নাদিম নওশাদ
ব্লকচেইন টেকনোলজি প্রযুক্তির ব্যবহারকে আরো সহজ ও সুরক্ষিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশেও এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ব্লকচেইন টেকনোলজি কী
‘ব্লকচেইন’ শব্দটি ‘ব্লক’ ও ‘চেইন’ শব্দ দুটি নিয়ে গঠিত। শব্দ দুটি থেকেই আন্দাজ করা যায়, এ প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে। ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে তথ্যগুলো ব্লক আকারে ভাগ করা থাকে এবং সংরক্ষিত তথ্যগুলো এনক্রিপ্টেড অবস্থায় থাকে । প্রতিটি ব্লকে আগের ব্লকের একটি ডিজিটাল স্বাক্ষর রাখা হয়, যে স্বাক্ষরের মাধ্যমেই একটি ব্লক আগের ব্লকের সঙ্গে যুক্ত থাকে। আর এভাবেই অনেকগুলো ব্লক একটি আরেকটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি চেইন তৈরি করে, যা ব্লকচেইন নামে পরিচিত। বিটকয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্লকচেইন টেকনোলজির সবচেয়ে বড় একটা উদাহরণ।
বৈশিষ্ট্য
ব্লকচেইন টেকনোলজির নিয়ন্ত্রণ কোনো একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকে না। অনেকগুলো ডিভাইস একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে, যেখানে তথ্য সংরক্ষণ ও যাচাই করা হয়। ব্লকচেইন টেকনোলজিতে ব্যবহৃত প্রতিটি তথ্য ব্লকে রাখার আগে শক্তিশালী এনক্রিপশন কি দিয়ে তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। ফলে ব্লকে সংরক্ষিত তথ্যের অ্যাক্সেস পাওয়া অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া ব্লকচেইনে সংরক্ষিত তথ্যগুলো যেহেতু লাখ লাখ কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, তাই কোনো তথ্যকে পরিবর্তন করা প্রায় অসম্ভব, যে কারণে ব্লকচেইন টেকনোলজি সাইবার হামলা ও তথ্য জালিয়াতি থেকে অনেক নিরাপদ।
এই টেকনোলজির ব্যবহার
বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ, যেমন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও সিঙ্গাপুর তাদের দেশের বিভিন্ন খাতে ব্লকচেইন টেকনোলজি ব্যবহার করছে। বর্তমানে বাংলাদেশেও ব্লকচেইন টেকনোলজির ব্যবহার শুরু হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহও বাড়ছে। দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে ইতোমধ্যে ব্লকচেইন টেকনোলজির ব্যবহার চালু হয়েছে। বর্তমানে বেশ কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের সিস্টেমে ব্লকচেইন টেকনোলজি ব্যবহার করছে। সরকারিভাবেও ২০২০ সালে ‘ন্যাশনাল ব্লকচেইন স্ট্র্যাটেজি’ তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে তৈরি এই নীতিতে বিশেষভাবে জমির রেকর্ড সংরক্ষণ, শিক্ষা তথ্য ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবা, সরকারি সেবা ও ডকুমেন্ট অথেন্টিকেশন প্রক্রিয়ায় ব্লকচেইনের ব্যবহার বিবেচনায় আনা হয়েছে। ব্লকচেইন টেকনোলজিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্লকচেইন-সম্পর্কিত বিভিন্ন কোর্স, ওয়ার্কশপ ও গবেষণামূলক কার্যক্রম চালু করেছে।
চ্যালেঞ্জ
ব্লকচেইন প্রযুক্তি সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তবে এর বাস্তবায়ন ও বিস্তারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোয় ব্লকচেইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত। অধিকাংশ মানুষই মনে করে ব্লকচেইন টেকনোলজি মানেই ক্রিপ্টোকারেন্সি। ফলে ব্লকচেইন টেকনোলজির অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহার সম্পর্কে তারা ধারণা লাভ করতে পারে না। এ ছাড়া ব্লকচেইন টেকনোলজি সম্পর্কে অভিজ্ঞ ও দক্ষ জনবলের ঘাটতি বিভিন্ন প্রকল্পে ব্লকচেইনের সংযুক্তিতে অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে। বর্তমানে ব্যবহৃত ইন্টারনেট অবকাঠামো ব্লকচেইন টেকনোলজির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। ব্লকচেইন টেকনোলজির জন্য নিরাপদ ডেটা সেন্টার এবং উচ্চগতিসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন। দেশের অনেক এলাকায় এখনো এসব সুবিধা পর্যাপ্ত নয়, ফলে প্রযুক্তি সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া পুরোনো সফটওয়্যার ও ডেটাবেজে ব্লকচেইন টেকনোলজির সংযুক্তি সময়সাপেক্ষ।
সম্ভাবনা
ব্লকচেইন প্রযুক্তি এখনো বাংলাদেশে নতুন হলেও এর বহুমাত্রিক ব্যবহার দেশের অর্থনীতি, প্রশাসন ও নাগরিক সেবায় আমূল পরিবর্তন আনতে পারে। বাংলাদেশে ভূমি রেকর্ড, সরকারি অনুদান এবং বিভিন্ন সরকারি কাগজপত্রে জালিয়াতির মতো বড় সমস্যা সমাধানে ব্লকচেইন টেকনোলজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মসনদ, পাসপোর্ট, সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ নথি নিরাপদ রাখতে এবং জালিয়াতি রোধ করতে এ প্রযুক্তি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের ব্যাংকগুলো যদি নিজস্ব ব্লকচেইন ইকোসিস্টেম তৈরি করতে পারে, তবে প্রবাসী আয় দ্রুত ও নিরাপদে পাঠানো যাবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
‘ব্লকচেইন প্রযুক্তির অন্যতম আকর্ষণীয় ব্যবহার হতে পারে নির্বাচন প্রক্রিয়ায়। এ প্রযুক্তি যদি ই-ভোটিংয়ে প্রয়োগ করা যায়, তবে ভোট জালিয়াতি, বুথ দখল এবং স্বচ্ছতা নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগের সমাধান হতে পারে। যে কেউ যেকোনো স্থান থেকে ভোট দিতে পারবেন এবং প্রত্যেকটি ভোট থাকবে ব্লকচেইনে সুরক্ষিত, যেটি পরে যাচাইযোগ্য ও অপরিবর্তনযোগ্য হবে।’
এ ছাড়া ব্যবসা ও কৃষি খাতের সাপ্লাইচেইনে ব্লকচেইন টেকনোলজি ব্যবহার করলে সিন্ডিকেট ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। কৃষিপণ্য উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত যে চেইনের মাধ্যমে যাবে, সেই পুরো প্রক্রিয়াকে ব্লকচেইনের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য করা সম্ভব। এতে ভোক্তা জানতে পারবে কোনো পণ্য কোথা থেকে এসেছে, কীভাবে সংরক্ষিত হয়েছে প্রভৃতি। ফলে কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে এবং সিন্ডিকেটবিরোধী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
ব্লকচেইন টেকনোলজি প্রযুক্তির ব্যবহারকে আরো সহজ ও সুরক্ষিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশেও এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ব্লকচেইন টেকনোলজি কী
‘ব্লকচেইন’ শব্দটি ‘ব্লক’ ও ‘চেইন’ শব্দ দুটি নিয়ে গঠিত। শব্দ দুটি থেকেই আন্দাজ করা যায়, এ প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে। ব্লকচেইন প্রযুক্তিতে তথ্যগুলো ব্লক আকারে ভাগ করা থাকে এবং সংরক্ষিত তথ্যগুলো এনক্রিপ্টেড অবস্থায় থাকে । প্রতিটি ব্লকে আগের ব্লকের একটি ডিজিটাল স্বাক্ষর রাখা হয়, যে স্বাক্ষরের মাধ্যমেই একটি ব্লক আগের ব্লকের সঙ্গে যুক্ত থাকে। আর এভাবেই অনেকগুলো ব্লক একটি আরেকটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি চেইন তৈরি করে, যা ব্লকচেইন নামে পরিচিত। বিটকয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্লকচেইন টেকনোলজির সবচেয়ে বড় একটা উদাহরণ।
বৈশিষ্ট্য
ব্লকচেইন টেকনোলজির নিয়ন্ত্রণ কোনো একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকে না। অনেকগুলো ডিভাইস একসঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে, যেখানে তথ্য সংরক্ষণ ও যাচাই করা হয়। ব্লকচেইন টেকনোলজিতে ব্যবহৃত প্রতিটি তথ্য ব্লকে রাখার আগে শক্তিশালী এনক্রিপশন কি দিয়ে তথ্য সংরক্ষণ করা হয়। ফলে ব্লকে সংরক্ষিত তথ্যের অ্যাক্সেস পাওয়া অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া ব্লকচেইনে সংরক্ষিত তথ্যগুলো যেহেতু লাখ লাখ কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, তাই কোনো তথ্যকে পরিবর্তন করা প্রায় অসম্ভব, যে কারণে ব্লকচেইন টেকনোলজি সাইবার হামলা ও তথ্য জালিয়াতি থেকে অনেক নিরাপদ।
এই টেকনোলজির ব্যবহার
বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ, যেমন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও সিঙ্গাপুর তাদের দেশের বিভিন্ন খাতে ব্লকচেইন টেকনোলজি ব্যবহার করছে। বর্তমানে বাংলাদেশেও ব্লকচেইন টেকনোলজির ব্যবহার শুরু হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহও বাড়ছে। দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে ইতোমধ্যে ব্লকচেইন টেকনোলজির ব্যবহার চালু হয়েছে। বর্তমানে বেশ কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের সিস্টেমে ব্লকচেইন টেকনোলজি ব্যবহার করছে। সরকারিভাবেও ২০২০ সালে ‘ন্যাশনাল ব্লকচেইন স্ট্র্যাটেজি’ তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে তৈরি এই নীতিতে বিশেষভাবে জমির রেকর্ড সংরক্ষণ, শিক্ষা তথ্য ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবা, সরকারি সেবা ও ডকুমেন্ট অথেন্টিকেশন প্রক্রিয়ায় ব্লকচেইনের ব্যবহার বিবেচনায় আনা হয়েছে। ব্লকচেইন টেকনোলজিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্লকচেইন-সম্পর্কিত বিভিন্ন কোর্স, ওয়ার্কশপ ও গবেষণামূলক কার্যক্রম চালু করেছে।
চ্যালেঞ্জ
ব্লকচেইন প্রযুক্তি সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তবে এর বাস্তবায়ন ও বিস্তারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোয় ব্লকচেইন সম্পর্কে সাধারণ মানুষের জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত। অধিকাংশ মানুষই মনে করে ব্লকচেইন টেকনোলজি মানেই ক্রিপ্টোকারেন্সি। ফলে ব্লকচেইন টেকনোলজির অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহার সম্পর্কে তারা ধারণা লাভ করতে পারে না। এ ছাড়া ব্লকচেইন টেকনোলজি সম্পর্কে অভিজ্ঞ ও দক্ষ জনবলের ঘাটতি বিভিন্ন প্রকল্পে ব্লকচেইনের সংযুক্তিতে অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে। বর্তমানে ব্যবহৃত ইন্টারনেট অবকাঠামো ব্লকচেইন টেকনোলজির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। ব্লকচেইন টেকনোলজির জন্য নিরাপদ ডেটা সেন্টার এবং উচ্চগতিসম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন। দেশের অনেক এলাকায় এখনো এসব সুবিধা পর্যাপ্ত নয়, ফলে প্রযুক্তি সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া পুরোনো সফটওয়্যার ও ডেটাবেজে ব্লকচেইন টেকনোলজির সংযুক্তি সময়সাপেক্ষ।
সম্ভাবনা
ব্লকচেইন প্রযুক্তি এখনো বাংলাদেশে নতুন হলেও এর বহুমাত্রিক ব্যবহার দেশের অর্থনীতি, প্রশাসন ও নাগরিক সেবায় আমূল পরিবর্তন আনতে পারে। বাংলাদেশে ভূমি রেকর্ড, সরকারি অনুদান এবং বিভিন্ন সরকারি কাগজপত্রে জালিয়াতির মতো বড় সমস্যা সমাধানে ব্লকচেইন টেকনোলজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মসনদ, পাসপোর্ট, সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ নথি নিরাপদ রাখতে এবং জালিয়াতি রোধ করতে এ প্রযুক্তি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের ব্যাংকগুলো যদি নিজস্ব ব্লকচেইন ইকোসিস্টেম তৈরি করতে পারে, তবে প্রবাসী আয় দ্রুত ও নিরাপদে পাঠানো যাবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
‘ব্লকচেইন প্রযুক্তির অন্যতম আকর্ষণীয় ব্যবহার হতে পারে নির্বাচন প্রক্রিয়ায়। এ প্রযুক্তি যদি ই-ভোটিংয়ে প্রয়োগ করা যায়, তবে ভোট জালিয়াতি, বুথ দখল এবং স্বচ্ছতা নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগের সমাধান হতে পারে। যে কেউ যেকোনো স্থান থেকে ভোট দিতে পারবেন এবং প্রত্যেকটি ভোট থাকবে ব্লকচেইনে সুরক্ষিত, যেটি পরে যাচাইযোগ্য ও অপরিবর্তনযোগ্য হবে।’
এ ছাড়া ব্যবসা ও কৃষি খাতের সাপ্লাইচেইনে ব্লকচেইন টেকনোলজি ব্যবহার করলে সিন্ডিকেট ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। কৃষিপণ্য উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত যে চেইনের মাধ্যমে যাবে, সেই পুরো প্রক্রিয়াকে ব্লকচেইনের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য করা সম্ভব। এতে ভোক্তা জানতে পারবে কোনো পণ্য কোথা থেকে এসেছে, কীভাবে সংরক্ষিত হয়েছে প্রভৃতি। ফলে কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে এবং সিন্ডিকেটবিরোধী সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গত বুধবার রাত ১০টার পর কাকরাইল মসজিদের সামনে যান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সেখানে তিনি কথা বলার একপর্যায়ে একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল তার মাথার ওপর পড়ে।
২১ ঘণ্টা আগে‘শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাজেট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। দীর্ঘদিনের আবাসন সংকট নিরসনে অস্থায়ী হল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন প্রকল্পও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।’
১ দিন আগে‘সামান্য পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন শিক্ষার্থীকে ডিবি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদে নেয়া হয়েছে। অথচ আমাদের শিক্ষক, সাংবাদিক ও সহপাঠীরা আন্দোলনের সময় বারবার হামলার শিকার হয়েছেন, সে বিষয়ে তো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
১ দিন আগেপ্রগতিশীল নেত্রীরা বলেন, এ কর্মসূচি কেবল নারীদের স্বার্থরক্ষা নয় বরং এটি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির আন্দোলনের অংশ।
১ দিন আগে