রকীবুল হক
দেশে একের পর এক সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়লেও আকর্ষণ করতে পারছে না বিদেশি শিক্ষার্থীদের। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দেশের স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করলেও এই সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। শিক্ষার মান কমে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবের পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজে জটিলতাই তাদের অনাগ্রহের বড় কারণ বলে মনে করছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালের দেশের সরকারি-বেসরকারি ৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক হাজার ৭৬৪ জন। পরের বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৫৯। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে শিক্ষার্থী কমেছে ৩০৫ জন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের সামান্য এই অংশগ্রহণ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে সম্মানজনক স্থান পাওয়াও বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থানে যেতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই দিক থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক পিছিয়ে আছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত ইউজিসির ৫০তম বার্ষিক প্রতিবেদন সূত্র মতে, ২০২৩ সালে দেশের ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২১টিতে মাত্র ৬৩৩ জন বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। এর মধ্যে ছাত্রী ১৭১ ও ছাত্র ৪৬২। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬৭০। সে হিসাবে আগের বছরের তুলনায় বিদেশি শিক্ষার্থী কমেছে ৩৭ জন। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬৭৭। এর আগে গত ১০ বছরের মধ্যে ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি ৮০৪ জন এবং ২০১৬ সালে সবচেয়ে কম ৩৫৫ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সূত্র মতে, ২০২৩ সালে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩২টিতে বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল ৮২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ২০২ ও ছাত্র ৬২৪ জন। ২০২২ সালে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ৮৭। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী কমেছে ৪৬১ জন।
এর আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১০ বছরের মধ্যে ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি এক হাজার ৯৭৭ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল। ২০২২ সালেও এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ২৮৭। ১০৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩ সালে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৫৮ হাজার ৪১৪।
বিদেশি শিক্ষার্থী কমায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)-এর প্রেসিডেন্ট ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, বিগত ১৭ বছরে দেশের শিক্ষার মান ধ্বংসের পর্যায়ে নিয়ে গেছে পতিত আওয়ামী সরকার। এ দেশ সম্পর্কে বিদেশে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে।
এই অবস্থা থেকে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, শিক্ষার মান উন্নত করতে হবে। এ খাতে বাজেট বৃদ্ধি, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা ও স্কলারশিপ দিতে হবে। সবাইকে বোঝাতে হবে যে, শিক্ষার মান বাড়ছে। বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকারের এই দিকে নজর দিতে হবে।
ইউজিসি সূত্র মতে, ২০২৩ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১২ জন। এর পরে বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯১, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৭, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৬, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬ জন বিদেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করেছেন।
এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৬, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ১, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে ১৫ এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল। বাকি ৩২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি।
সূত্র মতে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসাদের মধ্যে নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, চীন এবং ভারত উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি) কার্যালয়ের পরিচালক বেলাল আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বৃদ্ধির জন্য বিদেশি শিক্ষার্থী থাকা জরুরি। তিনি জানান, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে অবশ্যই স্থিতিশীলতা দরকার। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের জন্য কোটা বা সুবিধা বিশেষ করে আবাসিক সুবিধা দিলে তারা আগ্রহী হবে।
এছাড়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট দাপ্তরিক কাজ আরো সহজ করা দরকার। এ বিষয়ে প্রবাসী শিক্ষাবিদ, ওয়াশিংটন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী মনি জানান, বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী কমার পেছনে রাজনৈতিক অস্থিরতা একটি বড় কারণ। এছাড়া দুর্নীতি, শিক্ষার মান কমে যাওয়া, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক সমর্থন কমা বড় কারণ।
দেশে একের পর এক সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়লেও আকর্ষণ করতে পারছে না বিদেশি শিক্ষার্থীদের। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন দেশের স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করলেও এই সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। শিক্ষার মান কমে যাওয়া, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবের পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজে জটিলতাই তাদের অনাগ্রহের বড় কারণ বলে মনে করছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালের দেশের সরকারি-বেসরকারি ৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক হাজার ৭৬৪ জন। পরের বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৪৫৯। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে শিক্ষার্থী কমেছে ৩০৫ জন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের সামান্য এই অংশগ্রহণ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে সম্মানজনক স্থান পাওয়াও বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে ভালো অবস্থানে যেতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই দিক থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক পিছিয়ে আছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত ইউজিসির ৫০তম বার্ষিক প্রতিবেদন সূত্র মতে, ২০২৩ সালে দেশের ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২১টিতে মাত্র ৬৩৩ জন বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। এর মধ্যে ছাত্রী ১৭১ ও ছাত্র ৪৬২। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬৭০। সে হিসাবে আগের বছরের তুলনায় বিদেশি শিক্ষার্থী কমেছে ৩৭ জন। ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬৭৭। এর আগে গত ১০ বছরের মধ্যে ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি ৮০৪ জন এবং ২০১৬ সালে সবচেয়ে কম ৩৫৫ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সূত্র মতে, ২০২৩ সালে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩২টিতে বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল ৮২৬ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ২০২ ও ছাত্র ৬২৪ জন। ২০২২ সালে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ৮৭। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী কমেছে ৪৬১ জন।
এর আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১০ বছরের মধ্যে ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি এক হাজার ৯৭৭ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল। ২০২২ সালেও এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ২৮৭। ১০৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩ সালে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল তিন লাখ ৫৮ হাজার ৪১৪।
বিদেশি শিক্ষার্থী কমায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)-এর প্রেসিডেন্ট ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম আমার দেশকে বলেন, বিগত ১৭ বছরে দেশের শিক্ষার মান ধ্বংসের পর্যায়ে নিয়ে গেছে পতিত আওয়ামী সরকার। এ দেশ সম্পর্কে বিদেশে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে।
এই অবস্থা থেকে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, শিক্ষার মান উন্নত করতে হবে। এ খাতে বাজেট বৃদ্ধি, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা ও স্কলারশিপ দিতে হবে। সবাইকে বোঝাতে হবে যে, শিক্ষার মান বাড়ছে। বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সরকারের এই দিকে নজর দিতে হবে।
ইউজিসি সূত্র মতে, ২০২৩ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১২ জন। এর পরে বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯১, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৭, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৬, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬ জন বিদেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করেছেন।
এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৬, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ১, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে ১৫ এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ছিল। বাকি ৩২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী পাওয়া যায়নি।
সূত্র মতে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসাদের মধ্যে নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, চীন এবং ভারত উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি) কার্যালয়ের পরিচালক বেলাল আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বৃদ্ধির জন্য বিদেশি শিক্ষার্থী থাকা জরুরি। তিনি জানান, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে অবশ্যই স্থিতিশীলতা দরকার। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের জন্য কোটা বা সুবিধা বিশেষ করে আবাসিক সুবিধা দিলে তারা আগ্রহী হবে।
এছাড়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট দাপ্তরিক কাজ আরো সহজ করা দরকার। এ বিষয়ে প্রবাসী শিক্ষাবিদ, ওয়াশিংটন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী মনি জানান, বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী কমার পেছনে রাজনৈতিক অস্থিরতা একটি বড় কারণ। এছাড়া দুর্নীতি, শিক্ষার মান কমে যাওয়া, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক সমর্থন কমা বড় কারণ।
আগামী বার্ষিক পরীক্ষার আগেই (৩০ নভেম্বরের মধ্যেই) ছুটির দিনে দেশের সব বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডির নির্বাচন দেয়ার জোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।
১৬ মিনিট আগেরাকসু, হল ছাত্র সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন ২০২৫ এর ফলাফল আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এদিন দুপুরে উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীবের নিকট নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট হস্তান্তর করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর এফ নজরুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশ করা হবে আজ। আগামী ২৬ অক্টোবর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রাকসু ও সিনেট প্রতিনিধিদের শপথ বাক্য পড়াবেন রাকুস সভাপতি
৪ ঘণ্টা আগেধর্ষণ ও নারী অবমাননার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উত্তাল ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাস। রাত ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলা এই বিক্ষোভে শত শত শিক্ষার্থী অংশ নেন। বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়
১১ ঘণ্টা আগে