
স্টাফ রিপোর্টার

আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই ক্লাস ও ভর্তি কার্যক্রম শুরুর দাবিতে অনশনে বসেছেন প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা কলেজ ও বাংলা কলেজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা। যদি দাবি পূরণ না হয়, তাহলে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বারবার ক্লাস শুরুর তারিখ ও কাগজপত্র জমাদানের সময় পিছিয়ে যাওয়ায় তারা এখন গভীর অনিশ্চয়তা ও মানসিক চাপে ভুগছেন।
অনশনরত ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী তানভীরুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতঃপূর্বে ক্লাস শুরুর তারিখ ও কাগজপত্র জমাদানের সময় পেছাতে দেখেছি। এতে আমরা গভীর অনিশ্চয়তা ও মানসিক চাপে আছি। গতকাল আমরা আমাদের অন্তর্বর্তী প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস স্যারের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। আমাদের একটাই দাবি—আগামী ৩০ অক্টোবর পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী যেন ক্লাস ও ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হয়।
তিনি আ বলেন, স্যার জানিয়েছেন, আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তাঁর একটি বৈঠক আছে, সেখানে তিনি আমাদের দাবির পক্ষে কথা বলবেন এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। বৈঠকের ফলাফলও তিনি আমাদের জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
বর্তমান শিক্ষকদের অবস্থান সম্পর্কে তানভীর বলেন, গতকাল আমরা একজন শিক্ষক প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষক প্যানেলও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন। আমাদের স্যাররাও চাচ্ছেন যেন ক্লাস দ্রুত শুরু হয়। আমরা বিশ্বাস করি, স্যাররাই আমাদের ক্লাস নেবেন এবং ভর্তি প্রক্রিয়াও দ্রুত সম্পন্ন হবে।
তিনি আরো জানান, যদি দাবি পূরণ না হয়, অর্থাৎ ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ক্লাস শুরু না হয়, তাহলে আমরা আমাদের অনশন কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাব।”
এছাড়াও বাংলা কলেজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন বলেন, “আমাদের প্রায় তিন মাস আগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাবজেক্ট চয়েস ও অনলাইন পেমেন্ট সম্পন্ন করার পরও এখনো ক্লাস শুরু হয়নি, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয়। আমরা চাই ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই কাগজপত্র জমা নিয়ে ক্লাস শুরু করা হোক।
তিনি আরও বলেন, এদিকে ২০২৫–২৬ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে , অথচ আমরা এখনো ক্লাসে ফিরতে পারিনি। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে নতুন ভর্তি আবেদনও শুরু হয়েছে। ফলে আমরা এক প্রকার অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি।
মানসিক চাপ ও পরিচয় সংকটের কথাও তুলে ধরে নাজমুল বলেন, এই দেরির কারণে আমরা পড়াশোনায় পিছিয়ে যাচ্ছি, আবার মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত। এখন এমন অবস্থায় আছি যেখানে পরিচয় দিতেও সংকোচবোধ হচ্ছে। আমাদের একটাই দাবি— খুব দ্রুত ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ক্লাস শুরু করা হোক।
শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কখনোই বলিনি যে বিসিএস ক্যাডার স্যারদের অধীনে ক্লাস করব না বা ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নেব না। যারা এমন কথা বলছে, তারা গুজব ছড়াচ্ছে। ২১ তারিখে যারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিল, তারা শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবেই গিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা কোথায়, আমরা জানি না। যদি তারা সত্যিই প্রতিনিধি হয়ে থাকে, তাহলে আজ অনশনে তাদেরও এখানে থাকার কথা ছিল। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই— ২৪ - ২৫ সেশনের প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর দাবি একটাই: দ্রুত ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে ৩০ অক্টোবর থেকে ক্লাস শুরু করা হোক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, আগামীকাল অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর থেকে ক্লাস শুরু এবং ভর্তি কার্যক্রম সম্ভব নয়। এই বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আজকে একটি মিটিং হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু উপদেষ্টা স্যার না থাকায় সেটা হয়নি। উনি আসলে আমরা নিশ্চয়ই বিষয়গুলো তুলে ধরব।

আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই ক্লাস ও ভর্তি কার্যক্রম শুরুর দাবিতে অনশনে বসেছেন প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা কলেজ ও বাংলা কলেজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা। যদি দাবি পূরণ না হয়, তাহলে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বারবার ক্লাস শুরুর তারিখ ও কাগজপত্র জমাদানের সময় পিছিয়ে যাওয়ায় তারা এখন গভীর অনিশ্চয়তা ও মানসিক চাপে ভুগছেন।
অনশনরত ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী তানভীরুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতঃপূর্বে ক্লাস শুরুর তারিখ ও কাগজপত্র জমাদানের সময় পেছাতে দেখেছি। এতে আমরা গভীর অনিশ্চয়তা ও মানসিক চাপে আছি। গতকাল আমরা আমাদের অন্তর্বর্তী প্রশাসক অধ্যাপক ইলিয়াস স্যারের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছি। আমাদের একটাই দাবি—আগামী ৩০ অক্টোবর পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী যেন ক্লাস ও ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হয়।
তিনি আ বলেন, স্যার জানিয়েছেন, আজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তাঁর একটি বৈঠক আছে, সেখানে তিনি আমাদের দাবির পক্ষে কথা বলবেন এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। বৈঠকের ফলাফলও তিনি আমাদের জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
বর্তমান শিক্ষকদের অবস্থান সম্পর্কে তানভীর বলেন, গতকাল আমরা একজন শিক্ষক প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষক প্যানেলও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন। আমাদের স্যাররাও চাচ্ছেন যেন ক্লাস দ্রুত শুরু হয়। আমরা বিশ্বাস করি, স্যাররাই আমাদের ক্লাস নেবেন এবং ভর্তি প্রক্রিয়াও দ্রুত সম্পন্ন হবে।
তিনি আরো জানান, যদি দাবি পূরণ না হয়, অর্থাৎ ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ক্লাস শুরু না হয়, তাহলে আমরা আমাদের অনশন কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে যাব।”
এছাড়াও বাংলা কলেজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন বলেন, “আমাদের প্রায় তিন মাস আগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাবজেক্ট চয়েস ও অনলাইন পেমেন্ট সম্পন্ন করার পরও এখনো ক্লাস শুরু হয়নি, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয়। আমরা চাই ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই কাগজপত্র জমা নিয়ে ক্লাস শুরু করা হোক।
তিনি আরও বলেন, এদিকে ২০২৫–২৬ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে , অথচ আমরা এখনো ক্লাসে ফিরতে পারিনি। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে নতুন ভর্তি আবেদনও শুরু হয়েছে। ফলে আমরা এক প্রকার অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি।
মানসিক চাপ ও পরিচয় সংকটের কথাও তুলে ধরে নাজমুল বলেন, এই দেরির কারণে আমরা পড়াশোনায় পিছিয়ে যাচ্ছি, আবার মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত। এখন এমন অবস্থায় আছি যেখানে পরিচয় দিতেও সংকোচবোধ হচ্ছে। আমাদের একটাই দাবি— খুব দ্রুত ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ক্লাস শুরু করা হোক।
শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কখনোই বলিনি যে বিসিএস ক্যাডার স্যারদের অধীনে ক্লাস করব না বা ভর্তি কার্যক্রমে অংশ নেব না। যারা এমন কথা বলছে, তারা গুজব ছড়াচ্ছে। ২১ তারিখে যারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিল, তারা শিক্ষার্থী প্রতিনিধি হিসেবেই গিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা কোথায়, আমরা জানি না। যদি তারা সত্যিই প্রতিনিধি হয়ে থাকে, তাহলে আজ অনশনে তাদেরও এখানে থাকার কথা ছিল। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই— ২৪ - ২৫ সেশনের প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর দাবি একটাই: দ্রুত ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে ৩০ অক্টোবর থেকে ক্লাস শুরু করা হোক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, আগামীকাল অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর থেকে ক্লাস শুরু এবং ভর্তি কার্যক্রম সম্ভব নয়। এই বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আজকে একটি মিটিং হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু উপদেষ্টা স্যার না থাকায় সেটা হয়নি। উনি আসলে আমরা নিশ্চয়ই বিষয়গুলো তুলে ধরব।

নীতিমালার ধারা-৪ এর ২(ক) অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সান্ধ্যকালীন কোর্স যেমন এমবিএ, ইএমবিএ, এমএড, অথবা কোনো পেশাদার, নির্বাহী বা বিশেষ মাস্টার্স কোর্স, এমফিল ও পিএইচডি বা সমমানের কোর্স, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্স, ভাষা কোর্সসহ এ ধরনের অন্যান্য প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী হ
৩ ঘণ্টা আগে
বুধবার রাত দশটায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ কমিটি অনুমোদন করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের সমস্যাগুলো দুর্বল নেতৃত্বের কারণে হয়েছে। যদি যথাযোগ্য নেতৃত্ব আমরা তৈরি করতে পারতাম, যদি যোগ্য নেতৃত্ব আমরা হাজির করতে পারতাম, তাহলে এ সমস্যাগুলো থাকতো না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
৯ ঘণ্টা আগে
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদধারী নেতা ও কর্মীর বিরুদ্ধে অন্তত ৩২টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে মারধর, হুমকি, জোরপূর্বক অবস্থান দখল ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে বাধা দেয়ার মতো অভিযোগও রয়েছে। এতসব অভিযোগ জমা পড়লেও মাত্র দুটি অভিযোগের
৯ ঘণ্টা আগে