নাদিম নওশাদ
বর্তমানে প্রযুক্তির অগ্রগতি দ্রুতগতিতে হচ্ছে। প্রতিনিয়তই আমাদের সামনে আসছে চোখ ধাঁধানো সব প্রযুক্তি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এসব প্রযুক্তিকে নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়। আর এ প্রযুক্তিগুলোই এখন আমাদের জীবনের নানা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এই প্রযুক্তির ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে অপব্যবহারও। আর এর ভয়ংকর রূপগুলোর মধ্যে একটি হলো ভয়েস ক্লোনিং।
ভয়েস ক্লোনিং হলো এমন এক ধরনের প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে কারোর কণ্ঠস্বর হুবহু নকল করা যায়। এর আগে আমরা ডিপফেকের বিষয়ে অনেক শুনেছি, যেখানে এআই ব্যবহার করে কারোর চেহারা নকল করে ভিডিও তৈরি করা হতো। কিন্তু বর্তমানে ডিপফেকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভয়েস ক্লোনিং। এআইয়ের মডেল ব্যবহার করে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের অডিও ক্লিপ থেকে কোনো ব্যক্তির কণ্ঠস্বর এমনভাবে তৈরি করা সম্ভব, যা বাস্তবের সঙ্গে এতটাই মিলে যায় যে, সাধারণ কেউ তা শনাক্ত করতে পারে না।
ভয়েস ক্লোনিং প্রযুক্তি সাধারণত ডিপ লার্নিং এবং নিউরাল নেটওয়ার্ক দিয়ে তৈরি করা হয়। এই প্রযুক্তি মানুষের কণ্ঠের স্বর, উচ্চারণ এমনকি আবেগও বুঝতে পারে। ভয়েস ক্লোনিং করার জন্য কোনো ব্যক্তির কণ্ঠের একটি নমুনা দিতে হয়। এআই ওই কণ্ঠের স্বর রপ্ত করে। পরে এআই ওই স্বর ব্যবহার করে যেকোনো বক্তব্য তৈরি করতে পারে। সাধারণভাবে শুনলে মনে হবে সত্যিই সেই ব্যক্তি বলছেন।
ভয়েস ক্লোনিং প্রযুক্তির অনেক ভালো কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা দূর করা, অটোমেটেড ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট, সিনেমার জন্য ডাবিং তৈরির মতো কাজে ভয়েস ক্লোনিং প্রযুক্তি বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে প্রযুক্তিটির সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো এর অপব্যবহার। বর্তমানে প্রতারকরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের কাছে ফোন করে। প্রতারকরা কণ্ঠ এআই দিয়ে নকল করে মানুষের নিকটজন হিসেবে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে এবং টাকা দাবি করে। অনেকেই এভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। কারণ তারা বুঝতেই পারছেন না এটি নকল কণ্ঠ। অনেক সময় প্রতারকরা কথোপকথন রেকর্ড করে ভুক্তভোগীকে ব্ল্যাকমেইলও করে। অনেক দেশে এ ধরনের প্রতারণা মারাত্মক রূপ নিয়েছে ।
তবে এর থেকেও ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, ভয়েস ক্লোনিং বর্তমানে রাজনীতি, গণমাধ্যম এমনকি বিচারব্যবস্থার মতো সংবেদনশীল বিষয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে করে আসল তথ্য কোনটি, তা বুঝতে অনেকেরই বেগ পেতে হচ্ছে। বিশেষ করে, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব যেখানে অনেক বেশি, সেখানে এমন তথ্য বড় বিপদের কারণ হতে পারে। এভাবে ভুয়া বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হলে সমাজে গুজব, বিভ্রান্তি এবং সহিংসতার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। এমনকি এই প্রযুক্তির কারণে ব্যাংক বা অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়তে পারে।
তবে ভয়েস ক্লোনিংকে প্রতিরোধ করার জন্য ইতোমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত সচেতনতার মাধ্যমে এ প্রযুক্তির অপব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। বিশেষ করে যারা অনলাইনে সক্রিয়, তাদের উচিত নিজেদের কণ্ঠ বা ভিডিও সর্বসাধারণের জন্য কম প্রকাশ করা। এছাড়া বিশ্বব্যাপী এখন এমন প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে, যা ভয়েস ক্লোন শনাক্ত করতে পারে। এর মধ্যে Timbre বা VocalShield নামক প্রযুক্তিগুলো ইতোমধ্যে ভয়েস ক্লোনিং প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
এআইয়ের সঠিক ব্যবহার যেমন আমাদের জীবন সহজ করতে পারে, তেমনি এর অপব্যবহার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। ভয়েস ক্লোনিং এই প্রযুক্তির একটি বাস্তব উদাহরণ। তাই সচেতনতা, প্রযুক্তি সম্পর্কে জানা এবং তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে নিরাপদ রাখতে পারে।
বর্তমানে প্রযুক্তির অগ্রগতি দ্রুতগতিতে হচ্ছে। প্রতিনিয়তই আমাদের সামনে আসছে চোখ ধাঁধানো সব প্রযুক্তি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এসব প্রযুক্তিকে নিয়ে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়। আর এ প্রযুক্তিগুলোই এখন আমাদের জীবনের নানা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এই প্রযুক্তির ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে অপব্যবহারও। আর এর ভয়ংকর রূপগুলোর মধ্যে একটি হলো ভয়েস ক্লোনিং।
ভয়েস ক্লোনিং হলো এমন এক ধরনের প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে কারোর কণ্ঠস্বর হুবহু নকল করা যায়। এর আগে আমরা ডিপফেকের বিষয়ে অনেক শুনেছি, যেখানে এআই ব্যবহার করে কারোর চেহারা নকল করে ভিডিও তৈরি করা হতো। কিন্তু বর্তমানে ডিপফেকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভয়েস ক্লোনিং। এআইয়ের মডেল ব্যবহার করে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের অডিও ক্লিপ থেকে কোনো ব্যক্তির কণ্ঠস্বর এমনভাবে তৈরি করা সম্ভব, যা বাস্তবের সঙ্গে এতটাই মিলে যায় যে, সাধারণ কেউ তা শনাক্ত করতে পারে না।
ভয়েস ক্লোনিং প্রযুক্তি সাধারণত ডিপ লার্নিং এবং নিউরাল নেটওয়ার্ক দিয়ে তৈরি করা হয়। এই প্রযুক্তি মানুষের কণ্ঠের স্বর, উচ্চারণ এমনকি আবেগও বুঝতে পারে। ভয়েস ক্লোনিং করার জন্য কোনো ব্যক্তির কণ্ঠের একটি নমুনা দিতে হয়। এআই ওই কণ্ঠের স্বর রপ্ত করে। পরে এআই ওই স্বর ব্যবহার করে যেকোনো বক্তব্য তৈরি করতে পারে। সাধারণভাবে শুনলে মনে হবে সত্যিই সেই ব্যক্তি বলছেন।
ভয়েস ক্লোনিং প্রযুক্তির অনেক ভালো কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা দূর করা, অটোমেটেড ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট, সিনেমার জন্য ডাবিং তৈরির মতো কাজে ভয়েস ক্লোনিং প্রযুক্তি বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে প্রযুক্তিটির সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো এর অপব্যবহার। বর্তমানে প্রতারকরা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের কাছে ফোন করে। প্রতারকরা কণ্ঠ এআই দিয়ে নকল করে মানুষের নিকটজন হিসেবে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে এবং টাকা দাবি করে। অনেকেই এভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। কারণ তারা বুঝতেই পারছেন না এটি নকল কণ্ঠ। অনেক সময় প্রতারকরা কথোপকথন রেকর্ড করে ভুক্তভোগীকে ব্ল্যাকমেইলও করে। অনেক দেশে এ ধরনের প্রতারণা মারাত্মক রূপ নিয়েছে ।
তবে এর থেকেও ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, ভয়েস ক্লোনিং বর্তমানে রাজনীতি, গণমাধ্যম এমনকি বিচারব্যবস্থার মতো সংবেদনশীল বিষয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে করে আসল তথ্য কোনটি, তা বুঝতে অনেকেরই বেগ পেতে হচ্ছে। বিশেষ করে, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব যেখানে অনেক বেশি, সেখানে এমন তথ্য বড় বিপদের কারণ হতে পারে। এভাবে ভুয়া বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হলে সমাজে গুজব, বিভ্রান্তি এবং সহিংসতার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। এমনকি এই প্রযুক্তির কারণে ব্যাংক বা অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়তে পারে।
তবে ভয়েস ক্লোনিংকে প্রতিরোধ করার জন্য ইতোমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত সচেতনতার মাধ্যমে এ প্রযুক্তির অপব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। বিশেষ করে যারা অনলাইনে সক্রিয়, তাদের উচিত নিজেদের কণ্ঠ বা ভিডিও সর্বসাধারণের জন্য কম প্রকাশ করা। এছাড়া বিশ্বব্যাপী এখন এমন প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে, যা ভয়েস ক্লোন শনাক্ত করতে পারে। এর মধ্যে Timbre বা VocalShield নামক প্রযুক্তিগুলো ইতোমধ্যে ভয়েস ক্লোনিং প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
এআইয়ের সঠিক ব্যবহার যেমন আমাদের জীবন সহজ করতে পারে, তেমনি এর অপব্যবহার জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলতে পারে। ভয়েস ক্লোনিং এই প্রযুক্তির একটি বাস্তব উদাহরণ। তাই সচেতনতা, প্রযুক্তি সম্পর্কে জানা এবং তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে নিরাপদ রাখতে পারে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৫ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে