জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি আজ বুধবার সকালে একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজনে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সচিব ড. মো. সেলিম রেজা।
বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে, আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, বাংলা একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মোহাম্মদ হারুন রশিদ এবং বাংলা একাডেমির উপপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ওয়ালেদুর রহমান খান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জুলাই শহীদ স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। জুলাই শহিদ স্মরণে আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ।
ড. মোঃ সেলিম রেজা বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মর্মচেতনা অনুযায়ী বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের সকলের সমবেত প্রয়াস প্রয়োজন। জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণে রেখে স্ব স্ব অবস্থান থেকে রক্তরাঙা স্বদেশের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সচেষ্ট থাকাই হোক আজকের দিনের শিক্ষা।’
অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রতিক প্রায় দুই দশক একটি একার্থক বৈষম্যবাদী সময়—পরিসর পার করেছে। সমাজ ও মানুষের শ্বাস নেয়ার বহুস্বরিক প্রবণতাকে টুঁটি চেপে ধরা হয়েছে। আমরা সবাই এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য হাঁসফাঁস করছিলাম। সমাজকাঠামোর নানা স্তরে পরিবর্তনের উপাদান বিদ্যমানই ছিল, ছাত্রদের আন্দোলন একে শাণিত করে বিপ্লবী পরিস্থিতি তৈরি করে এবং আবু সাঈদসহ অসংখ্য ছাত্রজনতার আত্মদানের বিনিময়ে আমরা বিজয়ী হই।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রায় এক বছর পেরিয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে যেন বাংলাদেশের গণমানুষ তার অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে বৈষম্যহীনভাবে বেঁচে থাকতে পারে।’
অনুষ্ঠান শেষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির সহপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মাহবুবা রহমান।

