প্রতিনিধি, ইবি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই আন্দোলনকে শুধু সরকারের পরিবর্তন হিসেবে দেখি না। আমরা বিশ্বাস করি, এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনে পরিবর্তন আসবে, রাষ্ট্রব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে।
তিনি বলেন, এই আন্দোলনের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল ছাত্রসমাজ। বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে গেলে মানুষ বলে, ছাত্ররাই এই দেশের জন্য লড়াই করেছে, দেশ স্বাধীন করেছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে আয়োজিত পদযাত্রা ও পথসভায় বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। দেশব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে এনসিপি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা এই পথসভার আয়োজন করে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, 'আমরা জুলাই পদযাত্রায় অংশ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছি, বিশেষ করে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে আন্দোলন হয়েছে বা যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহযোদ্ধা হিসেবে আমাদের আন্দোলনে পাশে ছিলেন। আমরা ইতোমধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্ররাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি, তারাই আমাদের অনুপ্রেরণা।'
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে প্রতিরোধ শুরু হয়েছিল, সেই কথা গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসে লেখা থাকবে' বলে মন্তব্য করেন নাহিদ। বলেন, 'আজ আমরা শুধু জাতীয় নাগরিক পার্টির কথা বলতে আসিনি, আমরা এসেছি গণঅভ্যুত্থানের কথা বলতে।'
পথসভায় এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, 'গত এক বছর ধরে আমরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেখেছি একটা দেশ আসলে কীভাবে চলে, কীভাবে কাজ করে। আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে, এতোদিন সরকারে থাকা রাজনীতিবিদরা যা আমাদের দেখিয়েছেন, সেটাই সত্য নয়; বরং তারা যা দেখাতে চেয়েছেন, আমাদের কেবল সেটাই দেখিয়েছেন। বাস্তবতা তার চেয়ে অনেক আলাদা।'
তিনি বলেন, 'আমরা দেখেছি, বড় বড় রাজনৈতিক নেতারা সামনাসামনি একে অপরের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় কথা বলেন। অথচ ব্যক্তিগতভাবে তাদের মধ্যে নানা রকম সমঝোতা চলে। কেউ কেউ আবার একসঙ্গে ব্যবসাও করেন।'
তিনি আরো বলেন, 'এই অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের উপলব্ধি হয়েছে একজন শেখ হাসিনা বা একটি সরকারের পতন আসলে এই পুরনো, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থাকে ভাঙার দীর্ঘপথের একটি ছোট্ট ধাপ মাত্র। আমাদের কাজ এখন এই পরিবর্তনের ধারাকে ধরে রাখা এবং শেষ পর্যন্ত তা সম্পন্ন করা।'
সারজিস আলম বলেন 'আমাদের এই লড়াই, এই অভ্যুত্থানের পথে যদি আমরা কখনো শ্লথ হয়ে যাই, তাহলে আমরা দেখতে পাবো পুরোনো সেই শাসকগোষ্ঠী আবার একত্রিত হয়ে সবকিছুর দখল নিয়ে নেয়। কেবল ভাগ-বাটোয়ারার অনুপাতটা বদলানো আগে যেখানে ৭০/৩০ ছিল, সেটা হয়ত এখন ৩০/৭০ হয়েছে। কিন্তু সেই পুরোনো অন্যায়ের চিত্রই থেকে যায়। চাঁদাবাজি চলে, দখলদারিত্ব চলে, সিন্ডিকেট চলে, মাদক ও কালো টাকার বিশাল ব্যবসা চলে আগের মতোই।'
সভায় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'হলের একটি সিটের বিনিময়ে বা ভালো রেজাল্টের বিনিময়ে আপনারা নিজেদের মেরুদণ্ড বিক্রি করে দিয়েন না। আমরা দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবো। সবাই আমার সাথে একমত হবে- এটা মুখ্য না। যারা নেকাব করে তাদের স্বাধীনতা যেমন থাকবে, যারা করতে চাইবে না তাদের স্বাধীনতাও থাকবে। জুলাই সনদ কোনো কবিতা না, এটা আমাদের পরবর্তীতে বাঁচার সনদ। জুলাই সনদ না দিলে আমাদের পেছনে ফেরার কোনো জায়গা থাকবে না। আগামী ৩ আগস্ট আমরা আবারো কেন্দ্রীয় শহীদমিনারে জুলাই সনদের জন্য মিলিত হবো।'
সংক্ষিপ্ত সভাটি সঞ্চালনা করেন ইবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস.এম সুইট। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, ডা. তাসনীম জারা প্রমুখ।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই আন্দোলনকে শুধু সরকারের পরিবর্তন হিসেবে দেখি না। আমরা বিশ্বাস করি, এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনে পরিবর্তন আসবে, রাষ্ট্রব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে।
তিনি বলেন, এই আন্দোলনের সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল ছাত্রসমাজ। বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে গেলে মানুষ বলে, ছাত্ররাই এই দেশের জন্য লড়াই করেছে, দেশ স্বাধীন করেছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে আয়োজিত পদযাত্রা ও পথসভায় বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। দেশব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে এনসিপি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা এই পথসভার আয়োজন করে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, 'আমরা জুলাই পদযাত্রায় অংশ নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছি, বিশেষ করে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে আন্দোলন হয়েছে বা যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহযোদ্ধা হিসেবে আমাদের আন্দোলনে পাশে ছিলেন। আমরা ইতোমধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্ররাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি, তারাই আমাদের অনুপ্রেরণা।'
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে প্রতিরোধ শুরু হয়েছিল, সেই কথা গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসে লেখা থাকবে' বলে মন্তব্য করেন নাহিদ। বলেন, 'আজ আমরা শুধু জাতীয় নাগরিক পার্টির কথা বলতে আসিনি, আমরা এসেছি গণঅভ্যুত্থানের কথা বলতে।'
পথসভায় এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, 'গত এক বছর ধরে আমরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেখেছি একটা দেশ আসলে কীভাবে চলে, কীভাবে কাজ করে। আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে, এতোদিন সরকারে থাকা রাজনীতিবিদরা যা আমাদের দেখিয়েছেন, সেটাই সত্য নয়; বরং তারা যা দেখাতে চেয়েছেন, আমাদের কেবল সেটাই দেখিয়েছেন। বাস্তবতা তার চেয়ে অনেক আলাদা।'
তিনি বলেন, 'আমরা দেখেছি, বড় বড় রাজনৈতিক নেতারা সামনাসামনি একে অপরের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় কথা বলেন। অথচ ব্যক্তিগতভাবে তাদের মধ্যে নানা রকম সমঝোতা চলে। কেউ কেউ আবার একসঙ্গে ব্যবসাও করেন।'
তিনি আরো বলেন, 'এই অভিজ্ঞতা থেকে আমাদের উপলব্ধি হয়েছে একজন শেখ হাসিনা বা একটি সরকারের পতন আসলে এই পুরনো, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থাকে ভাঙার দীর্ঘপথের একটি ছোট্ট ধাপ মাত্র। আমাদের কাজ এখন এই পরিবর্তনের ধারাকে ধরে রাখা এবং শেষ পর্যন্ত তা সম্পন্ন করা।'
সারজিস আলম বলেন 'আমাদের এই লড়াই, এই অভ্যুত্থানের পথে যদি আমরা কখনো শ্লথ হয়ে যাই, তাহলে আমরা দেখতে পাবো পুরোনো সেই শাসকগোষ্ঠী আবার একত্রিত হয়ে সবকিছুর দখল নিয়ে নেয়। কেবল ভাগ-বাটোয়ারার অনুপাতটা বদলানো আগে যেখানে ৭০/৩০ ছিল, সেটা হয়ত এখন ৩০/৭০ হয়েছে। কিন্তু সেই পুরোনো অন্যায়ের চিত্রই থেকে যায়। চাঁদাবাজি চলে, দখলদারিত্ব চলে, সিন্ডিকেট চলে, মাদক ও কালো টাকার বিশাল ব্যবসা চলে আগের মতোই।'
সভায় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'হলের একটি সিটের বিনিময়ে বা ভালো রেজাল্টের বিনিময়ে আপনারা নিজেদের মেরুদণ্ড বিক্রি করে দিয়েন না। আমরা দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবো। সবাই আমার সাথে একমত হবে- এটা মুখ্য না। যারা নেকাব করে তাদের স্বাধীনতা যেমন থাকবে, যারা করতে চাইবে না তাদের স্বাধীনতাও থাকবে। জুলাই সনদ কোনো কবিতা না, এটা আমাদের পরবর্তীতে বাঁচার সনদ। জুলাই সনদ না দিলে আমাদের পেছনে ফেরার কোনো জায়গা থাকবে না। আগামী ৩ আগস্ট আমরা আবারো কেন্দ্রীয় শহীদমিনারে জুলাই সনদের জন্য মিলিত হবো।'
সংক্ষিপ্ত সভাটি সঞ্চালনা করেন ইবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস.এম সুইট। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, ডা. তাসনীম জারা প্রমুখ।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
২ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
২ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৩ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৪ ঘণ্টা আগে