আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকায় আজ শেষ হতে যাচ্ছে ২২ জন তরুণ উদীয়মান অ্যানিমেটরের চলমান প্রকল্পগুলির ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ের কাজগুলো নিয়ে সাজানো একটি বিশেষ প্রদর্শনী ‘২২’।
এই প্রকল্পগুলি আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার জুন–আগস্ট ২০২৫ সেশনের অ্যানিমেশন শর্ট ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্কশপে তৈরি করা হয়েছিল। ওয়ার্কশপটি পরিচালনা করেছেন অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র নির্মাতা আফরোজা সারা।
অ্যানিমেশন প্রোডাকশন সাধারণত চারটি ধাপে সম্পন্ন হয়— ডেভেলপমেন্ট, প্রি-প্রোডাকশন, প্রোডাকশন এবং পোস্ট-প্রোডাকশন। এই ওয়ার্কশপটি শুধুমাত্র ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ের উপর গুরুত্ব দিয়েছে, যে ধাপটি প্রায় সময়ই উপেক্ষিত থাকে। কিন্তু যে কোনো অ্যানিমেটেড ফিল্মের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। পুরো ওয়ার্কশপ জুড়ে অংশগ্রহণকারীরা তাদের গল্পের ভিত্তি শক্তিশালী করেছেন এবং একই সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক, দৃশ্যমানতা ও কাহিনী উপস্থাপনায় তাদের জ্ঞান প্রসারিত করার সুযোগ পেয়েছেন।
পুরো ওয়ার্কশপ জুড়ে অংশগ্রহণকারীরা নানা ধরনের ডেভেলপমেন্টাল অনুশীলনে যুক্ত ছিলেন, যার মধ্যে ছিল থিম্যাটিক ও ভিজ্যুয়াল রিসার্চ, চরিত্র ও জগৎ তৈরি, কনসেপ্ট আর্ট, স্ক্রিপ্টের খসড়া এবং স্টোরি বোর্ডিং। এই প্রাথমিক সৃজনশীল অনুসন্ধানগুলি, যদিও অসম্পূর্ণ, তবে পরবর্তী পর্যায়ে যাওয়ার আগে এবিষয়ে পিয়ার রিভিউ গ্রহণ, নেটওয়ার্ক তৈরি এবং দর্শকের প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়ার্কশপের সমাপনী হিসেবে ‘২২’ অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই প্রদর্শনীতে তারা তাদের ডেভেলপমেন্ট পর্যায়ের কাজ যেমন- মুড বোর্ড, কনসেপ্ট আর্ট, স্কেচবুক এবং স্টোরি বোর্ড প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে উপস্থাপন করছে। দর্শকরা এই সুযোগে অ্যানিমেশন সৃষ্টির প্রাথমিক ধাপগুলো দেখার সুযোগ পাবে, প্রতিটি প্রকল্পের পেছনের সৃজনশীল প্রক্রিয়া বুঝতে পারবে এবং তরুণ এই প্রতিভাদের উন্নয়নে গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া দিতে পারবে।
অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে দর্শকদের সঙ্গে তাদের গবেষণামূলক থিম নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা, ভিজ্যুয়াল ভাষা পরীক্ষা করা, গল্পকে আরও পরিশীলিত করতে প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করা এবং ভবিষ্যতের প্রকল্পের জন্য সম্ভাব্য সহযোগিতা তৈরি করা। যে কোনও অংশগ্রহণকারীর সাথে অংশীদারিত্ব করতে আগ্রহীদের প্রদর্শনীর সময় প্রকল্পের বায়োতে উল্লিখিত ইমেইলে সংশ্লিষ্ট লেখক-পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

