শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে রাজনীতিতে বেবী নাজনীন

বিনোদন রিপোর্টার
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৩৫

দেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে রাজনীতি করছেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বেবী নাজনীন। সম্প্রতি সংস্কৃতি অঙ্গনের সাংবাদিকদের সংগঠন কালচারাল জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (সিজেএফবি) অ্যাওয়ার্ডের ২৪তম আসরে বিশেষ অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন তিনি। সেখানে তিনি দেশ, শিল্প ও রাজনীতি নিয়ে কথা বলেন।

বেবী নাজনীন বলেন, ‘রাজনীতিতে আমি সক্রিয়। ভবিষ্যতে শিল্পীরা এবং নতুন প্রজন্ম যাতে সুন্দর একটা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারে, সে লক্ষ্যেই আমি কাজ করছি। আমার উদ্দেশ্য সমাজসেবা, কালচারকে লালন ও ধারণ করা এবং শিল্পীদের নিরাপত্তা দেওয়া। দেশের কালচারকে যদি সমৃদ্ধ না করি, তাহলে এ দেশ সমৃদ্ধ হবে না। এই উদ্দেশ্যে আমি রাজনীতিতে সক্রিয়।’

বিজ্ঞাপন

সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে ‘বিশেষ সম্মাননা’দেওয়া হয়। এ আয়োজনে বেবী নাজনীন আরো বলেন, ‘আমি নিজেও একজন শিল্পী। এজন্য আমি চাইব নিজের দেশে আমি যেন ভুক্তভোগী না হই। আমার মতো অন্য শিল্পীরাও যেন ভুক্তভোগী না হন।’

বর্তমানে শিল্পীদের মধ্যে বিভাজন দেখা যায়। বেবী নাজনীন বলেন, ‘এই বিভাজন আসে অন্য জায়গা থেকে। যারা কালচারকে লালন করে না, তারাই এই বিভাজন তৈরি করে। শিল্পীরা দেশের সম্পদ। তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। শিল্পীর ফ্রিডম অব স্পিচ থাকতে হবে। সে যেকোনো ভালো গান গাইতে পারে। তারা ভালো লাগার যে কোনো মানুষকে নিয়ে গাইতে পারে। এজন্য সে কেন অপরাধী হবে বা কালো তালিকাভুক্ত হবে?’

রাজনীতি থেকে শিল্প-সাহিত্যকে আলাদা রাখতে হবে উল্লেখ করে বেবী নাজনীন বলেন, ‘শিল্প-সাহিত্যকে নোংরা রাজনীতি থেকে বাইরে রাখতে হবে। শিল্পীরা যাতে ভালোভাবে গাইতে পারে, নাটক-সিনেমা করতে পারে, ড্যান্স করতে পারে, খেলোয়াড়রা খেলতে পারেÑএজন্য তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। আমি মনে করি, সর্বক্ষেত্রে এটা খুবই জরুরি।’

দীর্ঘ বছর ধরে আমেরিকা ছিলেন বেবী নাজনীন। বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে বিগত সরকারের আমলে পেশাগত কর্মকাণ্ড প্রায় থেমে যায় এই শিল্পীর। গেল বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর নভেম্বরে বেবী নাজনীন দেশে ফেরেন। তখন তিনি বলেছিলেন, বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার কারণেই আমার গানের কার্যক্রমে প্রতিনিয়ত বাধা এসেছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত