
প্রতিনিধি, ইবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি কর্তৃক নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কারসহ ৫ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা দেড়টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, “সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার পর ১০৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত হত্যার বিচার হয়নি, কোনো খুনিও গ্রেপ্তার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়সারা মনোভাব এবং বিচার প্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের গভীর ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে। উপরন্তু, আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি কর্তৃক সাজিদ আব্দুল্লাহকে “কোথাকার কোন মৃত পোলা, যাই হোক সে তো চলেই গেছে” বলে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও কটূক্তির মতো লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে। তার এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নৈতিক অধঃপতন এবং বিচারবোধহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।"
এ সময় উপাচার্য বরাবর ৫ দফা দাবি পেশ করে তারা। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে:
সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করে খুনিদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
সাজিদকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝিকে ন্যাক্কারজনক ও যৌন হয়রানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অপরাধে তাকে বহিষ্কার করতে হবে।
সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি হুমকি-ধামকি প্রদানকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের “ন্যায্য প্রতিবাদ ও আন্দোলনে বাধা প্রদানকারীদের উদ্দেশ্য ও প্রবৃত্তি যাচাইয়ের জন্য” তদন্ত কমিটি গঠন করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের অধিকার ও আন্দোলনের সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হবে। কোনো মতেই কোনো আন্দোলনকারীর একাডেমিক ফলাফলের ওপর বিরূপ প্রভাব যেন না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “কোনো শিক্ষক যদি এভাবে কাউকে অপমান করে তাহলে যেকোনো শিক্ষকের পক্ষ থেকেই আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের কথা বলার অধিকার আছে কিন্তু কাউকে গালি দেওয়ার অধিকার নেই। এ ধরনের বক্তব্য যেন কোনো শিক্ষক ভবিষ্যতে আর না দেয়। আমি যতদূর জানি তিনি সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গণমাধ্যমে অসাবধানতা ও শব্দ চয়নে ভুল হয়েছে উল্লেখ করে নিঃশর্ত ক্ষমা চান সেই অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি কর্তৃক নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কারসহ ৫ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা দেড়টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, “সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার পর ১০৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত হত্যার বিচার হয়নি, কোনো খুনিও গ্রেপ্তার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়সারা মনোভাব এবং বিচার প্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের গভীর ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে। উপরন্তু, আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি কর্তৃক সাজিদ আব্দুল্লাহকে “কোথাকার কোন মৃত পোলা, যাই হোক সে তো চলেই গেছে” বলে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও কটূক্তির মতো লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে। তার এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নৈতিক অধঃপতন এবং বিচারবোধহীনতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।"
এ সময় উপাচার্য বরাবর ৫ দফা দাবি পেশ করে তারা। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে:
সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করে খুনিদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
সাজিদকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কটূক্তিকারী আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝিকে ন্যাক্কারজনক ও যৌন হয়রানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অপরাধে তাকে বহিষ্কার করতে হবে।
সাজিদ হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতি হুমকি-ধামকি প্রদানকারীদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের “ন্যায্য প্রতিবাদ ও আন্দোলনে বাধা প্রদানকারীদের উদ্দেশ্য ও প্রবৃত্তি যাচাইয়ের জন্য” তদন্ত কমিটি গঠন করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশের অধিকার ও আন্দোলনের সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত রাখতে হবে। কোনো মতেই কোনো আন্দোলনকারীর একাডেমিক ফলাফলের ওপর বিরূপ প্রভাব যেন না পড়ে তা নিশ্চিত করতে হবে।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “কোনো শিক্ষক যদি এভাবে কাউকে অপমান করে তাহলে যেকোনো শিক্ষকের পক্ষ থেকেই আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের কথা বলার অধিকার আছে কিন্তু কাউকে গালি দেওয়ার অধিকার নেই। এ ধরনের বক্তব্য যেন কোনো শিক্ষক ভবিষ্যতে আর না দেয়। আমি যতদূর জানি তিনি সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পেলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গণমাধ্যমে অসাবধানতা ও শব্দ চয়নে ভুল হয়েছে উল্লেখ করে নিঃশর্ত ক্ষমা চান সেই অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন মিঝি।

নীতিমালার ধারা-৪ এর ২(ক) অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সান্ধ্যকালীন কোর্স যেমন এমবিএ, ইএমবিএ, এমএড, অথবা কোনো পেশাদার, নির্বাহী বা বিশেষ মাস্টার্স কোর্স, এমফিল ও পিএইচডি বা সমমানের কোর্স, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্স, ভাষা কোর্সসহ এ ধরনের অন্যান্য প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভোটার বা প্রার্থী হ
৩ ঘণ্টা আগে
বুধবার রাত দশটায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ কমিটি অনুমোদন করেন।
৪ ঘণ্টা আগে
আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের সমস্যাগুলো দুর্বল নেতৃত্বের কারণে হয়েছে। যদি যথাযোগ্য নেতৃত্ব আমরা তৈরি করতে পারতাম, যদি যোগ্য নেতৃত্ব আমরা হাজির করতে পারতাম, তাহলে এ সমস্যাগুলো থাকতো না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
৯ ঘণ্টা আগে
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদধারী নেতা ও কর্মীর বিরুদ্ধে অন্তত ৩২টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে মারধর, হুমকি, জোরপূর্বক অবস্থান দখল ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে বাধা দেয়ার মতো অভিযোগও রয়েছে। এতসব অভিযোগ জমা পড়লেও মাত্র দুটি অভিযোগের
৯ ঘণ্টা আগে