বিনোদন রিপোর্টার
হঠাৎ বন্দি অথবা গুমের শিকার হন আরশ খান। শুরু হয় বন্দি জীবনে বাঁচার সংগ্রাম। তার পায়ে শেকল পরানো। ঘরের এক কোনা থেকে যেতে পারেন অন্য কোনায়। ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। এক ঘরে একা থাকতে হয় দিনের পর দিন। কয়েক দিনের খাবার ছিল ঘরে। এক পর্যায় ফুরিয়ে যায় খাবার। চিবিয়ে খান কাঁচা আলু। এক সময় তাও ফুরিয়ে যায়। পরিবারকে দেখার আর্তনাদ আর অনাহারে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার প্রাণপণ চেষ্টা দর্শককে বন্দি করে রাখে একটা ঘরে। একটা সময় জানা যায় আরশের বন্দিত্বের কারণ। আরো জানা যায়, তার দিকে ধেয়ে আসছে নির্মম মৃত্যু। মিকসেতু মিঠুর গল্প ও নির্মাণে এভাবেই এগিয়েছে আরশ খান ও প্রিয়ন্তী ঊর্বী অভিনীত নাটক বন্দি। যা গত বৃহস্পতিবার বৈশাখী টেলিভিশনে প্রচারের পর শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ব্যাকবেঞ্চার ফিকশন নামের ইউটিউব চ্যানেলে। মুক্তির পর থেকেই মিকসেতু মিঠুর গল্প ও নির্মাণের পাশাপাশি আরশ খানের অভিনয় বেশ প্রশংসিত হচ্ছে।
ইউটিউবের কমেন্ট সেকশনে একজন দর্শক লিখেছেন, ‘বন্দি শুধু একটা নাটক নয়, এটা মানুষের অন্তর্গত যন্ত্রণা ও মুক্তির গল্প।’
আরশ খানের অভিনয় অসাধারণ— প্রতিটি সংলাপে তার চোখে ছিল অপরাধবোধ, ভালোবাসা আর আত্মমুক্তির আকাঙ্ক্ষা। গল্পটা দেখিয়েছে, মানুষ ভুল করলেও যদি অনুতাপ আর পরিবর্তনের ইচ্ছা থাকে, তবে সে নিজের ভেতরের বন্দিত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। প্রিয়ন্তি ঊর্বির চরিত্রটিও ছিল গল্পের প্রাণ—ভালোবাসা, কষ্ট আর ক্ষমার মিশেলে এক দারুণ উপস্থাপন। সব মিলিয়ে ‘বন্দি’এমন এক নাটক, যা দেখা শেষে হৃদয়ে গভীর ছাপ রেখে যায়। মাকসুদা আকতার নামে এক নারী দর্শক লিখেছেন, ‘অনিন্দ্য সুন্দর একটা গল্প ও অভিনয়। তরুণ প্রজন্মের জন্য এই নাটকটি অনেক বড় একটা মেসেজ।’আরেকজন লিখেছেন, ‘অসাধারণ গল্প।
শেষটা না লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ স্ক্রিপ্ট রাইটারকে। আর এডিট এবং কালারের কথা না বললেই নয়। কিছু কিছু সিনে দারুণ শৈল্পিক ভাইব ছিল। এক কথায় অসাধারণ।’শুভ নামে একজন লিখেছেন, ‘আরশ এ রকম একটা সুন্দর বাস্তব জীবনের কাহিনি নাটকের মধ্যে ফুটিয়ে তুলল যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমাদের সমাজে অনেক ভাই-বন্ধু আছেন যাদের জুয়া, নেশা আর নারীর প্রতি আকর্ষণ বেশি, প্রতিনিয়ত জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু সে নিজেও জানে না।’ রেবেকা সুলতানা লিখেছেন, ‘দারুণ কনটেন্ট, ডিরেকশন আর অভিনয় দুটোই প্রশংসনীয়। নাটকের ম্যাসেজও শিক্ষণীয়। এক কথায় খুব ভালো লেগেছে।’
নাটকটি নিয়ে নির্মাতা মিকসেতু মিঠু বলেন, ‘নেশার খপ্পরে পড়ে আমাদের সমাজটা নানা দিক দিয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। গল্পে আমি সেই দিকটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই নাটক দেখে একজন মানুষও যদি নেশার পথ থেকে সরে আসতে পারে সেটাই আমার বড় অর্জন।’অভিনেতা আরশ খান বলেন, ‘কিছু কাজ করে অসম্ভব ভালো লাগে। কাজের শেষে দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখে মনটা শীতল হয়ে যায়। বন্দি তেমন একটি কাজ। প্রচারের পর থেকেই ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে মিকসেতু মিঠুর সঙ্গে আরো কাজ করা হবে।’এই নাটকের শুটিংয়ে আরশ খানের আন্তরিকতার কথা জানিয়ে নাটকটির প্রধান সহকারী পরিচালক কান্তি বুসান তরফদার বলেন, ‘বন্দির শুটিংয়ে অভিনেতা আরশ খান আধপচা আলু কাঁচা চিবিয়ে খেয়েছিলেন আগ্রাসী ক্ষুধার অভিব্যক্তি বোঝাতে। ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলে চিট করে দৃশ্যটি বোঝাতে কাট বললেও উনি থামেননি। পরে ক্লোজশটে নিতে বাধ্য করেছিলেন আস্ত কাঁচা আলু খাওয়ার দৃশ্যটা। বন্দিত্বের অবস্থা বোঝাতে চরিত্রের পায়ে লাগানো লোহার শিকল পরে ছিলেন শুটিংয়ের প্রায় পুরোটা সময়। শরীরে ও মুখাবয়বে ক্ষুধার অভিব্যক্তি আনতে পুরো দুদিন শুটিংয়ের আঠারো ঘণ্টা শুধু স্যুপ খেয়েছিলেন। তিনদিন শুধু মেকআপ নেওয়া ও কস্টিউম চেঞ্জ ছাড়া মেকআপ রুমে ঢোকেননি। পায়ে লোহার শেকল পরানো অবস্থায় মেঝেতে বসেই গরমের মধ্যে মেকআপ রি-টাচ করেছেন। প্রথমদিন যখন আরশ ভাই দৃশ্যের প্রয়োজনে পায়ের শেকলে টান খেয়ে মেঝেতে পড়ে গেলেন তখন পুরো টিম তার যন্ত্রণা অনুভব করেছিল। কিন্তু আরশ ভাইয়ের মুখে ছিল স্বভাব-সুলভ হাসি। তখন থেকেই মূলত পুরো টিম গল্পে বুঁদ হয়ে পড়ে।’
হঠাৎ বন্দি অথবা গুমের শিকার হন আরশ খান। শুরু হয় বন্দি জীবনে বাঁচার সংগ্রাম। তার পায়ে শেকল পরানো। ঘরের এক কোনা থেকে যেতে পারেন অন্য কোনায়। ঘর থেকে বের হওয়ার সুযোগ নেই। এক ঘরে একা থাকতে হয় দিনের পর দিন। কয়েক দিনের খাবার ছিল ঘরে। এক পর্যায় ফুরিয়ে যায় খাবার। চিবিয়ে খান কাঁচা আলু। এক সময় তাও ফুরিয়ে যায়। পরিবারকে দেখার আর্তনাদ আর অনাহারে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার প্রাণপণ চেষ্টা দর্শককে বন্দি করে রাখে একটা ঘরে। একটা সময় জানা যায় আরশের বন্দিত্বের কারণ। আরো জানা যায়, তার দিকে ধেয়ে আসছে নির্মম মৃত্যু। মিকসেতু মিঠুর গল্প ও নির্মাণে এভাবেই এগিয়েছে আরশ খান ও প্রিয়ন্তী ঊর্বী অভিনীত নাটক বন্দি। যা গত বৃহস্পতিবার বৈশাখী টেলিভিশনে প্রচারের পর শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ব্যাকবেঞ্চার ফিকশন নামের ইউটিউব চ্যানেলে। মুক্তির পর থেকেই মিকসেতু মিঠুর গল্প ও নির্মাণের পাশাপাশি আরশ খানের অভিনয় বেশ প্রশংসিত হচ্ছে।
ইউটিউবের কমেন্ট সেকশনে একজন দর্শক লিখেছেন, ‘বন্দি শুধু একটা নাটক নয়, এটা মানুষের অন্তর্গত যন্ত্রণা ও মুক্তির গল্প।’
আরশ খানের অভিনয় অসাধারণ— প্রতিটি সংলাপে তার চোখে ছিল অপরাধবোধ, ভালোবাসা আর আত্মমুক্তির আকাঙ্ক্ষা। গল্পটা দেখিয়েছে, মানুষ ভুল করলেও যদি অনুতাপ আর পরিবর্তনের ইচ্ছা থাকে, তবে সে নিজের ভেতরের বন্দিত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। প্রিয়ন্তি ঊর্বির চরিত্রটিও ছিল গল্পের প্রাণ—ভালোবাসা, কষ্ট আর ক্ষমার মিশেলে এক দারুণ উপস্থাপন। সব মিলিয়ে ‘বন্দি’এমন এক নাটক, যা দেখা শেষে হৃদয়ে গভীর ছাপ রেখে যায়। মাকসুদা আকতার নামে এক নারী দর্শক লিখেছেন, ‘অনিন্দ্য সুন্দর একটা গল্প ও অভিনয়। তরুণ প্রজন্মের জন্য এই নাটকটি অনেক বড় একটা মেসেজ।’আরেকজন লিখেছেন, ‘অসাধারণ গল্প।
শেষটা না লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ স্ক্রিপ্ট রাইটারকে। আর এডিট এবং কালারের কথা না বললেই নয়। কিছু কিছু সিনে দারুণ শৈল্পিক ভাইব ছিল। এক কথায় অসাধারণ।’শুভ নামে একজন লিখেছেন, ‘আরশ এ রকম একটা সুন্দর বাস্তব জীবনের কাহিনি নাটকের মধ্যে ফুটিয়ে তুলল যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমাদের সমাজে অনেক ভাই-বন্ধু আছেন যাদের জুয়া, নেশা আর নারীর প্রতি আকর্ষণ বেশি, প্রতিনিয়ত জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু সে নিজেও জানে না।’ রেবেকা সুলতানা লিখেছেন, ‘দারুণ কনটেন্ট, ডিরেকশন আর অভিনয় দুটোই প্রশংসনীয়। নাটকের ম্যাসেজও শিক্ষণীয়। এক কথায় খুব ভালো লেগেছে।’
নাটকটি নিয়ে নির্মাতা মিকসেতু মিঠু বলেন, ‘নেশার খপ্পরে পড়ে আমাদের সমাজটা নানা দিক দিয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। গল্পে আমি সেই দিকটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই নাটক দেখে একজন মানুষও যদি নেশার পথ থেকে সরে আসতে পারে সেটাই আমার বড় অর্জন।’অভিনেতা আরশ খান বলেন, ‘কিছু কাজ করে অসম্ভব ভালো লাগে। কাজের শেষে দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখে মনটা শীতল হয়ে যায়। বন্দি তেমন একটি কাজ। প্রচারের পর থেকেই ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে মিকসেতু মিঠুর সঙ্গে আরো কাজ করা হবে।’এই নাটকের শুটিংয়ে আরশ খানের আন্তরিকতার কথা জানিয়ে নাটকটির প্রধান সহকারী পরিচালক কান্তি বুসান তরফদার বলেন, ‘বন্দির শুটিংয়ে অভিনেতা আরশ খান আধপচা আলু কাঁচা চিবিয়ে খেয়েছিলেন আগ্রাসী ক্ষুধার অভিব্যক্তি বোঝাতে। ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলে চিট করে দৃশ্যটি বোঝাতে কাট বললেও উনি থামেননি। পরে ক্লোজশটে নিতে বাধ্য করেছিলেন আস্ত কাঁচা আলু খাওয়ার দৃশ্যটা। বন্দিত্বের অবস্থা বোঝাতে চরিত্রের পায়ে লাগানো লোহার শিকল পরে ছিলেন শুটিংয়ের প্রায় পুরোটা সময়। শরীরে ও মুখাবয়বে ক্ষুধার অভিব্যক্তি আনতে পুরো দুদিন শুটিংয়ের আঠারো ঘণ্টা শুধু স্যুপ খেয়েছিলেন। তিনদিন শুধু মেকআপ নেওয়া ও কস্টিউম চেঞ্জ ছাড়া মেকআপ রুমে ঢোকেননি। পায়ে লোহার শেকল পরানো অবস্থায় মেঝেতে বসেই গরমের মধ্যে মেকআপ রি-টাচ করেছেন। প্রথমদিন যখন আরশ ভাই দৃশ্যের প্রয়োজনে পায়ের শেকলে টান খেয়ে মেঝেতে পড়ে গেলেন তখন পুরো টিম তার যন্ত্রণা অনুভব করেছিল। কিন্তু আরশ ভাইয়ের মুখে ছিল স্বভাব-সুলভ হাসি। তখন থেকেই মূলত পুরো টিম গল্পে বুঁদ হয়ে পড়ে।’
আদালতের নির্দেশে চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর হত্যা মামলা দায়ের করা হলো। মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে নায়ক সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হকসহ মোট ১১ জনকে।
৯ ঘণ্টা আগেঅভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ দীর্ঘদিন পর চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘দ্বিতীয় বিয়ের পর’ নামে একটি নাটকে অভিনয় করেছেন। নাটকে নওশাবার সহশিল্পী ইরফান সাজ্জাদ ও আইশা খান।
১১ ঘণ্টা আগেসংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান অভিনয়কে বিদায় জানিয়েছেন বছর কয়েক আগেই। সম্প্রতি সংগীতকেও বিদায় জানিয়েছেন তিনি। সে সময় তাহসান জানিয়েছিলেন আর গান করবেন না। অবসরে যাচ্ছেন তিনি। সামনের সময়টা কেবল নিজের মতো করে থাকতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগেদেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে রাজনীতি করছেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন। সম্প্রতি সংস্কৃতি অঙ্গনের সাংবাদিকদের সংগঠন কালচারাল জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (সিজেএফবি) অ্যাওয়ার্ডের ২৪তম আসরে বিশেষ অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন তিনি। সেখানে তিনি দেশ, শ
১১ ঘণ্টা আগে