভোলার নয়। মাস্টার্সের ক্লাসের জন্য যখন মেস থেকে বের হতাম তখন বারবার ওর কথা মনে পড়ছিল। ও ছিল খুবই অমায়িক। ওর মতো কেউ আর জিজ্ঞাসা করে না কেমন আছিস? পড়াশোনা কেমন হচ্ছে?
তিনি বলেন, আবু সাইদের একটা স্মৃতি বারবার মনে পড়ে। সে শহীদ হওয়ার তিন দিন আগে হঠাৎ বলেছিল আমি কি বেশি চাপ নিচ্ছি। আমি সেদিন বলেছিলাম কেউ সামনে থেকে লিড না দিলে বেশি ছাত্র থাকবে না। সেদিন আমার কথা শুনে ওর মধ্যে যে উদ্দীপনা দেখেছিলাম তা বলে বোঝাতে পারব না।
আরেক সহপাঠী সোনিয়া বলেন, আবু সাঈদের সঙ্গে বেশির ভাগ গ্রুপ অ্যাসাইনমেন্ট করতাম। মাস্টার্সের ক্লাস, পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্ট করার সময় আবু সাঈদকে খুব বেশি মনে পড়েছিল । আরেক সহপাঠী সোহাইব বলেন, বাসা থেকে বা ছুটিতে কোথাও থেকে এলে আবু সাঈদই প্রথম জিজ্ঞাসা করতো কেমন আছিস, পড়াশোনা কেমন হচ্ছে? ওর সঙ্গে কত মজা করেছি, যা ভোলার নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুশরিফুর জিলানী বলেন, শহীদ আবু সাঈদ বিপ্লবী হিসেবে যে খ্যাতি লাভ করেছে তেমনি ছাত্র হিসেবেও বিনয়ী, নম্র, ভদ্র, নিয়মিত ও মেধাবী ছিল। তাকে ছাড়াই মাস্টার্সের ক্লাস, পরীক্ষা নিয়েছি। এটি শিক্ষার্থীদের মনে যেমন রক্তক্ষরণ হচ্ছে, শিক্ষক হিসেবে আমাদেরও মনে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহ্সীনা আহ্সান বলেন, আবু সাঈদ নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা, বরাবরই ভালো রেজাল্ট করাসহ নম্র-ভদ্র আর মার্জিত স্বভাবের ছিল। শুধু আমাদের ছাত্র হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে ছিল বড় অসাধারণ। এমন ছেলের জুড়ি মেলা ভার।
আগামী বার্ষিক পরীক্ষার আগেই (৩০ নভেম্বরের মধ্যেই) ছুটির দিনে দেশের সব বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডির নির্বাচন দেয়ার জোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।
৫ ঘণ্টা আগেরাকসু, হল ছাত্র সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন ২০২৫ এর ফলাফল আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এদিন দুপুরে উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীবের নিকট নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট হস্তান্তর করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর এফ নজরুল ইসলাম।
৭ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশ করা হবে আজ। আগামী ২৬ অক্টোবর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রাকসু ও সিনেট প্রতিনিধিদের শপথ বাক্য পড়াবেন রাকুস সভাপতি
৯ ঘণ্টা আগেধর্ষণ ও নারী অবমাননার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উত্তাল ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাস। রাত ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলা এই বিক্ষোভে শত শত শিক্ষার্থী অংশ নেন। বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়
১৬ ঘণ্টা আগে