বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগ দাবিতে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে শেষ হয় ।
শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দিন, কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজ আশরাফুল হক, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার, সহকারী অধ্যাপক উন্মেষ রয় উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এটিএম রফিকুল ইসলাম, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সিরাজিস সাদিকসহ অন্যরা।
এতে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন আরো বেগবান হয় এবং উত্তাল হয়ে উঠে ।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা কেন্দ্রের পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে আরো তিনজন শিক্ষক প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে ভিসি পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ১৫ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সব দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে অধ্যাপক মুহসিন উদ্দিন বলেন, একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেট সভা থেকে আমাকে বেআইনিভাবে ও সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে বাদ দেয়া হয়েছে।
আমাকে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে অপমানজনকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অন্যায়।
এ সময় উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সাবেক প্রক্টর এটিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের নামে যে মামলা দেয়া হয়েছে তার সঙ্গে আমি একমত না ।
আমি তখন প্রক্টর ছিলাম কিন্তু মামলার বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। সম্প্রতি একটা জিডি হয়েছে ।
এর সঙ্গেও আমি কোনোভাবেই একমত না । শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতেই আমি আজকে এখানে দাঁড়িয়েছি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সুজয় বিশ্বাস শুভ বলেন, আগামীকাল গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা রয়েছে। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি ভর্তি পরীক্ষায় উপাচার্যের উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক নয়, তাই উপাচার্যকে কোনোভাবেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে শিক্ষার্থীরা শুক্রবার অনুষ্ঠিত গুচ্ছ পরীক্ষায় উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন৷
এডি/ এইচআর

