দেশের আনঅফিশিয়াল মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের এক ছাতার নিচে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। মঙ্গলবার দুপুরে বিটিআরসি ভবনে বিটিআরসি ও মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সভা হয়।
সভায় মোবাইল ফোন আমদানি এবং ভেন্ডর এনলিস্টমেন্ট সনদ প্রদানের বিদ্যমান প্রক্রিয়া কীভাবে সহজ করা যায়, সে বিষয়ে বিশদ আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ন্যূনতম কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে ভেন্ডর এনলিস্টমেন্ট সনদ প্রদান এবং বিদেশ থেকে ক্লোন/কপি/ব্যবহৃত/রিফারবিসড মোবাইল ফোন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে শুধু মোবাইল ফোনের মূল উৎপাদনকারী সংস্থার পাশাপাশি যেকোনো অনুমোদিত সরবরাহকারীর প্রত্যায়নপত্রসহ (চুক্তির পরিবর্তে) আবেদন করা হলে বিটিআরসি থেকে সহজেই আমদানির অনুমোদন দেওয়া হবে।
ক্লোন/কপি/ব্যবহৃত/রিফারবিসড মোবাইল বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ ঠেকানো নিশ্চিত করে আমদানি প্রক্রিয়া কীভাবে আরো সহজ করা যায়, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট লিখিত প্রস্তাব দিতে ‘মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ’-এর প্রতিনিধিদের আহ্বান জানিয়েছে বিটিআরসি।
মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বাজারে বিদ্যমান অবিক্রিত সব মোবাইল ফোন নিয়মিতকরণের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট তথ্য নির্ধারিত ছকে জমা দিলে বিটিআরসি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
উল্লেখ্য, এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টি রেজিস্টার) প্রকল্পটি আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এ নিয়ে গ্রে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোবাইল ব্যবসা রয়েছে ১৮টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির হাতে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করার মধ্য দিয়ে ১৮ প্রতিষ্ঠানের মোবাইল বাণিজ্যের সিন্ডিকেটকে আরো শক্তিশালী করা হবে।
সরকার বলছে, এনইআইআর বাস্তবায়ন হলে নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে এবং অপরাধ কমবে।


এনইআইআর বাস্তবায়ন না হলে রফতানিমুখী মোবাইল ফোন খাতের অপমৃত্যু ঘটবে