সরকারি প্রাথমিকের বৃত্তি নিম্নবিত্তদের জন্য প্রণোদনা: মন্ত্রণালয়

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৫, ২২: ০০
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৮: ৫৯

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তি পরীক্ষা নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর সন্তানদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে একটি আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শনিবার এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করে মন্ত্রণালয়টি। এতে বলা হয়, সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ’ কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত বক্তব্যের প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তি পরীক্ষা’ প্রসঙ্গে উত্থাপিত এই বক্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্যই এ বিবৃতি।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

মন্ত্রণালয়টি জানায়, কিন্ডারগার্টেনসমূহ তাদের অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শুধুমাত্র কিন্ডারগার্টেনসমূহের শিক্ষার্থীদের জন্য ২য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ‘কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তি পরীক্ষা’ চালু রেখেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা সে বৃত্তি পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করতে পারে না। এজন্য সেসব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তি পরীক্ষা চালু করার দাবি উত্থাপিত হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ (ক) অনুচ্ছেদ এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন, ১৯৯০ অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সকল শিশুর অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে কোন ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ’ নীতি কার্যকর নেই। যারা নিজেদের সন্তানদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ান, তারা স্বেচ্ছায় তা করেন। এসব বিবেচনায় ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তি পরীক্ষা’ বৈষম্যমূলক, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। কারণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা, বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সকল শিশুর জন্যই উন্মুক্ত।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত