• facebook
  • fb_group
  • twitter
  • tiktok
  • whatsapp
  • pinterest
  • youtube
  • linkedin
  • instagram
  • google
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বাণিজ্য
সারা দেশ
বিশ্ব
খেলা
আইন-আদালত
ধর্ম ও ইসলাম
বিনোদন
ফিচার
আমার দেশ পরিবার
ইপেপার
আমার দেশযোগাযোগশর্তাবলি ও নীতিমালাগোপনীয়তা নীতিডিএমসিএ
facebookfb_grouptwittertiktokwhatsapppinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার দেশ | সম্পাদক ও প্রকাশক, মাহমুদুর রহমান 
মাহমুদুর রহমান কর্তৃক ঢাকা ট্রেড সেন্টার (৮ম ফ্লোর), ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫ থেকে প্রকাশিত এবং আমার দেশ পাবলিকেশন লিমিটেড প্রেস, ৪৪৬/সি ও ৪৪৬/ডি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত।
সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ: ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।ফোন: ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল: info@dailyamardesh.comবার্তা: ফোন: ০৯৬৬৬-৭৪৭৪০০। ই-মেইল: news@dailyamardesh.comবিজ্ঞাপন: ফোন: +৮৮০-১৭১৫-০২৫৪৩৪ । ই-মেইল: ad@dailyamardesh.comসার্কুলেশন: ফোন: +৮৮০-০১৮১৯-৮৭৮৬৮৭ । ই-মেইল: circulation@dailyamardesh.com
ওয়েব মেইল
কনভার্টারআর্কাইভবিজ্ঞাপনসাইটম্যাপ
> ফিচার
> তারুণ্য

বই মানুষের প্রকৃত বন্ধু

আবদুল্লাহ্ আল মামুন অন্তর
প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ০৮
logo
বই মানুষের প্রকৃত বন্ধু

আবদুল্লাহ্ আল মামুন অন্তর

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ০৮

মানুষের প্রকৃত বন্ধু বই। বই পড়লে অনেক কিছু জানা যায়, বই মনোযোগ বাড়ায়, মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে, কল্পনা শক্তি বাড়ায় ও মানসিক চাপ কমায়। নিয়মিত বই পড়া আমাদের জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধির এক অনন্য উপায়। বই আমাদেরকে ভিন্ন, ভিন্ন জগতের সঙ্গে পরিচয় করায়। বই চিন্তা ও কল্পনাশক্তি প্রসারিত করে। সেই সাথে পত্রিকা আমাদের চলমান ঘটনা, সমাজ, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন করে।

নিয়মিত পড়াশোনা আমাদের জীবনকে দিকনির্দেশনা দেয়, মনকে উজ্জীবিত করে এবং মানুষকে সমস্যা সমাধানে সক্ষম করে। তাই সময় নষ্ট না করে প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় বই ও পত্রিকা পড়া দরকার। জ্ঞান অর্জনই শক্তি আর পাঠ্যাভ্যাসই সেই শক্তির মূল চাবিকাঠি। বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ মানুষ ফেসবুক স্ক্রলিং, রিলস দেখা, ইউটিউব ও টিকটকে অপ্রয়োজনীয় সময় ব্যয় করার কারণে বই পড়া থেকে দূরে থাকে।

পত্রিকা ও বইয়ের সাথে সুসম্পর্ক গড়তে এবং পাঠ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে আমার দেশ পাঠকমেলা কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সকল সদস্যবৃন্দ নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং নিয়মিত সাপ্তাহিক পাঠচক্রের চক্রের আয়োজন করেন। ৭ই নভেম্বর শুক্রবার "বই মানুষের প্রকৃত বন্ধু'' শিরোনামে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাপ্তাহিক পাঠচক্রের আয়োজন করে আমার দেশ পাঠকমেলা কুড়িগ্রাম জেলা শাখা।

এই পাঠচক্রে অংশগ্রহণ করেন আমার দেশ পাঠকমেলা কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সহসভাপতি মাহাবুবুর রহমান রুবেল , সাধারণ সম্পাদক ইউনূস মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, পাঠাগার ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক রাজু আহমেদ ও কার্যকরী সদস্য সামিউল ইসলাম প্রমুখ।

এই পাঠচক্রে বাংলাদেশী চিন্তাবিদ ও কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফা রচিত একটি স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ''যদ্যপি আমার গুরু" বইটি নিয়ে আলোচনা করা হয়। দীর্ঘ স্মৃতিচারণামূলক রচনাটি ১৯৯৮ সালে বই আকারে প্রকাশের আগে দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার সাহিত্য পাতায় প্রায় চার মাস ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।

জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের সাথে ছফার বিভিন্ন বিষয়ে কথোপকথনসমূহের বিবরণ পাওয়া যায় এই গ্রন্থে। ছফা অধ্যাপক রাজ্জাকের মনীষা এবং চারিত্র্য প্রাঞ্জল ভাষায় ও সুচারু শৈলীতে চিত্রায়িত করেছেন। রাজ্জাকের মুখনিঃসৃত সংলাপ যতদূর সম্ভব তিনি যে ধরনের ঢাকাইয়া বুলিতে কথা বলতেন সে বুলিতেই তুলে ধরেছেন ছফা। গ্রন্থটিকে ছফার গুরুদক্ষিণা বলা হয়। ড. আহমদ শরীফকে বইটি উৎসর্গ করা হয়।

পাঠচক্রে সাধারণ সম্পাদক ইউনূস মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন, “একজন পাঠকের জন্য পাঠচক্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মাধ্যমে একে অপরের মধ্যে জ্ঞান ও চিন্তার আদান-প্রদান হয়, যা পঠিত বিষয়ের ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করে এবং বিশ্লেষণধর্মী মনন গঠনে সহায়তা করে। আমরা আজকের পাঠচক্রে আলোচনার জন্য বেছে নিয়েছি প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফা রচিত তাঁর অমর গ্রন্থ ‘যদ্যপি আমার গুরু’ বইটি। কেননা বইটি কেবল একটি স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ নয়, এটি বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসের এক অমূল্য দলিল।

জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের মতো একজন নিভৃতচারী জ্ঞানতাপসকে সাধারণ পাঠকের কাছে উন্মোচন করার এক দুর্লভ প্রচেষ্টা এই বই। অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে 'শিক্ষকদের শিক্ষক' এবং 'চলমান বিশ্বকোষ' বলা হতো। তিনি সারাজীবন কোনো গ্রন্থ রচনা না করায় তাঁর জ্ঞানের বিশালতা ও তীক্ষ্ণ প্রজ্ঞা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল সীমিত। তাই অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাককে জানার জানালা হিসেবে কাজ করে এই বই। এছাড়া এই গ্রন্থে আবদুর রাজ্জাক ও আহমদ ছফার যে কথোপকথন উঠে এসেছে, তা কেবল ব্যক্তিগত আলোচনা নয়। এটি তৎকালীন শিক্ষাব্যবস্থা, রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং সমসাময়িক কিঙবদন্তী ব্যক্তিত্বদের নিয়ে রাজ্জাক স্যারের অকপট ও বিশ্লেষণমূলক মতামতের ভান্ডার।

যারা নির্মোহ জ্ঞানচর্চা, সমাজের অসঙ্গতিগুলো নিয়ে তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণ এবং চিন্তার নতুন দিগন্ত খুঁজতে আগ্রহী, তাদের জন্য এই গ্রন্থটি অবশ্যপাঠ্য। ​‘যদ্যপি আমার গুরু’ পাঠের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অসাধারণ মনীষী এবং তাঁর সময়ের সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয় সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ও গভীর ধারণা লাভ করতে পারব।”

ইউনূস মোল্লা আরো বলেন, ‘অবসর সময়ে বই ও পত্রিকা পড়ুন। বই আমাদের প্রকৃত বন্ধু।" পাঠাগার ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বই পড়া আমাদের সকলের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে অনেক বড় অবদান রাখে। তাই আমাদের সবার উচিত নিয়মিত পত্রিকা ও জ্ঞান আহরণ করা যায়Ñএমন বইগুলো অধ্যয়ন করা।’

তিনি যদ্যপি আমার গুরু সম্পর্কে বলেন, “এই বইয়ের লেখক আহমেদ ছফা তার লেখনীর মাধ্যমে জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের সুন্দর সুন্দর কথাগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। তিনি বর্তমান সময়ের এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এমনভাবে বই পড়ার গুরুত্ব বইটিতে উল্লেখ করেছেন যে তা আমরা মাত্র এক বাক্যে ব্যাখ্যা করতে পারি। আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘মানুষ তখনই বুঝতে পারে যখন সে নিজের ভাষায় বইটি লিখতে পারবে বা বইটি রিপ্রডিউস করতে পারবে।’

শুধুমাত্র বই পড়ার অভ্যাসের কারণেই আব্দুর রাজ্জাক আহমেদ ছফা, সলিমুল্লাহ খানসহ আরো অনেকে মানুষের মাঝে প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছেন সেটা আমরা দেখতে পাই। আমাদের সকলের উচিত নিয়মিত পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি জ্ঞান সঞ্চয়মূলক বইগুলো বেশি, বেশি পড়া। সোস্যাল মিডিয়ায় অপ্রয়োজনীয় সময় ব্যয় করার যুগে পাঠ্যভ্যাস গড়ে তুলুন। নিজে নিয়মিত পত্রিকা ও বই পড়ুন অন্যকে উৎসাহিত করুন।” এছাড়াও এই পাঠচক্রে অংশ নেওয়া সদস্যরা তাদের বক্তব্য রাখেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক : মাহমুদুর রহমান কর্তৃক প্রকাশিত এবং আল-ফালাহ প্রিন্টিং প্রেস, ৪২৩, এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭ থেকে এবং অস্থায়ীভাবে মিডিয়া প্রিন্টার্স লি. ৪৪৬/এইচ, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত। বার্তা, সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগ : ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ৯৯, কাজী নজরুল ইসলাম এভিণিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। পিএবিএক্স : ০২-৫৫০১২২৫০। ই-মেইল : info@dailyamardesh.com

মানুষের প্রকৃত বন্ধু বই। বই পড়লে অনেক কিছু জানা যায়, বই মনোযোগ বাড়ায়, মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে, কল্পনা শক্তি বাড়ায় ও মানসিক চাপ কমায়। নিয়মিত বই পড়া আমাদের জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধির এক অনন্য উপায়। বই আমাদেরকে ভিন্ন, ভিন্ন জগতের সঙ্গে পরিচয় করায়। বই চিন্তা ও কল্পনাশক্তি প্রসারিত করে। সেই সাথে পত্রিকা আমাদের চলমান ঘটনা, সমাজ, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন করে।

নিয়মিত পড়াশোনা আমাদের জীবনকে দিকনির্দেশনা দেয়, মনকে উজ্জীবিত করে এবং মানুষকে সমস্যা সমাধানে সক্ষম করে। তাই সময় নষ্ট না করে প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় বই ও পত্রিকা পড়া দরকার। জ্ঞান অর্জনই শক্তি আর পাঠ্যাভ্যাসই সেই শক্তির মূল চাবিকাঠি। বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ মানুষ ফেসবুক স্ক্রলিং, রিলস দেখা, ইউটিউব ও টিকটকে অপ্রয়োজনীয় সময় ব্যয় করার কারণে বই পড়া থেকে দূরে থাকে।

বিজ্ঞাপন

পত্রিকা ও বইয়ের সাথে সুসম্পর্ক গড়তে এবং পাঠ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে আমার দেশ পাঠকমেলা কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সকল সদস্যবৃন্দ নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং নিয়মিত সাপ্তাহিক পাঠচক্রের চক্রের আয়োজন করেন। ৭ই নভেম্বর শুক্রবার "বই মানুষের প্রকৃত বন্ধু'' শিরোনামে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাপ্তাহিক পাঠচক্রের আয়োজন করে আমার দেশ পাঠকমেলা কুড়িগ্রাম জেলা শাখা।

এই পাঠচক্রে অংশগ্রহণ করেন আমার দেশ পাঠকমেলা কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সহসভাপতি মাহাবুবুর রহমান রুবেল , সাধারণ সম্পাদক ইউনূস মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, পাঠাগার ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক রাজু আহমেদ ও কার্যকরী সদস্য সামিউল ইসলাম প্রমুখ।

এই পাঠচক্রে বাংলাদেশী চিন্তাবিদ ও কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফা রচিত একটি স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ''যদ্যপি আমার গুরু" বইটি নিয়ে আলোচনা করা হয়। দীর্ঘ স্মৃতিচারণামূলক রচনাটি ১৯৯৮ সালে বই আকারে প্রকাশের আগে দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকার সাহিত্য পাতায় প্রায় চার মাস ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।

জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের সাথে ছফার বিভিন্ন বিষয়ে কথোপকথনসমূহের বিবরণ পাওয়া যায় এই গ্রন্থে। ছফা অধ্যাপক রাজ্জাকের মনীষা এবং চারিত্র্য প্রাঞ্জল ভাষায় ও সুচারু শৈলীতে চিত্রায়িত করেছেন। রাজ্জাকের মুখনিঃসৃত সংলাপ যতদূর সম্ভব তিনি যে ধরনের ঢাকাইয়া বুলিতে কথা বলতেন সে বুলিতেই তুলে ধরেছেন ছফা। গ্রন্থটিকে ছফার গুরুদক্ষিণা বলা হয়। ড. আহমদ শরীফকে বইটি উৎসর্গ করা হয়।

পাঠচক্রে সাধারণ সম্পাদক ইউনূস মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন, “একজন পাঠকের জন্য পাঠচক্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মাধ্যমে একে অপরের মধ্যে জ্ঞান ও চিন্তার আদান-প্রদান হয়, যা পঠিত বিষয়ের ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করে এবং বিশ্লেষণধর্মী মনন গঠনে সহায়তা করে। আমরা আজকের পাঠচক্রে আলোচনার জন্য বেছে নিয়েছি প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আহমদ ছফা রচিত তাঁর অমর গ্রন্থ ‘যদ্যপি আমার গুরু’ বইটি। কেননা বইটি কেবল একটি স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ নয়, এটি বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসের এক অমূল্য দলিল।

জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের মতো একজন নিভৃতচারী জ্ঞানতাপসকে সাধারণ পাঠকের কাছে উন্মোচন করার এক দুর্লভ প্রচেষ্টা এই বই। অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাককে 'শিক্ষকদের শিক্ষক' এবং 'চলমান বিশ্বকোষ' বলা হতো। তিনি সারাজীবন কোনো গ্রন্থ রচনা না করায় তাঁর জ্ঞানের বিশালতা ও তীক্ষ্ণ প্রজ্ঞা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল সীমিত। তাই অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাককে জানার জানালা হিসেবে কাজ করে এই বই। এছাড়া এই গ্রন্থে আবদুর রাজ্জাক ও আহমদ ছফার যে কথোপকথন উঠে এসেছে, তা কেবল ব্যক্তিগত আলোচনা নয়। এটি তৎকালীন শিক্ষাব্যবস্থা, রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং সমসাময়িক কিঙবদন্তী ব্যক্তিত্বদের নিয়ে রাজ্জাক স্যারের অকপট ও বিশ্লেষণমূলক মতামতের ভান্ডার।

যারা নির্মোহ জ্ঞানচর্চা, সমাজের অসঙ্গতিগুলো নিয়ে তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণ এবং চিন্তার নতুন দিগন্ত খুঁজতে আগ্রহী, তাদের জন্য এই গ্রন্থটি অবশ্যপাঠ্য। ​‘যদ্যপি আমার গুরু’ পাঠের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অসাধারণ মনীষী এবং তাঁর সময়ের সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয় সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ও গভীর ধারণা লাভ করতে পারব।”

ইউনূস মোল্লা আরো বলেন, ‘অবসর সময়ে বই ও পত্রিকা পড়ুন। বই আমাদের প্রকৃত বন্ধু।" পাঠাগার ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বই পড়া আমাদের সকলের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে অনেক বড় অবদান রাখে। তাই আমাদের সবার উচিত নিয়মিত পত্রিকা ও জ্ঞান আহরণ করা যায়Ñএমন বইগুলো অধ্যয়ন করা।’

তিনি যদ্যপি আমার গুরু সম্পর্কে বলেন, “এই বইয়ের লেখক আহমেদ ছফা তার লেখনীর মাধ্যমে জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের সুন্দর সুন্দর কথাগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। তিনি বর্তমান সময়ের এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এমনভাবে বই পড়ার গুরুত্ব বইটিতে উল্লেখ করেছেন যে তা আমরা মাত্র এক বাক্যে ব্যাখ্যা করতে পারি। আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘মানুষ তখনই বুঝতে পারে যখন সে নিজের ভাষায় বইটি লিখতে পারবে বা বইটি রিপ্রডিউস করতে পারবে।’

শুধুমাত্র বই পড়ার অভ্যাসের কারণেই আব্দুর রাজ্জাক আহমেদ ছফা, সলিমুল্লাহ খানসহ আরো অনেকে মানুষের মাঝে প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছেন সেটা আমরা দেখতে পাই। আমাদের সকলের উচিত নিয়মিত পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি জ্ঞান সঞ্চয়মূলক বইগুলো বেশি, বেশি পড়া। সোস্যাল মিডিয়ায় অপ্রয়োজনীয় সময় ব্যয় করার যুগে পাঠ্যভ্যাস গড়ে তুলুন। নিজে নিয়মিত পত্রিকা ও বই পড়ুন অন্যকে উৎসাহিত করুন।” এছাড়াও এই পাঠচক্রে অংশ নেওয়া সদস্যরা তাদের বক্তব্য রাখেন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

আমার দেশবই
সর্বশেষ
১

স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

২

ক্যাম্প ন্যুতে বসবে মেসির ভাস্কর্য

৩

সূর্যবংশীর বিস্ফোরক ব্যাটিং, ৩২ বলে সেঞ্চুরি

৪

বরিশালে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ

৫

নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিল রাবি যশোর জেলা সমিতি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত

ঢাবিতে বছরজুড়ে ‘তারুণ্যের উৎসব’ শুরু ১৬ নভেম্বর

আয়োজক কমিটি জানায়, বছরব্যাপী উৎসবের প্রতিটি মাসে নির্দিষ্ট থিম ধরে কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নভেম্বর ও ডিসেম্বরকে যথাক্রমে ‘উদ্বোধন ও নেতৃত্ব’ এবং ‘উদ্ভাবন ও গবেষণা’ মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

২ ঘণ্টা আগে

বিইসিপিএসের স্বীকৃতি পেলেন ৪ মনোবিজ্ঞানী

এডুকেশনাল সাইকোলজি এবং কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিষয়ে এম এস এবং এম ফিল ডিগ্রি সম্পন্ন করায় চারজনকে মনোবিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি সোসাইটি (বিইসিপিএস)।

২ ঘণ্টা আগে

এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ১৯ জনের মৃত্যু

এডিস মশাবাহী রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি, হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে (শনি-শুক্রবার) ডেঙ্গুতে ১৯ জনের মৃত্যু এবং ৬ হাজার ৫৫২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

৪ ঘণ্টা আগে

বুয়েটে দুইদিনের বিজ্ঞান উৎসবে নানান প্রদর্শনী

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উৎসব ‘ইনোভার্স বাংলাদেশ ২০২৫’। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দেশের অন্যতম বৃহৎ এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব জনাব শীষ হায়দার চৌধুরী।

৫ ঘণ্টা আগে
ঢাবিতে বছরজুড়ে ‘তারুণ্যের উৎসব’ শুরু ১৬ নভেম্বর

ঢাবিতে বছরজুড়ে ‘তারুণ্যের উৎসব’ শুরু ১৬ নভেম্বর

বিইসিপিএসের স্বীকৃতি পেলেন ৪ মনোবিজ্ঞানী

বিইসিপিএসের স্বীকৃতি পেলেন ৪ মনোবিজ্ঞানী

এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ১৯ জনের মৃত্যু

এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ১৯ জনের মৃত্যু

বুয়েটে দুইদিনের বিজ্ঞান উৎসবে নানান প্রদর্শনী

বুয়েটে দুইদিনের বিজ্ঞান উৎসবে নানান প্রদর্শনী