ইসহাক দারের সঙ্গে কী কথা হলো শবনমের?

বিনোদন রিপোর্টার
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ১২

‘আম্মাজান’ সিনেমার অভিনেত্রী শবনম। জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী বেশ কিছুদিন বসবাস করেছেন পাকিস্তানেও। গত শতকের ষাটের দশকে অভিনয় শুরু করে পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়িকা হয়ে ওঠেন তিনি। ১৯৮৮ সাল থেকে একই সঙ্গে শবনম ঢাকা ও লাহোরের সিনেমায় অভিনয় করেছেন। নব্বই দশকের শেষভাগে ঢাকায় স্থায়ী হন তিনি। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে আসা পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে কথা হয় এই অভিনেত্রীর। কী বললেন তিনি পাকিস্তানের এই রাজনীতিককে? সম্প্রতি ইসহাক দারের সফর উপলক্ষে নৈশভোজের আয়োজন করে ঢাকার পাকিস্তান দূতাবাস। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক নেতা ও ঢাকার বিশিষ্টজনরা। আমন্ত্রিত অতিথিদের অন্যতম অভিনেত্রী শবনম ও তার ছেলে রনি ঘোষ।

ষাট থেকে নব্বই দশক, বাংলাদেশ আর পাকিস্তান মিলিয়ে প্রায় ১৮৫টি সিনেমায় অভিনয় করেন শবনম। এই অভিনেত্রী সর্বোচ্চ ১৬ বার পাকিস্তানি সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মাননা নিগার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। বছর কয়েক আগে পাকিস্তান সরকার দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার সিতারা-ই-ইমতিয়াজ-এ সম্মানিত করেন শবনমকে। এছাড়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মিলিয়ে বহু সম্মাননা পেয়েছেন নন্দিত এই অভিনেত্রী। রোববারের নৈশভোজে শবনমের কুশল জিজ্ঞেস করেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী। শবনমও তার কুশলাদি জিজ্ঞেস করেন। পাশাপাশি দেশটির রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে তার সালাম পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করেন। ইসহাক দারও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পক্ষ থেকে শবনমকে শুভেচ্ছা জানান। ওই নৈশভোজে উপস্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যকার চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক বিনিময় স্বাভাবিক করতে যৌথভাবে কাজ করবেন তারা। এ দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’য় যান পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

বরেণ্য অভিনেত্রী শবনমের আসল নাম ঝর্ণা বসাক। ১৯৪৬ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার নবাবপুরে তার জন্ম। ১৯৬১ সালে মুক্তি পাওয়া এহতেশাম পরিচালিত ‘হারানো দিন’ সিনেমার পর থেকে শবনম নামে পরিচিতি পেতে শুরু করেন অভিনেত্রী। ১৯৬২ সালে একই নির্মাতার ‘চান্দা’ সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। তার অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘এ দেশ তোমার আমার’, ‘হারানো দিন’, ‘আমার সংসার’, ‘কখনো আসেনি’, ‘চোর’, ‘জোয়ার ভাটা’, ‘জুলি’, ‘নবারুণ’, ‘নাচঘর’, ‘নাচের পুতুল’, ‘সন্ধি’, ‘রাজধানীর বুকে’, ‘সহধর্মিণী’ ইত্যাদি। ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে স্থায়ীভাবে বাস করতে শুরু করেন শবনম। ঢাকায় তার সর্বশেষ আলোচিত সিনেমা ‘আম্মাজান’। এ সিনেমায় অভিনয় করে সব বয়সি দর্শকের কাছে ‘আম্মাজান’ হিসেবে পরিচিতি পান তিনি। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে ছিলেন অভিনেতা মান্না। মুক্তির পর সুপারহিট হয় ছবিটি।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত