
স্টাফ রিপোর্টার

কয়েক দফা পেছানোর পর অবশেষে চালু হয়েছে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’। গতকাল শনিবার নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এ কর্মসূচি সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ কর্মসূচির আওতায় ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থী সপ্তাহে পাঁচদিন ফর্টিফায়েড বিস্কুট, কলা বা মৌসুমি ফল, বনরুটি, ডিম এবং ইউএইচটি দুধ পাবে।
কর্মসূচির উদ্বোধনকালে গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে এই ফিডিং কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া, পুষ্টির অভাব ও বিদ্যালয় চলাকালে শিশুদের স্বল্পকালীন ক্ষুধা দূরীকরণেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এর ফলে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা পড়ালেখায় আরো মনোযোগী হবে এবং বিদ্যালয়ে আসতে আগ্রহী হবে। এতে, শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও সহায়তা করবে।
সরকার ও প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে বিদ্যালয়ে শিশুদের উপস্থিতির হার শতকরা ৮০ ভাগের বেশি হবে এবং ঝরেপড়া কমবে। এছাড়া, প্রতি বছর শতকরা ১০ ভাগের বেশি হিসেবে বিদ্যালয়ে প্রকৃত ভর্তির হার বৃদ্ধি পাবে এবং বিদ্যালয়ে শিশুদের ধরে রাখার হার অন্তত ৯৯ শতাংশে উন্নীত হবে। এদিকে, বিদ্যালয়ে শিশুদের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের হার ৯০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তারা।
কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে উপদেষ্টা নাটোর প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত ‘প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পে মোট পাঁচ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৭ শতাংশ ব্যয়ই বরাদ্দ রাখা হয়েছে খাদ্য সরবরাহের জন্য। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ১৬৪ কোটি টাকার বেশি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এ কর্মসূচি শুরুর কথা থাকলেও নানা জটিলতায় পিছিয়ে যায়। সর্বশেষ, গত সেপ্টেম্বরে চালুর কথা বলা হলেও টেন্ডার জটিলতায় সে আটকে যায়। সব জটিলতা কাটিয়ে গতকাল শনিবার তা চালু হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, নাটোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আরিফ হোসেন, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোমেনিকো স্কালপেলি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।

কয়েক দফা পেছানোর পর অবশেষে চালু হয়েছে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’। গতকাল শনিবার নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এ কর্মসূচি সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ কর্মসূচির আওতায় ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থী সপ্তাহে পাঁচদিন ফর্টিফায়েড বিস্কুট, কলা বা মৌসুমি ফল, বনরুটি, ডিম এবং ইউএইচটি দুধ পাবে।
কর্মসূচির উদ্বোধনকালে গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে এই ফিডিং কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া, পুষ্টির অভাব ও বিদ্যালয় চলাকালে শিশুদের স্বল্পকালীন ক্ষুধা দূরীকরণেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এর ফলে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা পড়ালেখায় আরো মনোযোগী হবে এবং বিদ্যালয়ে আসতে আগ্রহী হবে। এতে, শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও সহায়তা করবে।
সরকার ও প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে বিদ্যালয়ে শিশুদের উপস্থিতির হার শতকরা ৮০ ভাগের বেশি হবে এবং ঝরেপড়া কমবে। এছাড়া, প্রতি বছর শতকরা ১০ ভাগের বেশি হিসেবে বিদ্যালয়ে প্রকৃত ভর্তির হার বৃদ্ধি পাবে এবং বিদ্যালয়ে শিশুদের ধরে রাখার হার অন্তত ৯৯ শতাংশে উন্নীত হবে। এদিকে, বিদ্যালয়ে শিশুদের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের হার ৯০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তারা।
কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে উপদেষ্টা নাটোর প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত ‘প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এ সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পে মোট পাঁচ হাজার ৪৫২ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৭ শতাংশ ব্যয়ই বরাদ্দ রাখা হয়েছে খাদ্য সরবরাহের জন্য। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার ১৬৪ কোটি টাকার বেশি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এ কর্মসূচি শুরুর কথা থাকলেও নানা জটিলতায় পিছিয়ে যায়। সর্বশেষ, গত সেপ্টেম্বরে চালুর কথা বলা হলেও টেন্ডার জটিলতায় সে আটকে যায়। সব জটিলতা কাটিয়ে গতকাল শনিবার তা চালু হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, নাটোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আরিফ হোসেন, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ডোমেনিকো স্কালপেলি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে একযোগে ফল প্রকাশিত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আবু সাঈদ মোল্লাকে আহবায়ক এবং সাইফুল ইসলাম সদস্য সচিব করে ২৫১ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
১৬ ঘণ্টা আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাসে রাত ১০টার পর সব ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
১৯ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি শনিবার নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
২১ ঘণ্টা আগে