শহীদ আ. রবের কবর জিয়ারত করলেন শিবির প্যানেলের নির্বাচিতরা

প্রতিনিধি, চবি
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ৪৮

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) প্রথম সাধারণ সম্পাদক (জিএস) শহীদ আবদুর রবের কবর জিয়ারত করেছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের নবনির্বাচিত সদস্যরা।

বিজ্ঞাপন

শনিবার দুপুরে সিআরবি সংলগ্ন এনায়েত বাজার গোয়ালপাড়া এলাকায় শহীদ রবের কবর জেয়ারত করেন তারা। শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে এ সময় চাকসু ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি ও জিএস সাঈদ বিন হাবিবাহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শহীদ আবদুর রব চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ১৯৭০ সালে প্রথম চাকসু নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) নির্বাচিত হয়েছিলেন। আবদুর রব ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল রাঙ্গুনিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (বর্তমানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-চুয়েট) সামনে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে শহীদ হন।

করব জিয়ারতে এসে চাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি ইব্রাহীম হোসেন রনি বলেন, চাকসুতে যারা প্রতিনিধি ছিলেন, আমি মনে করি শহীদ আবদুর রব ভাইয়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। একদিকে যেমন তিনি নির্বাচিত জিএস ছিলেন, অপরদিকে দেশের জন্য জীবন দিতে কখনও কুণ্ঠাবোধ করেননি। সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে তিনি জাতির জন্য লড়াই করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা কখনও শহীদ আবদুর রব ভাই হতে পারব না, সেটা সম্ভবও না। আমরা চাই, তার যে চিন্তা সে চিন্তা থেকে তিনি দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। আমরা যেন দেশের জন্য কাজ করতে পারি।

জিএস সাঈদ বিন হাবিব বলেন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য আবদুর রব ভাই উনার জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। ১৯৭১, ১৯৪৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সকল আন্দোলনে সত্যের পথে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের জন্য দোয়া করেছি।

তিনি বলেন, দলীয় আদর্শ এবং ভিন্ন কোনো এজেন্ডা নয়, কেবলমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য যাতে আমাদের কর্মপন্থা ঠিক হয় এবং সবার প্রত্যাশা পূরণে যাতে আমরা কাজ করতে পারি, সেজন্য আমরা দোয়া করেছি।

চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য তার যে ভূমিকা ছিল, তাকে স্মরণ করতে আজকে আমরা এখানে হাজির হয়েছি। যে প্রেরণা নিয়ে দেশকে স্বাধীন করার জন্য যে প্রেরণা নিয়ে তারা কাজ করেছেন, এ দেশের সাম্য মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা সে পথে চলতে চাই।

গত ১৫ অক্টোবর দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চাকসুর সপ্তম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্প্রীতির শিক্ষার্থী প্যানেল ২৬টি পদের মধ্যে এজিএস ও সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ছাড়া বাকি ২৪টি পদে জয়ী হয়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত