অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ মধুবন সিনেপ্লেক্স

বিনোদন রিপোর্টার
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০: ৩২
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৭

দর্শক ও চলচ্চিত্র সংকটে আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো বগুড়ার ‘মধুবন সিনেপ্লেক্স’। লোকসানের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালিক আর এম ইউনুস রুবেল। সঙ্গে এটিও জানান, নির্বাচিত সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবেন তারা। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এ খবরে স্থানীয় বিনোদনপ্রেমীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। কারণ, বগুড়া জেলাজুড়ে একসময় সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ৩৮টি। তবে জেলাটি সিনেমার সেই জৌলুস হারিয়েছে অনেক দিন। ভাঙা হয়েছে ৩১টি হল। শহরে দুটিসহ পুরো জেলায় মোট সাতটি হল টিকে আছে। শুধু জেলা শহরেই একসময় ১০টি প্রেক্ষাগৃহ ছিল। সবশেষ শহরে চালু ছিল মধুবন সিনেপ্লেক্স ও সোনিয়া হল। জানা গেছে, একে একে বন্ধ হয়ে গেছে শহরের সাতমাথায় অবস্থিত মাধু ও মেট্রো সিনেমা, মেরিনা টকিজ; কবি নজরুল ইসলাম সড়কে উত্তরা টকিজ, চারমাথায় বীথি সিনেমা, জাহাঙ্গীরাবাদ ক্যান্টনমেন্টে সেনা অডিটোরিয়াম, মাঝিরা ক্যান্টনমেন্টে উল্লাস সিনেমা হল, চক সূত্রাপুর মাসুম সিনেমা হল এবং বনানী সিনেমা হল। সর্বশেষ বন্ধ হয়েছে বাম্বি সিনেমা হল। মাধু, মেট্রো ও মেরিনা ভেঙে বহুতল শপিং সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। উত্তরা সিনেমা হলের জায়গাটি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দখল করেছেন। শহরে দুটিসহ পুরো জেলায় এখন মোট সাতটি সিনেমা হল টিকে আছে।

বিজ্ঞাপন

দর্শক ও চলচ্চিত্র সংকটে আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো বগুড়ার ‘মধুবন সিনেপ্লেক্স’। লোকসানের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালিক আর এম ইউনুস রুবেল। সঙ্গে এটিও জানান, নির্বাচিত সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবেন তারা। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এ খবরে স্থানীয় বিনোদনপ্রেমীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। কারণ, বগুড়া জেলাজুড়ে একসময় সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ৩৮টি। তবে জেলাটি সিনেমার সেই জৌলুস হারিয়েছে অনেক দিন। ভাঙা হয়েছে ৩১টি হল। শহরে দুটিসহ পুরো জেলায় মোট সাতটি হল টিকে আছে। শুধু জেলা শহরেই একসময় ১০টি প্রেক্ষাগৃহ ছিল। সবশেষ শহরে চালু ছিল মধুবন সিনেপ্লেক্স ও সোনিয়া হল। জানা গেছে, একে একে বন্ধ হয়ে গেছে শহরের সাতমাথায় অবস্থিত মাধু ও মেট্রো সিনেমা, মেরিনা টকিজ; কবি নজরুল ইসলাম সড়কে উত্তরা টকিজ, চারমাথায় বীথি সিনেমা, জাহাঙ্গীরাবাদ ক্যান্টনমেন্টে সেনা অডিটোরিয়াম, মাঝিরা ক্যান্টনমেন্টে উল্লাস সিনেমা হল, চক সূত্রাপুর মাসুম সিনেমা হল এবং বনানী সিনেমা হল। সর্বশেষ বন্ধ হয়েছে বাম্বি সিনেমা হল। মাধু, মেট্রো ও মেরিনা ভেঙে বহুতল শপিং সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। উত্তরা সিনেমা হলের জায়গাটি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দখল করেছেন। শহরে দুটিসহ পুরো জেলায় এখন মোট সাতটি সিনেমা হল টিকে আছে।দর্শক ও চলচ্চিত্র সংকটে আবার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো বগুড়ার ‘মধুবন সিনেপ্লেক্স’। লোকসানের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালিক আর এম ইউনুস রুবেল। সঙ্গে এটিও জানান, নির্বাচিত সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকবেন তারা। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি। এ খবরে স্থানীয় বিনোদনপ্রেমীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। কারণ, বগুড়া জেলাজুড়ে একসময় সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ৩৮টি। তবে জেলাটি সিনেমার সেই জৌলুস হারিয়েছে অনেক দিন। ভাঙা হয়েছে ৩১টি হল। শহরে দুটিসহ পুরো জেলায় মোট সাতটি হল টিকে আছে। শুধু জেলা শহরেই একসময় ১০টি প্রেক্ষাগৃহ ছিল। সবশেষ শহরে চালু ছিল মধুবন সিনেপ্লেক্স ও সোনিয়া হল। জানা গেছে, একে একে বন্ধ হয়ে গেছে শহরের সাতমাথায় অবস্থিত মাধু ও মেট্রো সিনেমা, মেরিনা টকিজ; কবি নজরুল ইসলাম সড়কে উত্তরা টকিজ, চারমাথায় বীথি সিনেমা, জাহাঙ্গীরাবাদ ক্যান্টনমেন্টে সেনা অডিটোরিয়াম, মাঝিরা ক্যান্টনমেন্টে উল্লাস সিনেমা হল, চক সূত্রাপুর মাসুম সিনেমা হল এবং বনানী সিনেমা হল। সর্বশেষ বন্ধ হয়েছে বাম্বি সিনেমা হল। মাধু, মেট্রো ও মেরিনা ভেঙে বহুতল শপিং সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। উত্তরা সিনেমা হলের জায়গাটি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দখল করেছেন। শহরে দুটিসহ পুরো জেলায় এখন মোট সাতটি সিনেমা হল টিকে আছে।

মধুবন সিনেপ্লেক্সের মালিক আর এম ইউনুস রুবেল বলেন, ‘কর্মচারীদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল, রক্ষণাবেক্ষণে গড়ে প্রতি মাসে খরচ দুই লাখ টাকা। গত ঈদুল আজহায় শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’সিনেমার পর ভালো ছবি না থাকায় দর্শক নেই। ধুঁকে ধুঁকে চলছিল সিনেপ্লেক্সটি। ছবি চালিয়েও খরচ ওঠেনি। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া। ঋণ করে কর্মচারীদের বেতন শোধ করতে হয়েছে। এভাবে মাসের পর মাস লোকসান গুনতে গুনতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মধুবন সিনেপ্লেক্স বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এরপর নির্বাচিত সরকার বিদেশি সিনেমা আমদানির উদ্যোগ নিলে চালু করা হবে।’

প্রেক্ষাগৃহ-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর ‘বাজি’সিনেমা প্রদর্শনের মাধ্যমে নতুন আঙ্গিকে যাত্রা শুরু করে মধুবন সিনেপ্লেক্স। ৩৩৬ আসন নিয়ে নতুন করে যাত্রা শুরু করা মধুবন রীতিমতো দর্শকজোয়ারে ভাসতে থাকে। প্রদর্শন ব্যবসায় রীতিমতো বাজিমাত করে ‘পরাণ’, ‘হাওয়া’, ‘প্রিয়তমা’, ‘তুফান’, ‘রাজকুমার’, ‘বরবাদ’সিনেমা। ব্যবসাসফল হয়েছে হিন্দি সিনেমা ‘জওয়ান’ও ‘পাঠান’। সবশেষ ‘তাণ্ডব’সিনেমা প্রদর্শনকালে দর্শক সামাল দিতে নিয়মিত শো ছাড়াও মধ্যরাতে শো চালাতে হয়েছে। এরপর ভালো ছবি মুক্তি না পাওয়ায় দর্শকের অভাবে হলটির প্রদর্শন ব্যবসায় ছন্দপতন ঘটে।

‘গত  কয়েক মাস ধরে মধুবন সিনেপ্লেক্স নিয়ে আমরা নানা সংকটের মুখোমুখি হয়েছি’উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘যথেষ্ট মানসম্পন্ন সিনেমার অভাব, বিদেশি সিনেমা আমদানির জটিলতা, সরকার ও কর্তৃপক্ষের পর্যাপ্ত সহযোগিতা না পাওয়ায় হল চালানো ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব সমস্যা নিয়ে সরকারের উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। চলতি সপ্তাহে নন্দিনী ছবি চলছিল। কিন্তু দর্শক না পাওয়ায় খরচই ওঠেনি। ফলে লোকসানের মুখে মধুবন সিনেপ্লেক্স বন্ধ করে দিচ্ছি।’

পরিশেষে তিনি সিনেমাশিল্পকে বাঁচাতে কার্যকর নীতিমালা ও সরকারি সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান। 

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত