রাকসু নির্বাচন
ফাহমিদুর রহমান ফাহিম, রাবি
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের মধ্যে। সংগঠন দুটির নেতাকর্মীরা বেশ জোরেশোরে প্রচার চালাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে জয় নিয়ে আশাবাদী শিবির আর ইতিবাচক কিছুর অপেক্ষায় ছাত্রদল।
রাকসুতে মোট পদ ২৩টি। এর মধ্যে আটটি সম্পাদক, আটটি সহসম্পাদক ও চারটি কার্যকরী পদ রয়েছে। রাকসুর ২৩ পদে ২৪৭, সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচনে পাঁচ পদে ৫৮ প্রার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া ১৭টি হলে হল সংসদে ১৫টি করে পদে মোট প্রার্থী ৫৯৭ জন। মোট ভোটার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে ছাত্রদলের। রাকসুতেও একই পরিণতি ঠেকাতে বৈচিত্র্যময় প্যানেল ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই প্যানেল ঘোষণা করা হয়।
প্যানেল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এতে ক্লিন ইমেজধারী, নির্যাতিত ও বহুমাত্রিক পরিচয়ে পরিচিত শিক্ষার্থীরা প্রাধান্য পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়, রাজশাহী ফুটবল দলের গোলকিপার, ব্যান্ড সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, ডিনস পুরস্কারজয়ী শিক্ষার্থী, সংস্কৃতিকর্মী ও জনপ্রিয় সাধারণ শিক্ষার্থী।
এতে আরো দেখা যায়, প্যানেলে শীর্ষ তিন পদের মধ্যে একটিসহ মোট চার পদে নারী প্রার্থী রাখা হয়েছে—যা একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। বিশেষ করে ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর তার নম্র স্বভাব, সদা হাস্যোজ্জ্বল মুখ এবং ইতিবাচক ছাত্রনেতৃত্বের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে পেরেছেন। জিএস পদে আছেন নাফিউল জীবন, যিনি ছাত্রলীগের হাতে বারবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এজিএস পদে জাহিন বিশ্বাস এষা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিচিত মুখ, যিনি নারী ভোটারদের মনোযোগ টানতে সক্ষম হয়েছেন।
জিএস প্রার্থী নাফিউল জীবন বলেন, ডাকসু ও জাকসুর অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। এবার আমরা নতুন উদ্যম, শিক্ষার্থীদের আস্থা ও সমর্থন নিয়ে রাকসুতে ইতিবাচক ফলাফলের বিষয়ে আশাবাদী।
এই প্যানেল থেকে ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর বলেন, ডাকসু কিংবা জাকসুর সঙ্গে রাকসুর তুলনা করা যথার্থ হবে না। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবেশ, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আলাদা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আচার-আচরণ, চলাফেরা ও ক্যাম্পাস সংস্কৃতিও অন্যদের থেকে ভিন্ন। তাই রাকসুর প্রেক্ষাপট ঢাবি বা জাহাঙ্গীরনগরের নির্বাচনের সঙ্গে এক কাতারে ফেলা সঠিক হবে না। আমরা বিশ্বাস করি, যদিও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক সময় ‘শিবিরের ক্যান্টনমেন্ট’ বলা হয়, তবুও শিক্ষার্থীদের আস্থা আর সমর্থন নিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেল রাকসু নির্বাচনে বিজয়ী হবে।
বাজিমাত করতে চায় শিবির
রাবি দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রশিবিরের প্রভাবাধীন বলে পরিচিত। তবুও নির্বাচনে ছাত্রশিবির ভিন্ন পথে হেঁটেছে। ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ নামে একটি বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্যানেল গঠন করে তারা চমক দেখিয়েছে। এখানে শুধু ভিপি পদে রয়েছেন রাবি ছাত্রশিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। বাকি পদগুলোতে নানা সংগঠন, শ্রেণি ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। জিএস পদে রয়েছেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা, এজিএস পদে ‘সোচ্চার স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সভাপতি সালমান সাব্বির। প্যানেলে আছেন তিনজন নারী শিক্ষার্থী। নির্বাহী সদস্যপদে আছেন একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো দ্বীপ মাহবুবকেও প্যানেলে রেখেছে সংগঠনটি।
এই প্যানেলের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী জাহিদ হাসান জোহা এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন প্রচারে। গম্ভীরা গানের সুরে কখনো কৃষক, কখনো শিক্ষক, কখনো গায়ক সেজে ক্যাম্পাস মাতিয়ে তুলছেন তিনি। গানে গানে শিবিরের ইশতেহার শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরছেন। এটি শিবিরের অন্যতম সৃজনশীল প্রচার হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের অনুমিত ‘নিজস্ব ভোট’ রয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার। তাছাড়া ছাত্রী সংস্থার কারণে ছয়টি নারী হলের ভোটারের বড় একটি অংশ শিবিরের দিকে থাকতে পারে। ভোটারের প্রায় ৪০ শতাংশ আবাসিক হলে থাকেন, বাকি ৬০ শতাংশ আশপাশে—যেখানে শিবিরের সামাজিক প্রভাবও দীর্ঘদিনের।
‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’-এর ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর জাহিদ বলেন, ডাকসু ও জাকসুতে শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন, সেটি আসলে শিক্ষার্থীদের একটি বার্তা। তারা পরিবর্তন চান; সৎ, যোগ্য ও সাহসী নেতৃত্ব চান। এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে, আর তারই ধারাবাহিকতায় আমরা রাকসুতেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। অনেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শিবিরের ঘাঁটি বলে থাকেন। কিন্তু আমরা এভাবে কখনো বলি না। কারণ, এখানে সব মতাদর্শের শিক্ষার্থী থাকেন; এতে তাদের মনে আঘাত লাগতে পারে। আমরা নারী শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর সবাইকে সম্মান-শ্রদ্ধা করি। সব মতাদর্শ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে—এটাই স্বাভাবিক।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, রাকসুতে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও সমস্যাগুলো সরাসরি শুনে সেগুলোর সমাধানকে আমাদের ইশতেহারে রাখছি। আমরা চাই একটি নিরাপদ, স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক শিক্ষাঙ্গন—যেখানে ভিন্নমত দমন নয় বরং অংশগ্রহণমূলক রাজনীতির চর্চা হবে। আমরা ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক শক্তিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। শেষ পর্যন্ত আমাদের লক্ষ্য একটাই—শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। আমরা বিশ্বাস করি, রাকসুতেও শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর আস্থা রাখবেন।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের মধ্যে। সংগঠন দুটির নেতাকর্মীরা বেশ জোরেশোরে প্রচার চালাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে জয় নিয়ে আশাবাদী শিবির আর ইতিবাচক কিছুর অপেক্ষায় ছাত্রদল।
রাকসুতে মোট পদ ২৩টি। এর মধ্যে আটটি সম্পাদক, আটটি সহসম্পাদক ও চারটি কার্যকরী পদ রয়েছে। রাকসুর ২৩ পদে ২৪৭, সিনেট ছাত্রপ্রতিনিধি নির্বাচনে পাঁচ পদে ৫৮ প্রার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া ১৭টি হলে হল সংসদে ১৫টি করে পদে মোট প্রার্থী ৫৯৭ জন। মোট ভোটার শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে ছাত্রদলের। রাকসুতেও একই পরিণতি ঠেকাতে বৈচিত্র্যময় প্যানেল ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই প্যানেল ঘোষণা করা হয়।
প্যানেল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এতে ক্লিন ইমেজধারী, নির্যাতিত ও বহুমাত্রিক পরিচয়ে পরিচিত শিক্ষার্থীরা প্রাধান্য পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়, রাজশাহী ফুটবল দলের গোলকিপার, ব্যান্ড সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, ডিনস পুরস্কারজয়ী শিক্ষার্থী, সংস্কৃতিকর্মী ও জনপ্রিয় সাধারণ শিক্ষার্থী।
এতে আরো দেখা যায়, প্যানেলে শীর্ষ তিন পদের মধ্যে একটিসহ মোট চার পদে নারী প্রার্থী রাখা হয়েছে—যা একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। বিশেষ করে ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর তার নম্র স্বভাব, সদা হাস্যোজ্জ্বল মুখ এবং ইতিবাচক ছাত্রনেতৃত্বের কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে পেরেছেন। জিএস পদে আছেন নাফিউল জীবন, যিনি ছাত্রলীগের হাতে বারবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এজিএস পদে জাহিন বিশ্বাস এষা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিচিত মুখ, যিনি নারী ভোটারদের মনোযোগ টানতে সক্ষম হয়েছেন।
জিএস প্রার্থী নাফিউল জীবন বলেন, ডাকসু ও জাকসুর অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। এবার আমরা নতুন উদ্যম, শিক্ষার্থীদের আস্থা ও সমর্থন নিয়ে রাকসুতে ইতিবাচক ফলাফলের বিষয়ে আশাবাদী।
এই প্যানেল থেকে ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবীর বলেন, ডাকসু কিংবা জাকসুর সঙ্গে রাকসুর তুলনা করা যথার্থ হবে না। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবেশ, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আলাদা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আচার-আচরণ, চলাফেরা ও ক্যাম্পাস সংস্কৃতিও অন্যদের থেকে ভিন্ন। তাই রাকসুর প্রেক্ষাপট ঢাবি বা জাহাঙ্গীরনগরের নির্বাচনের সঙ্গে এক কাতারে ফেলা সঠিক হবে না। আমরা বিশ্বাস করি, যদিও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেক সময় ‘শিবিরের ক্যান্টনমেন্ট’ বলা হয়, তবুও শিক্ষার্থীদের আস্থা আর সমর্থন নিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেল রাকসু নির্বাচনে বিজয়ী হবে।
বাজিমাত করতে চায় শিবির
রাবি দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রশিবিরের প্রভাবাধীন বলে পরিচিত। তবুও নির্বাচনে ছাত্রশিবির ভিন্ন পথে হেঁটেছে। ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ নামে একটি বৈচিত্র্যময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্যানেল গঠন করে তারা চমক দেখিয়েছে। এখানে শুধু ভিপি পদে রয়েছেন রাবি ছাত্রশিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ। বাকি পদগুলোতে নানা সংগঠন, শ্রেণি ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। জিএস পদে রয়েছেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা, এজিএস পদে ‘সোচ্চার স্টুডেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সভাপতি সালমান সাব্বির। প্যানেলে আছেন তিনজন নারী শিক্ষার্থী। নির্বাহী সদস্যপদে আছেন একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী। এ ছাড়া জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো দ্বীপ মাহবুবকেও প্যানেলে রেখেছে সংগঠনটি।
এই প্যানেলের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী জাহিদ হাসান জোহা এক নতুন মাত্রা যোগ করেছেন প্রচারে। গম্ভীরা গানের সুরে কখনো কৃষক, কখনো শিক্ষক, কখনো গায়ক সেজে ক্যাম্পাস মাতিয়ে তুলছেন তিনি। গানে গানে শিবিরের ইশতেহার শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরছেন। এটি শিবিরের অন্যতম সৃজনশীল প্রচার হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের অনুমিত ‘নিজস্ব ভোট’ রয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার। তাছাড়া ছাত্রী সংস্থার কারণে ছয়টি নারী হলের ভোটারের বড় একটি অংশ শিবিরের দিকে থাকতে পারে। ভোটারের প্রায় ৪০ শতাংশ আবাসিক হলে থাকেন, বাকি ৬০ শতাংশ আশপাশে—যেখানে শিবিরের সামাজিক প্রভাবও দীর্ঘদিনের।
‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’-এর ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর জাহিদ বলেন, ডাকসু ও জাকসুতে শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন, সেটি আসলে শিক্ষার্থীদের একটি বার্তা। তারা পরিবর্তন চান; সৎ, যোগ্য ও সাহসী নেতৃত্ব চান। এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে, আর তারই ধারাবাহিকতায় আমরা রাকসুতেও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। অনেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে শিবিরের ঘাঁটি বলে থাকেন। কিন্তু আমরা এভাবে কখনো বলি না। কারণ, এখানে সব মতাদর্শের শিক্ষার্থী থাকেন; এতে তাদের মনে আঘাত লাগতে পারে। আমরা নারী শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর সবাইকে সম্মান-শ্রদ্ধা করি। সব মতাদর্শ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে—এটাই স্বাভাবিক।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, রাকসুতে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও সমস্যাগুলো সরাসরি শুনে সেগুলোর সমাধানকে আমাদের ইশতেহারে রাখছি। আমরা চাই একটি নিরাপদ, স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক শিক্ষাঙ্গন—যেখানে ভিন্নমত দমন নয় বরং অংশগ্রহণমূলক রাজনীতির চর্চা হবে। আমরা ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক শক্তিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। শেষ পর্যন্ত আমাদের লক্ষ্য একটাই—শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। আমরা বিশ্বাস করি, রাকসুতেও শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর আস্থা রাখবেন।
ধর্ষণ ও নারী অবমাননার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উত্তাল ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাস। রাত ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলা এই বিক্ষোভে শত শত শিক্ষার্থী অংশ নেন। বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়
৭ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রী সংস্থার সেক্রেটারি ও চাকসুর ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক নাহিমা আক্তার দীপা বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত নারী ও শিশু নির্যাতন-ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে।
১০ ঘণ্টা আগেড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেছেন, আমাদের সমাজে ঐক্যের বড় অভাব। ঐক্যের অভাবে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র এগুতে পারছে না।
১ দিন আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদ মীর মুগ্ধের নামে দুটি সুপেয় পানির ফিল্টারের স্থাপন করেছে ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে একটির উদ্বোধন করেন শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি মোহাম্মদ আলী।
১ দিন আগে