মুসলিম স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন
মো. মাহবুবুর রহমান
সুলতানি শাসন আমলের স্থাপত্যকলার বৈশিষ্ট্য ও অলংকরণশৈলীতে নির্মিত মুন্সীগঞ্জের ‘বাবা আদম (রহ.) মসজিদ’। বঙ্গে সেন বংশের পতন আর বিক্রমপুরে মুসলিম শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কালের অনন্য সাক্ষী হয়ে ৫৪২ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার মসজিদটি। বিক্রমপুরের ইতিহাস প্রসিদ্ধ রামপালের সীমান্তবর্তী বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলার মিরকাদিম পৌরসভার কাজীকসবা (বর্তমান দরগাবাড়ী) গ্রামে ছয় গম্বুজবিশিষ্ট কারুকার্যখচিত দৃষ্টিনন্দন মসজিদটির অবস্থান। মুন্সীগঞ্জ শহর থেকে উত্তর-পশ্চিমে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মসজিদটি ছয়টি সম আকৃতির এবং একই রকম উচ্চতাবিশিষ্ট ছয়টি গম্বুজে আচ্ছাদিত।
মসজিদের সামনের দেয়ালে স্থাপিত শিলালিপি থেকে জানা যায়, সুলতান ফতেশাহের শাসনামলে সুলতান জালাল উদ্দিন আবু জাফর শাহের ছেলে বিক্রমপুরের শাসক মালিক কাফুর শাহ পুণ্য অর্জন এবং বাবা আদম শহীদের স্মৃতি রক্ষায় মসজিদটি নির্মাণ করেন। সুলতান মাহমুদ শাহের রাজত্বকালে ১৪৭৯ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়ে দীর্ঘ চার বছর পর ৮৮৮ হিজরি সাল অনুসারে ১৪৮৩ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়।
সুলতানি শাসনামলে নির্মিত মসজিদের বৈশিষ্ট্যের ধারা অনুযায়ী বাবা আদমের মসজিদের কার্নিশ ও ছাদ বক্রাকার। মসজিদটি আয়তাকার ভিত্তিভূমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। উত্তর-দক্ষিণে এর দৈর্ঘ্য ৪৩ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে প্রস্থ ৩৬ ফুট। মসজিদের চার কোনায় চারটি অষ্টকোনাকৃতির মিনার রয়েছে। মিনারে ধাপে ধাপে পাতলা ইট কেটে মুসলিম স্থাপত্যকলার নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এর দেওয়ালটি ইটনির্মিত, যার প্রশস্ততা প্রায় সাড়ে ছয় ফুট। পুরো মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে লাল পোড়ামাটি দিয়ে। মসজিদের অভ্যন্তরভাগে দুপাশে দুটি গ্রানাইট পাথরের ধূসর বর্ণের স্তম্ভ রয়েছে। স্তম্ভ দুটি মেঝে থেকে চার ফুট পর্যন্ত অষ্টকোনাকৃতি এবং এরপর ষোলো কোনাকৃতির। স্তম্ভ দুটি এবং চার দেয়ালের ওপরই ছয়টি গম্ভুজ দাঁড়িয়ে আছে। স্তম্ভের সাহায্যে পূর্ব-পশ্চিমে দুই সারিতে এবং উত্তর-দক্ষিণে তিন সারিতে বিভক্ত। অভ্যন্তরভাগে পশ্চিম দেয়ালে তিনটি অবতলাকৃতি মেহরাব রয়েছে।
প্রধান মেহরাব এবং দুপাশের মেহরাব ও পাশের দেয়ালে পোড়ামাটির লতাপাতা, গোলাপফুল ও ঝুলন্ত তক্তির নকশা রয়েছে। তিনটি মেহরাবের ওপরে দুই স্তরে চমৎকার ধূসর বর্ণের কারুকাজ করা রয়েছে। প্রধান মিহরাবের ভেতরের অংশে ঝুলন্ত শিকলঘণ্টার নকশা লক্ষ করা যায়। পশ্চিম দেয়ালের পশ্চাৎভাগ বাইরের দিকে তিন স্তরে বর্ধিত। পেছনের বর্ধিতাংশটি সুন্দর টোরাকাটা অলংকরণে নকশাকৃত।
মসজিদের সম্মুখভাগে তিনটি খিলানাকৃতির প্রবেশপথ রয়েছে, এর উপরিভাগ সুন্দরভাবে খাঁজকাটা। ঝুলন্ত শিকল ও ঘণ্টার অলংকরণ করা হয়েছে। মসজিদটিতে কোনো জানালা ও বারান্দা নেই। কথিত আছে, মসজিদের গায়ে মূল্যবান মণিরত্ন সংযোজিত ছিল, যা মগ দস্যুরা লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়। এই মসজিদ নির্মাণে ইট, চুন ও সুরকি ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদগৃহের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে বাতি রাখার জন্য একটি করে কুলঙ্গি রয়েছে। কুলঙ্গিগুলো আকারে ছোট এবং কৌণিক খিলান-সহযোগে গঠিত।
শ্রী যোগেন্দ্রনাথ গুপ্তের বিক্রমপুরের ইতিহাস গ্রন্থ থেকে জানা যায়, কোনো এক সময় ভূমিকম্পে মসজিদটির তিনটি গম্বুজ ছাদসহ ধ্বংস হয়ে যায়। পরে সংস্কারের মাধ্যমে তা আবার আগের রূপে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। একসময় হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মহিলারা এই মসজিদে মনের আশা পূরণে মানত নিয়ে আসত। আগে এই মসজিদে কোনো বেষ্টনী না থাকলেও বর্তমানে লোহার বেষ্টনী দিয়ে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
Arch. Survey of India (১৯২৭ – ১৯২৮) থেকে জানা যায়, ভারতবর্ষ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ একবার এর সংস্কার করেছিল। এর পর থেকে দীর্ঘ সময়ে আর কোনো সংস্কার করা হয়নি। ১৯৯১ সালে শুধু চারপাশে লোহার দেয়াল নির্মাণ করা হয়। ১৯৪৮ সালের পর থেকেই এটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। বাবা আদম মসজিদটি শুধু মুন্সীগঞ্জেরই নয়, বরং সমগ্র উপমহাদেশের একটি দর্শনীয় স্থান। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ১৯৯১ সালে এ মসজিদ-সংবলিত একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে। মসজিদটি বর্তমানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
মসজিদের খতিব মো. সানাউল্লাহ বলেন, বিভিন্ন মসজিদে নামাজ পড়িয়েছি, কোথাও এমন শান্তি পাইনি। মসজিদে কোনো জানালা-দরজা না থাকলেও গরমের সময় গরম এবং শীতের সময় ঠান্ডা লাগে না। মনের প্রশান্তিতে এলাকার বিপুলসংখ্যক মুসল্লি এখানে নামাজ পড়েন, তাই স্থান সংকুলান না হয় না। মসজিদে কোনো বারান্দা না থাকায় খোলা আকাশের নিচে নামাজের ব্যবস্থা করতে হয়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হোসেন রেনু বলেন, মসজিদটি কয়েকশ বছরের মুসলিম ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে, পানি পড়ে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে থাকায় নিজেদের উদ্যোগে কোনো কাজও করা যায় না। প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী দূর-দূরান্ত থেকে মসজিদটি দেখতে আসেন। সম্প্রতি সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বাবা আদম মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন। বাংলাদেশে মসজিদের স্থাপত্যরীতি ও অলংকরণশৈলীর দিক থেকে এটি এক অনন্য নিদর্শন।
সুলতানি শাসন আমলের স্থাপত্যকলার বৈশিষ্ট্য ও অলংকরণশৈলীতে নির্মিত মুন্সীগঞ্জের ‘বাবা আদম (রহ.) মসজিদ’। বঙ্গে সেন বংশের পতন আর বিক্রমপুরে মুসলিম শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কালের অনন্য সাক্ষী হয়ে ৫৪২ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার মসজিদটি। বিক্রমপুরের ইতিহাস প্রসিদ্ধ রামপালের সীমান্তবর্তী বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলার মিরকাদিম পৌরসভার কাজীকসবা (বর্তমান দরগাবাড়ী) গ্রামে ছয় গম্বুজবিশিষ্ট কারুকার্যখচিত দৃষ্টিনন্দন মসজিদটির অবস্থান। মুন্সীগঞ্জ শহর থেকে উত্তর-পশ্চিমে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মসজিদটি ছয়টি সম আকৃতির এবং একই রকম উচ্চতাবিশিষ্ট ছয়টি গম্বুজে আচ্ছাদিত।
মসজিদের সামনের দেয়ালে স্থাপিত শিলালিপি থেকে জানা যায়, সুলতান ফতেশাহের শাসনামলে সুলতান জালাল উদ্দিন আবু জাফর শাহের ছেলে বিক্রমপুরের শাসক মালিক কাফুর শাহ পুণ্য অর্জন এবং বাবা আদম শহীদের স্মৃতি রক্ষায় মসজিদটি নির্মাণ করেন। সুলতান মাহমুদ শাহের রাজত্বকালে ১৪৭৯ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়ে দীর্ঘ চার বছর পর ৮৮৮ হিজরি সাল অনুসারে ১৪৮৩ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়।
সুলতানি শাসনামলে নির্মিত মসজিদের বৈশিষ্ট্যের ধারা অনুযায়ী বাবা আদমের মসজিদের কার্নিশ ও ছাদ বক্রাকার। মসজিদটি আয়তাকার ভিত্তিভূমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। উত্তর-দক্ষিণে এর দৈর্ঘ্য ৪৩ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে প্রস্থ ৩৬ ফুট। মসজিদের চার কোনায় চারটি অষ্টকোনাকৃতির মিনার রয়েছে। মিনারে ধাপে ধাপে পাতলা ইট কেটে মুসলিম স্থাপত্যকলার নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এর দেওয়ালটি ইটনির্মিত, যার প্রশস্ততা প্রায় সাড়ে ছয় ফুট। পুরো মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে লাল পোড়ামাটি দিয়ে। মসজিদের অভ্যন্তরভাগে দুপাশে দুটি গ্রানাইট পাথরের ধূসর বর্ণের স্তম্ভ রয়েছে। স্তম্ভ দুটি মেঝে থেকে চার ফুট পর্যন্ত অষ্টকোনাকৃতি এবং এরপর ষোলো কোনাকৃতির। স্তম্ভ দুটি এবং চার দেয়ালের ওপরই ছয়টি গম্ভুজ দাঁড়িয়ে আছে। স্তম্ভের সাহায্যে পূর্ব-পশ্চিমে দুই সারিতে এবং উত্তর-দক্ষিণে তিন সারিতে বিভক্ত। অভ্যন্তরভাগে পশ্চিম দেয়ালে তিনটি অবতলাকৃতি মেহরাব রয়েছে।
প্রধান মেহরাব এবং দুপাশের মেহরাব ও পাশের দেয়ালে পোড়ামাটির লতাপাতা, গোলাপফুল ও ঝুলন্ত তক্তির নকশা রয়েছে। তিনটি মেহরাবের ওপরে দুই স্তরে চমৎকার ধূসর বর্ণের কারুকাজ করা রয়েছে। প্রধান মিহরাবের ভেতরের অংশে ঝুলন্ত শিকলঘণ্টার নকশা লক্ষ করা যায়। পশ্চিম দেয়ালের পশ্চাৎভাগ বাইরের দিকে তিন স্তরে বর্ধিত। পেছনের বর্ধিতাংশটি সুন্দর টোরাকাটা অলংকরণে নকশাকৃত।
মসজিদের সম্মুখভাগে তিনটি খিলানাকৃতির প্রবেশপথ রয়েছে, এর উপরিভাগ সুন্দরভাবে খাঁজকাটা। ঝুলন্ত শিকল ও ঘণ্টার অলংকরণ করা হয়েছে। মসজিদটিতে কোনো জানালা ও বারান্দা নেই। কথিত আছে, মসজিদের গায়ে মূল্যবান মণিরত্ন সংযোজিত ছিল, যা মগ দস্যুরা লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়। এই মসজিদ নির্মাণে ইট, চুন ও সুরকি ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদগৃহের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে বাতি রাখার জন্য একটি করে কুলঙ্গি রয়েছে। কুলঙ্গিগুলো আকারে ছোট এবং কৌণিক খিলান-সহযোগে গঠিত।
শ্রী যোগেন্দ্রনাথ গুপ্তের বিক্রমপুরের ইতিহাস গ্রন্থ থেকে জানা যায়, কোনো এক সময় ভূমিকম্পে মসজিদটির তিনটি গম্বুজ ছাদসহ ধ্বংস হয়ে যায়। পরে সংস্কারের মাধ্যমে তা আবার আগের রূপে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। একসময় হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মহিলারা এই মসজিদে মনের আশা পূরণে মানত নিয়ে আসত। আগে এই মসজিদে কোনো বেষ্টনী না থাকলেও বর্তমানে লোহার বেষ্টনী দিয়ে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
Arch. Survey of India (১৯২৭ – ১৯২৮) থেকে জানা যায়, ভারতবর্ষ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ একবার এর সংস্কার করেছিল। এর পর থেকে দীর্ঘ সময়ে আর কোনো সংস্কার করা হয়নি। ১৯৯১ সালে শুধু চারপাশে লোহার দেয়াল নির্মাণ করা হয়। ১৯৪৮ সালের পর থেকেই এটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। বাবা আদম মসজিদটি শুধু মুন্সীগঞ্জেরই নয়, বরং সমগ্র উপমহাদেশের একটি দর্শনীয় স্থান। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ১৯৯১ সালে এ মসজিদ-সংবলিত একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে। মসজিদটি বর্তমানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
মসজিদের খতিব মো. সানাউল্লাহ বলেন, বিভিন্ন মসজিদে নামাজ পড়িয়েছি, কোথাও এমন শান্তি পাইনি। মসজিদে কোনো জানালা-দরজা না থাকলেও গরমের সময় গরম এবং শীতের সময় ঠান্ডা লাগে না। মনের প্রশান্তিতে এলাকার বিপুলসংখ্যক মুসল্লি এখানে নামাজ পড়েন, তাই স্থান সংকুলান না হয় না। মসজিদে কোনো বারান্দা না থাকায় খোলা আকাশের নিচে নামাজের ব্যবস্থা করতে হয়।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হোসেন রেনু বলেন, মসজিদটি কয়েকশ বছরের মুসলিম ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে, পানি পড়ে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে থাকায় নিজেদের উদ্যোগে কোনো কাজও করা যায় না। প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী দূর-দূরান্ত থেকে মসজিদটি দেখতে আসেন। সম্প্রতি সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বাবা আদম মসজিদটি পরিদর্শন করেছেন। বাংলাদেশে মসজিদের স্থাপত্যরীতি ও অলংকরণশৈলীর দিক থেকে এটি এক অনন্য নিদর্শন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডের পর স্থগিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আগামী ২৭ অক্টোবর পালিত হবে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম।
৫ ঘণ্টা আগে১৮৪৬ সালের ১৬ অক্টোবর চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে প্রথমবারের মতো এক রোগীর শরীরে ব্যথাহীন অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। দাঁতের চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম মর্টন রোগী গিলবার্ট অ্যাবটের মুখে ইথার গ্যাস শ্বাসের মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগী
৬ ঘণ্টা আগেকরোনা ভ্যাকসিনের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে নানা ভুল ধারণা এবং অন্ধবিশ্বাস। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্ক্যাবিসসহ কিছু সংক্রামক চর্মরোগ মহামারির আকার ধারণ করেছে। বেশির ভাগ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। আবার
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগবালাই আবির্ভাব হয়। বাংলাদেশে হেমন্তকালের শেষের দিকে শীতকাল খুব কাছাকাছি চলে আসে। ঋতু পরিবর্তনের এ সময় তাপমাত্রার ওঠানামা ও শুষ্ক বাতাসের কারণে সর্দি-কাশি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
৬ ঘণ্টা আগে