চলচ্চিত্র নির্মাতা মনজুরুল ইসলাম মেঘকে জিয়া সাইবার ফোর্স (জেডসিএফ) থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। সম্প্রতি সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতীয়তাবাদী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সংগঠন জেডসিএফের প্যাডে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকার কারণে জেডসিএফ থেকে ইঞ্জিনিয়ার মনজুরুল ইসলাম মেঘকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাকে জেডসিএফের কোনো ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রমে যুক্ত না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হলো।

মনজুরুল ইসলাম মেঘকে বহিষ্কারের বিষয়টি স্বীকার করে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান কমিটির চেয়ারম্যান নাসিফ ওয়াহিদ ফাইজাল আমার দেশকে বলেন, ২০১৫ সাল থেকে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিয়ে আমরা অনলাইন/অফলাইন অ্যাক্টিভিজম করে আসছি। আমাদের সংগঠনে অনেকেই আসতে আগ্রহী। সংগঠনের কাজকে বেগবান করতে আমাদের প্রায়ই নতুন নতুন মানুষ নিতে হয়। আমাদের সংগঠনে যারা আসতে চান, আমরা তাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিই, যাচাই-বাছাই করি।

মনজুরুল ইসলাম মেঘ খুবই ধূর্ত একজন ব্যক্তি। জুলাই-আগস্টে রাজনীতির বাতাস ঘুরে যেতে পারে এটা বুঝতে পেরে তিনি জাতীয়তাবাদের পক্ষে লেখালেখিসহ বেশ কিছু অ্যাক্টিভিজম করেন। সেসব তথ্য-প্রমাণ দেখিয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভণ্ড, ধূর্ত ও ফ্যাসিবাদের দোসর মেঘ আমাদের কমিটিতে ঢোকার চেষ্টা করেন। তার ফেসবুক প্রোফাইল দেখলে আপনার মনে হবে তারচেয়ে বড় জাতীয়তাবাদী বাংলাদেশে নেই।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক অ্যাক্টিভিজম দেখে মনে হয়েছিল তিনি জাতীয়তাবাদী মনোভাবের বিধায় তাকে সংগঠনের প্রথমিক সদস্যপদ দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর তার বিষয়ে নানা তথ্য আসতে থাকে। তিনি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় অনুদান পেয়েছেন। ফ্যাসিবাদের দোসর জাজ মাল্টিমিডিয়ার অর্থায়নে সিনেমা বানিয়েছেন।

নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের চেষ্টা করেছেন। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে মিথ্যাচার, যত্রতত্র দলীয় প্রভাব খাটানো এবং সংগঠনের নারী কর্মীদের অশালীন প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। আমরা তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেলে দলীয় সিদ্ধান্তে মেঘকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব ধরনের পদায়ন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করি এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান।

মেঘের ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী অন্যান্য সংগঠনকেও সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান নাসিফ ওয়াহিদ ফাইজাল। বহিষ্কার ও অভিযোগের বিষয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা মেঘের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।