আহত শিক্ষার্থীদের স্মরণ করে যা বললেন শারমিন আঁখি

বিনোদন রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৫, ১৮: ৫৩
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৫, ১৮: ৫৭

২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর মিরপুরে একটি নাটকের শুটিং করতে গিয়ে শর্টসার্কিট বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শারমিন আঁখি। দীর্ঘ দুই মাস চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফিরেছেন। ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন অগ্নিদগ্ধ সেই শারমিন আঁখি।

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহত শিক্ষার্থীদের অবস্থা স্মরণ করে নিজের অভিজ্ঞতার জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

শারমিন আঁখি লিখেছেন, বার্ন হওয়া বাচ্চাগুলোর এখন প্রচুর জ্বর আসবে। ১০৪ এমন কি ১০৫ ডিগ্রি। শরীরে যদি ভাইরাস থাকে তাহলে এত সহজে এই জ্বর নামবে না। সকাল দুপুর বিকাল বারবার ব্লাড টেস্ট হবে৷ জার্ম শনাক্ত করতে না পারলে বিপদ। এটাই মরণব্যাধি। টানা ১০ দিন আমি জ্বরে ভুগেছি। জীবাণু শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। প্রচুর ভিজিটর আসছিল দেখতে।’

ভিজিটরের মাধ্যমে সংক্রমণ বেশি হয় উল্লেখ করে তিনি লিখেন, ‘আপনি যতই সেনিটাইজড হয়ে রোগীর কাছে যান না কেন রোগী এখন কোনোভাবেই প্রোটেকটেড নয়। কারণ তার শরীরে চামড়া নেই। মানে প্রটেকশনও নেই। আপনার বয়ে আনা শরীরের জীবাণু অবধারিতভাবে রোগীর মধ্যে সংক্রমণ হচ্ছে এবং এটাই তাকে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। রোগীদের যদি বাঁচাতে চান তাহলে রোগীদের দেখতে যাওয়া বন্ধ করুন, যতই পরম আত্মীয় হোন না কেনো। এটাই এখন একমাত্র ওষুধ।’

‘প্রথম তিন চার দিন কিছু বোঝা যায় না। মনে হয় সবকিছু স্বাভাবিক। তারপর পানি শূন্যতা শুরু হবে। কারণ শরীর থেকে প্রচুর পানি নির্গত হবে। প্রতিদিন আমার বিছানাটা ভিজে চুপসে যেত, নার্স এসে বেডশীট বদলে দিত। শরীর দুর্বল হবে, নিস্তেজ হবে। আমারও তাই হয়েছিল । আমার দুই হাত, দুই পা, মুখ ঝলসে গিয়েছিল। রোগীকে প্রচুর প্রোটিন খাওয়ান, হসপিটাল থেকে দেয়া স্যুপ খাওয়ান, ওই স্যুপ টা অনেক কার্যকর, খেতে খুব কষ্ট হয়, এখন হয়তো নাকের নল দিয়ে খাওয়ানো হবে, সারাদিন ডিমের সাদা অংশ খাওয়ান, চামড়া রিকভার করতে ডিমের সাদা অংশ ম্যাজিক এর মত কাজ করে, আমি প্রতিদিন ছয়টি ডিম খেতাম, অসহ্য লাগতো তাও খেতাম।’

আল্লাহর অসীম রহমতে আমি বেঁচে ফিরেছি চিকিৎসকদের সুচিকিৎসায়, চিকিৎসকদের প্রতিটি নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা, হাসপাতাল পরবর্তী প্রত্যেকটা নিয়মকানুন মেনে চলা, কোথাও এতোটুকু গাফিলতি করিনি। বার্ন ইন্সটিটিউট সাউথ এশিয়ার মধ্যে পোড়া রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রদান করে। সাধারণ এবং স্পেশাল রোগী বলে কিছু নেই। হসপিটালে দু'মাস আমি এইচডিও, আইসিইউ এবং কেবিনে থাকাকালীন অবস্থায় সকল নার্স ডাক্তারকে দেখেছি সকল রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে। নিশ্চিত থাকতে পারেন এখানে সুচিকিৎসাই পাবেন । আল্লাহর উপরে ভরসা রাখেন।’

ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের বৈঠক

শুক্র-শনিবারও চলবে বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম

প্রধান উপদেষ্টার আদেশে জুলাই সনদের আইনি রূপ দিতে হবে

নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

আইআরআই’র সঙ্গে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা এনসিপির

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত