ডা. মোহাম্মদ সাইদ উল্লাহ
হৃদরোগ একটি জটিল রোগ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হৃদরোগীরা জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে হৃদরোগের নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন জটিলতা এড়ানো সম্ভব। আর তাই সহজ ভাষায় হৃদরোগীদের জীবনযাত্রা এবং খাদ্য নির্দেশিকা নিয়ে লিখেছেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সাইদ উল্লাহ
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
হার্ট অ্যাটাক (myocardial infarction) রোগীদের জন্য পরামর্শ
১. বিশ্রাম
# চার থেকে ছয় সপ্তাহ। ক্রমান্বয়ে হালকা থেকে স্বাভাবিকভাবে কাজ শুরু করতে হবে।
# প্রথম সপ্তাহে ঘরের মধ্যে হাঁটাচলা করতে হবে। বাসায় বসে অফিসের ফাইল দেখা যেতে পারে।
# দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে আস্তে আস্তে হাঁটার পরিধি ও সময় বাড়াবেন। অন্য কোনো অসুবিধা না থাকলে ছয় সপ্তাহ পর দিনে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা হাঁটার চেষ্টা করবেন।
# প্রথমদিকে সহবাস নিষেধ। যখন আপনি বিনা ক্লান্তিতে দু-এক মাইল হাঁটতে পারবেন বা দোতলা ভবনের সিঁড়িতে চলাচল করতে পারবেন, তখন সহবাস করতে পারবেন।
# ষষ্ঠ থেকে অষ্টম সপ্তাহে অফিসে যাওয়া-আসা করবেন। এমনকি হালকা গাড়ি চালাতেও পারবেন। ভারী ও অনভ্যস্ত কায়িক পরিশ্রম সব সময় পরিহার করবেন।
১. করোনারি হৃদরোগীদের জন্য খাদ্য নির্দেশনা
# কোলেস্টেরলসমৃদ্ধ ও সম্পৃক্ত ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
# ডিমের কুসুম খাওয়া যাবে না, তবে ডিমের সাদা অংশটি খেতে পারবেন। এ ছাড়া কলিজা, মাছের ডিম, খাসি, গরুর চর্বিযুক্ত মাংস, হাঁস-মুরগির চামড়া, হাড়ের মজ্জা, ঘি, মাখন, ডালডা, গলদা চিংড়ি, নারিকেল ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। শুধু তাই নয়, উপরোক্ত খাবারগুলো দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
২. বেশি করে খেতে হবে আঁশযুক্ত খাবার
# সব ধরনের ডাল খেতে হবে। বিশেষ করে ছোলার ডাল।
# সব ধরনের শাকও খেতে পারেন। বিশেষ করে পুঁইশাক।
# খোসাসহ সবজি খেতে পারেন। যেমন : ঢেঁড়স, বরবটি, শিম, কচুর লতি ইত্যাদি।
# টকজাতীয় ফলও খেতে পারেন। খোসাসহ খেতে পারেন, পেয়ারা, জাম্বুরা, আমলকী ইত্যাদি।
# উপকারী ফ্যাট ও অসম্পৃক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবার বেশি খেতে পারেন।
# সব ধরনের মাছ। বিশেষ করে সমুদ্রের মাছ, ছোট মাছ, মাছের তেল ইত্যাদি খেতে পারবেন।
# উদ্ভিজ্জ তেল বিশেষ করে কর্ন অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল, সয়াবিন তেল ইত্যাদি।
৩. হিসাব করে যেগুলো খাবেন (ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে) ডায়াবেটিক গাইড বইয়ের নির্দেশ অনুযায়ী খেতে হবে।
# শর্করাজাতীয় খাবার। ভাত, রুটি (ময়দা বা সাদা আটার চেয়ে লাল আটা ভালো), আলু, মিষ্টি আলু ইত্যাদি।
# মিষ্টি ফল যেমন : পাকা আম, পাকা কলা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি।
# দুধ ও দুধের তৈরি খাবার।
৪. পরিহার করতে হবে যেসব খাবার
বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড পরিহার করতে হবে। যেমন : কেক, পুডিং, বার্গার, স্যান্ডউইচ, আইসক্রিম, বোতলজাত কোমলপানীয়।
উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য পরামর্শ
# উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
# চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ সেবন করুন।
# প্রতিদিন হাঁটুন অথবা ব্যায়াম করুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
# ধূমপান, জর্দা, তামাকপাতা, গুল পরিহার করুন।
# দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন।
# ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগের চিকিৎসা করুন ও নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের জন্য খাদ্য তালিকা
১. কোলেস্টেরলসমৃদ্ধ ও সম্পৃক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।
# ডিমের কুসুম (ডিমের সাদা অংশটি খেতে পারবেন)। এ ছাড়া কলিজা, মাছের ডিম, খাসি, গরুর চর্বিযুক্ত মাংস, হাঁস-মুরগির চামড়া, হাড়ের মজ্জা, ঘি, মাখন, ডালডা, গলদা চিংড়ি, নারিকেল ইত্যাদি খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। শুধু তাই নয়, উপরোক্ত খাবারগুলো দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
বেশি করে খেতে হবে আঁশযুক্ত খাবার
# সব ধরনের ডাল খেতে হবে। বিশেষ করে ছোলার ডাল।
# সব ধরনের শাকও খেতে পারেন। বিশেষ করে পুঁইশাক।
# খোসাসহ সবজি খেতে পারেন। যেমন : ঢেঁড়স, বরবটি, শিম, কচুর লতি ইত্যাদি।
# টকজাতীয় ফলও খেতে পারেন। খোসাসহ খেতে পারেন পেয়ারা, জাম্বুরা, আমলকী ইত্যাদি।
হৃদরোগ একটি জটিল রোগ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হৃদরোগীরা জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে হৃদরোগের নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন জটিলতা এড়ানো সম্ভব। আর তাই সহজ ভাষায় হৃদরোগীদের জীবনযাত্রা এবং খাদ্য নির্দেশিকা নিয়ে লিখেছেন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সাইদ উল্লাহ
অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান
সাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
হার্ট অ্যাটাক (myocardial infarction) রোগীদের জন্য পরামর্শ
১. বিশ্রাম
# চার থেকে ছয় সপ্তাহ। ক্রমান্বয়ে হালকা থেকে স্বাভাবিকভাবে কাজ শুরু করতে হবে।
# প্রথম সপ্তাহে ঘরের মধ্যে হাঁটাচলা করতে হবে। বাসায় বসে অফিসের ফাইল দেখা যেতে পারে।
# দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে আস্তে আস্তে হাঁটার পরিধি ও সময় বাড়াবেন। অন্য কোনো অসুবিধা না থাকলে ছয় সপ্তাহ পর দিনে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা হাঁটার চেষ্টা করবেন।
# প্রথমদিকে সহবাস নিষেধ। যখন আপনি বিনা ক্লান্তিতে দু-এক মাইল হাঁটতে পারবেন বা দোতলা ভবনের সিঁড়িতে চলাচল করতে পারবেন, তখন সহবাস করতে পারবেন।
# ষষ্ঠ থেকে অষ্টম সপ্তাহে অফিসে যাওয়া-আসা করবেন। এমনকি হালকা গাড়ি চালাতেও পারবেন। ভারী ও অনভ্যস্ত কায়িক পরিশ্রম সব সময় পরিহার করবেন।
১. করোনারি হৃদরোগীদের জন্য খাদ্য নির্দেশনা
# কোলেস্টেরলসমৃদ্ধ ও সম্পৃক্ত ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
# ডিমের কুসুম খাওয়া যাবে না, তবে ডিমের সাদা অংশটি খেতে পারবেন। এ ছাড়া কলিজা, মাছের ডিম, খাসি, গরুর চর্বিযুক্ত মাংস, হাঁস-মুরগির চামড়া, হাড়ের মজ্জা, ঘি, মাখন, ডালডা, গলদা চিংড়ি, নারিকেল ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। শুধু তাই নয়, উপরোক্ত খাবারগুলো দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
২. বেশি করে খেতে হবে আঁশযুক্ত খাবার
# সব ধরনের ডাল খেতে হবে। বিশেষ করে ছোলার ডাল।
# সব ধরনের শাকও খেতে পারেন। বিশেষ করে পুঁইশাক।
# খোসাসহ সবজি খেতে পারেন। যেমন : ঢেঁড়স, বরবটি, শিম, কচুর লতি ইত্যাদি।
# টকজাতীয় ফলও খেতে পারেন। খোসাসহ খেতে পারেন, পেয়ারা, জাম্বুরা, আমলকী ইত্যাদি।
# উপকারী ফ্যাট ও অসম্পৃক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবার বেশি খেতে পারেন।
# সব ধরনের মাছ। বিশেষ করে সমুদ্রের মাছ, ছোট মাছ, মাছের তেল ইত্যাদি খেতে পারবেন।
# উদ্ভিজ্জ তেল বিশেষ করে কর্ন অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল, সয়াবিন তেল ইত্যাদি।
৩. হিসাব করে যেগুলো খাবেন (ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে) ডায়াবেটিক গাইড বইয়ের নির্দেশ অনুযায়ী খেতে হবে।
# শর্করাজাতীয় খাবার। ভাত, রুটি (ময়দা বা সাদা আটার চেয়ে লাল আটা ভালো), আলু, মিষ্টি আলু ইত্যাদি।
# মিষ্টি ফল যেমন : পাকা আম, পাকা কলা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি।
# দুধ ও দুধের তৈরি খাবার।
৪. পরিহার করতে হবে যেসব খাবার
বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড পরিহার করতে হবে। যেমন : কেক, পুডিং, বার্গার, স্যান্ডউইচ, আইসক্রিম, বোতলজাত কোমলপানীয়।
উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য পরামর্শ
# উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
# চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ সেবন করুন।
# প্রতিদিন হাঁটুন অথবা ব্যায়াম করুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
# ধূমপান, জর্দা, তামাকপাতা, গুল পরিহার করুন।
# দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন।
# ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগের চিকিৎসা করুন ও নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের জন্য খাদ্য তালিকা
১. কোলেস্টেরলসমৃদ্ধ ও সম্পৃক্ত ফ্যাটজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।
# ডিমের কুসুম (ডিমের সাদা অংশটি খেতে পারবেন)। এ ছাড়া কলিজা, মাছের ডিম, খাসি, গরুর চর্বিযুক্ত মাংস, হাঁস-মুরগির চামড়া, হাড়ের মজ্জা, ঘি, মাখন, ডালডা, গলদা চিংড়ি, নারিকেল ইত্যাদি খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। শুধু তাই নয়, উপরোক্ত খাবারগুলো দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
বেশি করে খেতে হবে আঁশযুক্ত খাবার
# সব ধরনের ডাল খেতে হবে। বিশেষ করে ছোলার ডাল।
# সব ধরনের শাকও খেতে পারেন। বিশেষ করে পুঁইশাক।
# খোসাসহ সবজি খেতে পারেন। যেমন : ঢেঁড়স, বরবটি, শিম, কচুর লতি ইত্যাদি।
# টকজাতীয় ফলও খেতে পারেন। খোসাসহ খেতে পারেন পেয়ারা, জাম্বুরা, আমলকী ইত্যাদি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে