তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন

প্রতিনিধি, জাবি
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ১৯

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থীরা। তাদের কর্মসূচির সাথে সংহতি প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কয়েকটি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও জাকসুর নেতৃবৃন্দ।

শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় তারা ইন্টেরিম সরকারকে নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করার আহ্বান জানান। সেই সাথে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি করেন।

বিজ্ঞাপন

এসময় জাকসুর সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আল হাসান বলেন, তিস্তা উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য আশীর্বাদ হতে পারত। কিন্তু ভারত অন্যায্যভাবে নদীতে বাঁধ দিয়ে তিস্তাকে উত্তরবঙ্গবাসীর জন্য অভিশাপে পরিণত করেছে। বর্ষাকালে পানিতে বাড়িঘর ভেসে যায় আর শুকনো মৌসুমে পানির অভাবে ফসল ফলাতে হিমশিম খায় এ দেশের মানুষ। বিগত সরকার কেবল ভারতের স্বার্থে কাজ করে গেছে। তারা এ দেশের মানুষের স্বার্থ দেখেনি। তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতের তাবেদারি করেছে। তাই তিস্তা মহাপরিকল্পনার মতো এমন একটি লাভজনক ও গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েও ভারতের কারণে পিছিয়ে এসেছে। আমরা ইন্টেরিমকে আহ্বান জানাই কারো স্বার্থে আপনি তিস্তা মহাপরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে আসবেন না। আপনি কেবল বাংলাদেশ ও এদেশের মানুষের স্বার্থ দেখবেন।

জাকসুর সহ সভাপতি আবদুর রশিদ জিতু বলেন, তিস্তা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি অভিন্ন নদী। তবে এই তিস্তা যেমন পশ্চিমবঙ্গের জন্য আশীর্বাদ তেমনি এই তিস্তা আমাদের জন্য অভিশাপে পরিণত হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছর ২ লক্ষ ৮০ হাজার ঘনফুট পানি প্রবাহিত হয় সেখানে শীতকালে মাত্র ১০ হাজার ঘনফুট পানি প্রবাহিত হয়। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা আশা করেছিলাম ইন্টেরিম সরকার কেবল ঢাকামুখী উন্নয়ন করবে না। দেশের প্রতিটি জায়গায় কাজ করবে। তবে তা আমরা দেখতে পাইনি। আমরা ইন্টেরিম সরকারকে আহ্বান জানাই আপনারা সকল চাপকে উপেক্ষা করে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করুন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রশাসন অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, তিস্তাড়ের ছয়টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই তিস্তায় বাঁধের কারণে। ভারত বর্ষা মৌসুমে পানি ছেড়ে দেয় আর শুকনো মৌসুমে আটকে রাখে। আমরা বলতে চাই আপনারা আপনাদের নীতি পরিবর্তন করুন। কখন কোন সরকার আসবে তারা আশায় বসে না থেকে এদেশর মানুষের সাথে ন্যায্যতার সম্পর্ক স্থাপন করুন। আর অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব আপনারা নভেম্বরের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করুন।

এসময় সংহতি জানিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবরসহ উত্তরবঙ্গের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থী।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত